Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের কাছে সড়কে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই

সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দে নাকাল যাত্রীরা

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৯, ৩:২৫ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পাটুরিয়া। এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার ছোট বড় যানবাহন ও হাজার হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়ে থাকে। এত বড় সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য দৌলতদিয়ায় রয়েছে ৬ টি ফেরি ঘাট ও একটি লঞ্চঘাট। 

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখাযায়, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের কাছে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের প্রায় দেড়’শ মিটার এলাকা পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। খানাখন্দে সামান্য বৃষ্টি আটকে থাকছে পানি। এই রুট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ময়লা কাদামাটিতে নাকাল হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ্য সড়কের পাশে থাকা ফল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটুকু দিনের পর দিন ভেঙ্গে চুরে নষ্ট হয়ে আছে কর্তৃপক্ষ সড়ক মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। যে কারণে সড়কে বড় বড় গর্তের তৈরি হয়েছে। আর এসব গর্তে যানবাহনের চাকা পড়লেই পানি ছিটে এসে ময়লা হচ্ছে দোকানে সব ফল। যা পরে আর বিক্রির উপযোগী থাকছে না।

ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালক, খালেক মোল্লা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে এই সড়কে যাত্রীর চাপ বেশি ছিলো। যাত্রীদের পরিবহন করে আনার সময় এই অংশে এসে আমার রিকশা করেকবার বিকল হয়েছে। অনেক অটোরিকশা এখানে যাত্রী নিয়ে এসে উল্টে যাচ্ছে। তাছাও ভারী ট্রাক আসলে গর্তে চাকা পরে ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করেও অনেকে গাড়ি তুলতে পারে না। যে কারনে গারির একটি জট তৈরি হয়।
বাসচালক হানিফ দেওয়ান বলেন, ঈদের আগে কর্তপক্ষ সামান্য ঈদের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে কোনমতে মেরামত করলেও এই সড়কটি আবার চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পরেছে। এখানে ভালোভাবে শক্ত করে মেরামত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্পোরেশন ( বিআইডব্লিটিসি ) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের কাছে এই সড়কে কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে এখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই যে কারনে মেরামতের দুই এক মাসের মধ্যেই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ ( সওজ ) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা খুলনা মহাসড়কটি সওজের তত্ত¡বধানে রয়েছে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ ওই সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে পানি নিষ্কাশনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারনে সড়কটি বারবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। ওই স্থানে এক’শ মিটার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরি করতে ৯ লক্ষ টাকার একটি দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। কাজটি সমাপ্ত হলে সড়কটি চলাচলের উপযোগি হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ