নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। দেশ থেকে যাবার সময়ই তা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও ইতি হচ্ছে কি-না তা স্পষ্ট করে বলেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিশ্বকাপের মাঝেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবরে কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরেই নিতে চান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর পরিস্থিতি আরেকটু বদলেছে। মাশরাফিও কি তার সিদ্ধান্ত বদলে এখানেই শেষ বলবেন?
সাধারণত ম্যাচ হারলে জবাব দিতে বরাবরই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন মাশরাফি। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পর আসেননি সেদিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগেও এলেন না দেশসেরা এই অধিনায়ক। মাশরাফি গণমাধ্যম-বান্ধব বলেই টানা দু’দিন, এমন আর কবে হয়েছে, মনে করা গেল না। অবসর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় কি তবে অধিনায়ক এড়িয়ে যাচ্ছেন গণমাধ্যম? তবে কোচ স্টিভ রোডসের অবশ্য এই নিয়ে আছে ভিন্নমত। দলের প্রতিনিধি হয়ে সম্মেলনে আসা কোচের আকুতি, যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, এটা যেন মাশরাফিকেই নেওয়ার সময় দেওয়া হয়, ‘মাশরাফি নিজেই বোর্ডকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমার মনে হয়, সবার উচিত তাদের উপর সিদ্ধান্তের ভার দেওয়া। আমার মনে হয়, গণমাধ্যমের অনেক বড় বড় খবর সত্তে¡ও তাকে যেন সম্মানটা দেওয়া হয়, সে কি করবে বা কি করবে না।’
দলের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা, মাঠের ভেতরে-বাইরে এমন কাছের একজনের বিদায়ী বিশ্বকাপ ম্যাচে আবেগ ছুঁয়ে যেতে পারে দলকে, বলছেন রোডস। তবে কোচের চাওয়া, সবার মূল মনোযোগ যেন থাকে ম্যাচ জয়ে, ‘মাশরাফি এমন একজন, যাকে অবিশ্বাস্যভাবে শ্রদ্ধা করে ক্রিকেটাররা। আমি প্রায়ই লড়াকু শব্দটা ব্যবহার করি। কিন্তু সে দলের জন্য যুদ্ধ করে। মাশরাফিকে মানুষ শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে এই কারণেই। ড্রেসিং রুমে সবাই মাশরাফিকে ভালোবাসে। সে বলেছে, এটা তার শেষ বিশ্বকাপ, এটা তার জন্য আবেগঘন ব্যাপার।’
টুর্নামেন্ট থেকেই আগেই বিদায় নেওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটাতে মাশরাফির বিদায় প্রসঙ্গই জোরালো। কোচ চাইছেন, এই অবস্থা থেকেও দল যেন মন দিতে পারে খেলায়, ‘আমার কাজ হলো ম্যাশের অবস্থা বোঝা, শ্রদ্ধা জানাতে হবে যেহেতু এটা তার শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। আশা করছি সবাই তাকে শেষ ম্যাচে একইভাবেই শ্রদ্ধা করবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এরপরও আমরা যেন খেলায় মন দিতে পারি।’ মাশরাফির অবসর নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এই গুঞ্জন দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন রোডস, ‘যদি জিজ্ঞেস করা হয় প্রভাব পড়বে কি-না, আমি বলব- না। দল এমনিতেই গণমাধ্যমের অনেক চাপ নেয়। মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক হাইপও আছে। তাদের হয়তো হেডলাইন দরকার আছে। এটা আসলে দলে প্রভাব ফেলবে না।’
আরেকটা কারণও মাশরাফির এখানেই থেমে যাওয়ার পক্ষে দিচ্ছে জোরালো যুক্তি। সামনের কয়েক মাসে বাংলাদেশের ওয়ানডেও আছে খুব সীমিত। দেশের মাঠে চলতি বছর নেই কোনো নির্ধারিত ওয়ানডে সিরিজ। মাশরাফি যদি দেশের মাঠে অবসর নিতে চান, তার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে লম্বা সময়। তবে চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চ, লর্ডসের মতো ঐতিহ্যে মোড়ানো মাঠের চেয়ে শ্রীলঙ্কা কখনোই ভালো কোনো মঞ্চ নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।