Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রামে খাল উদ্ধারে তোড়জোড়

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

পানিবদ্ধতা নিরসন মহাপ্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীতে খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ কার্যক্রম শুরু করেছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে নগরীর বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার পাশে রাজাখালী খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। এতে দোতলা ভবন ও সেমিপাকা ঘরসহ খাল দখল করে গড়ে তোলা ২৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে। সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রথমদিন কল্পলোক আবাসিকের পাশে রাজাখালী খালে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

পর্যায়ক্রমে নগরীর ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ওই খালে বহুতল ভবনসহ একাধিক সেমিপাকা ঘর রয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে এসব স্থাপনা সরানো হবে। এ কার্যক্রম আগামী দুই মাস পর্যন্ত চলবে।

২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেনাবাহিনী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ