নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটি ক্যাচ হাতছাড়া, একটি বড় জুটি না হওয়া, একটি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা, আক্ষেপ অনেক। হতাশাও তাই যথেষ্ট। ভারতের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি এখনও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে দল তাকিয়ে শেষ ভালোর স্বস্তির আশায়। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি আজ। ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে যেটি হবে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জিততে পারলে সুযোগ থাকবে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার।
গতপরশু দুপুরে বার্মিংহাম থেকে শেষ ম্যাচের শহর লন্ডনে রওনা হয়েছে দল। টিম বাসে ওঠার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া সকলের কণ্ঠেই ছিল হতাশার ছাপ স্পষ্ট। স্বভাবতই মাশরাফি বিন মুর্তজার হতাশাটা মনে হলো সবচেয়ে বেশি। বার্মিংহাম ছেড়ে যাওয়ার আগে তবু জানালেন শেষ ম্যাচ নিয়ে আশার কথা, ‘টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভালো খেলেছি। তবে ছোট ছোট কিছু জিনিস ঠিক করতে পারিনি বলে ছিটকে পড়েছি। হতাশাটা সেখানেই যে আমাদের হাতে যা ছিল, সবটুকু আমরা করতে পারিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যেমন, তেমনি আগের হেরে যাওয়া ম্যাচগুলোতেও কিছু দিক একটু-এদিক সেদিক হলে, কয়েকটি মুহূর্ত নিজেদের পক্ষে নিতে পারলে আমরা জিততাম। হয়ত আজ সেমিতে থাকতাম। টুর্নামেন্টের নিয়মে তবু আরেকটি ম্যাচ খেলতে হবে। পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করতে পারলে সেটা কত বড় প্রাপ্তি হবে জানি না। তবে প্রতিটি ম্যাচ আমরা জয়ের জন্য নামি, এই ম্যাচেও সেটি চাইব।’
জয় দিয়ে শেষ করার তাড়না স্টিভ রোডসের কণ্ঠেও। দলকে পেশাদারিত্ব নিয়ে মাঠে লড়াই করতে দেখতে চান কোচ, ‘শুক্রবার পাকিস্তানের ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি আমি। এশিয়া কাপে আমরা ওদেরকে হারিয়েছি। ওরা অবশ্যই চাইবে এবার অন্যরকম কিছু করতে। তবে সা¤প্রতিক পারফরম্যান্সে আমরা দেখিয়েছি, আমাদেরকে হারানো সহজ হবে না। আমাদের কাজও সহজ হবে না। গত কয়েকটি ম্যাচে তারা ফর্ম ফিরে পেয়েছে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আগের ম্যাচগুলোর আক্ষেপ আমরা পাকিস্তান ম্যাচে রাখতে চাই না। আশা করি ছেলেরা পেশাদারিত্ব নিয়ে মাঠে নামবে এবং কঠিন লড়াই করবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পয়েন্ট পেতে মরিয়া থাকব আমরা।’
যার লড়াকু ব্যাটে চড়ে ভারতজয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ সেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে মনে হলো সবচেয়ে বিদ্ধস্ত, ‘অবশ্যই আমরা সবাই খুব হতাশ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা এসেছিলাম। ছিটকে পড়ে সবার মন খারাপ। এরপরও আমাদের সামনে তাকাতে হবে। শেষ ভালো যার, সব ভালো তার, এটা কথায় আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমরা জয়ের জন্যই নামব। জিততে পারলে অন্তত খুশি মনে শেষ করতে পারব।’
সবশেষ চারটি দেখায় পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে বিদায় করেই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ থেকে প্রেরণা নিচ্ছেন সাইফ, ‘শেষ কয়েকটি দেখায় আমরা পাকিস্তানেকে হারিয়েছি। গত এশিয়া কাপেও জিতেছিলাম। আশা করি এবার লর্ডসে ওদের হারাতে পারব।’
কাগজে কলমে এখনও টিকে আছে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। তবে সেজন্য পাড়ি দিতে হবে এক অসম্ভব পথ। বাংলাদেশকে কমপক্ষে ৩১৬ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে সরফরাজ আহমেদের দলকে! অথবা বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাট করে তিনশ’ পেরিয়ে যায়, তবে পাকিস্তানকে সেটি তাড়া করতে হবে ১৬ ওভারের মধ্যেই! শুধু অসম্ভবই নয়, দুঃস্বপ্নই বটে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।