মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে রোববার উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শাসক কিম জং উনকে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন তিনি। দীর্ঘ আলোচনার পর পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার নিয়ে জট কাটাতে ফের উদ্যোগী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
ট্রাম্প স্পষ্ট জানালেন, “বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য আপনাদের সঙ্গে আলোচনা চাই আমি। আলোচনা ছাড়া সমস্যা সমাধানের পথ নেই। দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সঙ্গে আলোচনা চায়।” ট্রাম্পের অনুরোধ ও বার্তা ফেলতে পারেননি কিম। আক্ষরিক অর্থেই পিতৃতুল্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন করে হাসিমুখে তাঁকে নিজের দেশে স্বাগত জানান কিম। তিনিও পত্রপাঠ ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে আলোচনার জন্য রাজি হয়ে যান। ট্রাম্প কিমের সঙ্গে ফোটোগ্রাফারদের সামনে পোজ দেন। ট্রাম্প কিমের পিঠে হাত রেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের দিকে কিছুটা হেঁটে যান। সেখানে তখন সপারিষদ উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন। তিনিও এগিয়ে এসে সবিনয়ে কিমের সঙ্গে করমর্দন করেন। দু’জনে হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মাঝখানে ট্রাম্পকে রেখে দু’পাশে দাঁড়ান মুন জায় এবং কিম। তার পর ছবি তোলেন।
উল্লেখ্য, পদে থাকাকালীন এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন। দুই কোরিয়ার বিভাজন রোখা বা সীমান্ত কোরিয়ান ডিলিমিটারাইজড্ জোন-এ (ডিএমজেড) গিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘স্বৈরাচারী’ শাসক কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করার ঘটনা এশিয়ার ইতিহাসে লেখা থাকবে। দু’জনের একটি বৈঠকও হয় এদিন। ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে এ এক বিরাট দিন। এখানে আসতে পারা আমার কাছে সম্মানের। অনেক কিছু ঘটতে চলেছে।’’
কিম-ট্রাম্প বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। এই বৈঠককে শান্তির করমর্দন আখ্যা দিয়ে কিম বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরেখায় এই বৈঠকই প্রমাণ করে, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে এসেছি।’’ ট্রাম্পও বলেছেন, ‘‘কিম তার পছন্দমতো যে কোনও সময়ে হোয়াইট হাউসে স্বাগত।’’
ওসাকায় ছিল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। মোদি ও শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকের পর সেখানেই ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটনের অচলাবস্থা কাটাতে বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে। তারপরই তিনি কিমের সঙ্গে নাটকীয়ভাবে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং-এর পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন আমেরিকা। অনেক বার কোরিয়াকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা তোপ দেগেছেন কিমও। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে ট্রাম্পের উপস্থিতি সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলতে পারে। গত দু’বছরে সিঙ্গাপুর ও হ্যানয়ে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন ট্রাম্প-কিম। তবে তাতে কার্যকরী সমাধান সূত্র মেলেনি। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ কোরিয়ার যুদ্ধের পর আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি হয় কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়ার। জাপানে ওসাকা থেকে সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার পানমুনজমে পা রাখেন ট্রাম্প। তার ব্যক্তিগত বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান-এ সফরসঙ্গী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। তাঁদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন কিম জং উন। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।