নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মরা ম্যাচে রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনায় যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়াড়দের জুড়ি নেই তা আবারও দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বিশ্বকাপকে এমন এক রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। গতকাল শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ব্রাথওয়েটের ভূমিকায় দেখা দিলেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু এবারও হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে উইন্ডিজকে।
চেস্টার লি-স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে জিততে হলে বিশ্বকাপে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হত উইন্ডিজকে। দ্রুত উইকেট হারানোয় তা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। পুরানের সেঞ্চুরি ও ফাবিয়ান অ্যালানের ঝড়ো ফিফটিতে ম্যাচে প্রাণ ফেরে বটে কিন্তু শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নেয় শ্রীলঙ্কা। ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ৯ উইকেটে ৩১৫ রানে আটকে যায় ক্যারিবীয় ইনিংস।
২৩ রানের জয়ে বাংলাদেশকে সাতে ঠেলে ছয়ে উঠে আসলো লঙ্কানরা। তবে একটু বেশিই দেরি করে ফেলেছে তারা। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। আগের দিন ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হওয়ার পাশাপশি সব আশা নিভে যায় শ্রীলঙ্কার।
৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে উইন্ডিজ। পুরান ক্রিজে এসে পাল্টে দেন ম্যাচের চিত্র। হোল্ডারকে নিয়ে ৬১ ও ব্রাথওয়েটকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন ২৩ বছর বয়সী। ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরায় পুরান ও অ্যালেনের ৫৮ বলে ৮৩ রানের জুটি। ৩২ বলে ৫১ করা অ্যালেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে কাটা পড়েন। কিন্তু আশা তখনও বেঁচে ছিল ৯৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া পুরানের ব্যাটে। ৪৭তম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের প্রথম বল সেই সলতে এক ফুতকারে নিভিয়ে দেয়। পুরানের ইনিংস থামে ১০৩ বলে ১১ চার ও ৪ ছয়ে ১১৮ রান করে। শুরুর ৫ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেওয়া লাসিথ মালিঙ্গা ৫৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
হোল্ডার বাহিনীর বোলিং-ফিল্ডিং এদিনও ছিল যাচ্ছেতাই। তারই সুযোগ নেয় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন প্রায় সবাই। তার মাঝে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে ফার্নান্ডোর ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ইনিংসটি। চলতি আসরেও কোনো শ্রীলঙ্কানের প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
কুসল পেরেরার সঙ্গে ১৬ ওভারে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ফেরেন সাবধানে এগুতে থাকা অধিনায়ক করুনারত্নে (৪৮ বলে ৩২)। আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকা কুসলও (৫১ বলে ৬৪) রান আউটে ফেরেন খানিক বাদেই। এরপর তিনটি ফিফটি জুটিতে নেতৃত্ব দেন ফার্নান্ডো। কুসল মেন্ডিসের (৪০ বলে ৩৯) সঙ্গে ৮৫, ম্যাথিউসের (২০ বলে ২৬) সঙ্গে ৫৮ ও লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ২১ বছর ৮৭ দিন বয়সী এই তরুণ টপঅর্ডার। ১০০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর পরই অবশ্য আউট হয়েছেন ১০৪ রানে। তার ম্যাচ সেরা ১০৩ বলের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ২ ছয়ের মার। বিশ্বকাপে তার চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন কেবল অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (২১ বছর ৭৬ দিন) ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং (২০ বছর ১৯৬ দিন)।
৩৩ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে সংগ্রহটা ৩৩৮-এ নিয়ে যান থিরিমান্নে। ৫৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের সেরা বোলার হোল্ডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।