Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১২ লাখ শিশু-কিশোরকে ইন্টারনেট সুরক্ষার কৌশল শেখাবে গ্রামীণফোন-ইউনিসেফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ৭:১৯ পিএম

২০২১ সালের মধ্যে দেশের ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে ইন্টারনেট সুরক্ষার কৌশল শেখাবে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ। একটি কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা আরও জোরদার করতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, ইন্টারনেট শিশুদের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা তথ্য, শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে তাদের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে অনুপযুক্ত উপকরণ ও আচরণের মাধ্যমে ইন্টারনেট শিশুদের সহিংসতা, নিগ্রহ ও অপব্যবহারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই শিশুর অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানো ও জোরদার করা শীর্ষক প্রকল্পটি ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। বাবা-মায়েদের সংবেদনশীল করে তোলাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য, কেননা ইন্টারনেটে শিশুরা কী ধরনের বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হয় তা নিয়ে ভীতির কারণে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধা দেয়। এটা শিশুদের ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগকে ব্যাহত করে। শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দিতে এই প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ বাবা-মা, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ইউনিসেফ -এর ডেপুটি রিপ্রেসেনটেটিভ ডারা জনস্টন বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি শিশু যাতে সুরক্ষিত এবং সব ধরনের সহিংসতা, নিগ্রহ ও অপব্যবহার থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করতে কাজ করে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের সব শিশুকে অবশ্যই যথাযথ দক্ষতা অর্জন করে নিরাপদে এবং উপযুক্ত পরিবেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হতে হবে। অনলাইন সুরক্ষা সম্পর্কে বাস্তবসম্মত পরামর্শগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকরণ করবে এবং এগুলো বাংলাদেশে শিশুদের জন্য শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।

গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওলে বিয়র্ন বলেন, আমরা ডেটা যুগে প্রবেশ করেছি, তাই সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে অনলাইনে নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে আমাদের সমাজকে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করে তা বিশ্বময় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইন্টারনেট যেভাবে একটি শিশুর শেখা, বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে তা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি ভারমাস্য আনতে এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করতে প্রতিবছর আমরা গ্রামীণফোনে এই চাইল্ড অনলাইন সেইফটি ক্যাম্পেইন আয়োজন করি। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইন্টারনেট বিষয়ে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং যথাযথ জ্ঞান অর্জন করবে।

টেলিনর গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাসটেইনইবিলিটি) মনীষা ডগরা বলেন, সংযোগ সমাজের ক্ষমতায়ন করতে এবং বৈষম্য কমাতে পারে। আমরা ২০২০ সালের মধ্যে যেসব দেশে আমাদের কার্যক্রম রয়েছে সেসব দেশজুড়ে ৪০ লাখ শিশুকে অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই অংশীদারিত্ব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণফোন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ