নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয় দিয়ে আসর শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষটাও হলো জয়মণ্ডিত। কিন্তু মাঝের ব্যর্থতায় টুর্নামেন্টর স্মৃতি ভুলে যেতেই চাইবেন গেইল-হোল্ডাররা।
পয়েন্ট তালিকার তলানীতে থাকা দুই দল আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মধ্যকার ম্যাচে যা একটু আগ্রহ ছিল ক্রিস গেইলকে ঘিরে। বিশ্বকাপে নিজের বিদায় ক্ষনটা কত ভাবেই না দিনটাকে রাঙাতে পারতেন স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বস’। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে নিজের শেষ ম্যাচেও ভক্তদের হতাশা করেছেন ক্যারিবীয় ওপেনার।
লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল ব্যাটে এসে কমপক্ষে একটি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা, কেবল গেইল বাদে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মিলিত প্রচেষ্টায় আফগানদের সামনে ৩১২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় জেসন হোল্ডারের দল। জবাবে পুরো ৫০ ওভার খেলে নিজেদের আসর সর্বোচ্চ রান করেও ২৩ রানে হেরেছে আফগানিস্তান।
টসজয়ী উইন্ডিজ ইনিংসের শুরু আর শেষটা মেলানো যায় না। শুরুতে গেইলকে হারানোর পর শাই হোপ ও ইভিন লুইস ভালো ভীত গড়ে দিয়ে যান। তার উপর দাঁড়িয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডার। জবাবে শুরুতে ধাক্কা খেলেও প্রতিপক্ষের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভালোই লড়ছিল আফগানিস্তান। কিন্তু মিডিল অর্ডারে কিমার রোচ ও কার্লোস ব্রাথওয়েট তাণ্ডবে জয়শূন্য থেকেই আসর শেষ করতে হয় আফগানদের।
দ্বিতীয় ওভারে গুলবাদিন নাইবকে হারানোর পর রহমত শাহ ও ইকরাম আখি খিল গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। জীবন পেয়ে ৭৮ বলে ১০ চারে ৬২ রান করেন রহমত। তৃতীয় উইকেটে আবার ফিফটি জুটি উপহার দিয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ইকরাম। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি ইনিংস টেনে নেন ৮৬ রান পর্যন্ত। তার ৯৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। ৩৬তম ওভারে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৮৯। এরপর আসগর আফগানের প্রচেষ্টা থামিয়ে জয় দিয়ে আসর শেষ করে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ দিকে অপেক্ষা বাড়ান শিরজাত।
এর আগে দলীয় ২১ রানে দৌলাত জদরানকে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং গড়বড়ে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন গেইল। ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক ব্রায়ান লারাকে (১০৩৪৮) ছাড়িয়ে যেতে এদিন ১৮ রান করতে হত গেইলকে। আর বিশ্বকাপে লারাকে (১২২৫) ছাড়াতে করতে হত ৪৭। বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব করলেন ১৮ বলে ৭।
গেইলের বিদায়ের পর ধীরে চলা নীতি মেনে ৮৮ রান যোগ করে হোপ-লুইস জুটি। রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ৫৮ রান করে ফেরেন লুইস। তৃতীয় উইকেটে হোপ-হেটমায়ার জুটি থেকে আসে ৬৫। হেটমায়ারের পর ৫ রানে রশিদকে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়া হোপ ফেরেন ৯২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৭ রানে। পঞ্চম উইকেটে ৬৯ বলে পাঁচটি করে ছক্কা-চারে ১০৫ রান করেন পুরান-হোল্ডার জুটি। শেষ চার বলে ১৪ রান আদায় করে দলীয় সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩১১ তে নিয়ে যান কার্লোস ব্রাথওয়েট। শেষ দশ ওভারে আসে ১১১ রান।
নয় ম্যাচে সবকটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানীতে থেকেই আফগানিস্তান। তাদের ঠিক উপরে থেকে আসর শেষ করা উইন্ডিজের পাশে দুই জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচের সুবাদে ৫ পয়েন্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ৩১১/৬ (গেইল ৭, লুইস ৫৮, হোপ ৭৭, হেটমায়ার ৩৯, পুরান ৫৮, হোল্ডার ৪৫, ব্র্যাথওয়েট ১৪*, অ্যালেন ০*; মুজিব ১০-০-৫২-০, দৌলত ৯-১-৭৩-২, শিরজাদ ৮-০-৫৬-১, গুলবাদিন ৩-০-১৮-০, নবি ১০-০-৫৬-১, রশিদ ১০-০-৫২-১)।
আফগানিস্তান : ৫০ ওভারে ২৮৮ (গুলবাদিন ৫, রহমত ৬২, ইকরাম ৮৬, নাজিবুল্লাহ ৩১, আসগর ৪০, নবি ২, সামিউল্লাহ ৬, রশিদ ৯, দৌলাত ১, শিরজাত ২৫, মুজিব ৭*; কটরেল ৭-০-৪৩-০, রোচ ১০-২-৩৭-৩, থমাস ৭-০-৪৩-১, হোল্ডার ৮-০-৪৬-০, অ্যালেন ৩-০-২৬-০, ব্রাথওয়েট ৯-০-৬৩-৪, গেইল ৬-০-২৮-১)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ রাজে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শাই হোপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।