Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারেগামাপাতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও তৃতীয় হচ্ছেন নোবেল!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ৬:০১ পিএম

দর্শক ভোটে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রথম হতে পারলেন না বাংলাদেশের নোবেল। গ্র্যান্ড ফাইনালের আসরে তাকে তৃতীয় করা হয়েছে। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার গান বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র মাধ্যমে বিস্ময় বালক হিসেবে আখ্যায়িত হন বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল।

এই বিশেষণটি বেশিরভাগ সময়ই এসেছে আয়োজনের বিচারকদের তরফ থেকে। তবে তাদের উচ্ছ্বাস ও দর্শক ভোটে এগিয়ে থাকলেও গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে পারছেন না এই তারকা। তাকে তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
গত ২৯ জুন ‘সা রে গা মা পা’-এর এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফাইনালের পর্ব ধারণ করা হয়েছে। যা জি বাংলায় প্রচার হবে আগামী ২৮ জুলাই। ফাইনালের পর্বের ধারণ করা পর্বে দেখা যায় এতে প্রথম হয়েছেন অঙ্কিতা। যৌথভাবে প্রথম রানারআপ গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও মাঈনুল আহসান নোবেল!
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায়, বিচারকদের রায়ে এই ফল হলেও দর্শক ভোটে সেরা নোবেল। তিনি ‘মোস্ট ভিউয়ার চয়েস’-এ বিজয়ী হয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরস্কার নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সারেগামাপা দুই বাংলার জনপ্রিয় একটা রিয়েলিটি শো। এর মাধ্যমে আমি দুই দেশেই পরিচিতি পেয়েছি। সবাই আমার গান পছন্দ করেছেন, আমাকে ভালোবেসেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। গ্র্যান্ড ফিনালে রেকর্ড হয়েছে কিন্তু প্রচার হতে এখনও প্রায় এক মাস বাকি। তাই এটা নিয়ে আমি এখন অফিসিয়ালি কিছু বলতে পারছি না। আমি আগেই বলেছি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে আমার গানটা ঠিকমতো গাওয়ার দিকে জোর দিয়েছি। সেই অনুযায়ী ফল হয়েছে। তা যাই হোক, আপনারা আগে যেমন আমার সঙ্গে ছিলেন, আগামীতেও সঙ্গে থাকবেন এটাই আশা করছি।
এদিকে গত শনিবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে চূড়ান্ত পর্বের দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় তখন। সে সময়ই অনুষ্ঠানের একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী অঙ্কিতার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির চাবি। পুরস্কার হাতে পাশে দাঁড়িয়েছে আছেন প্রথম রানারআপের দুইজন। তাদের সবার পেছনে অবস্থান করছেন নোবেল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয়েছিল ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। ভারতের নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল ইসলাম নোবেল। বাকিরা নানা ধাপে ছিটকে গেলেও গোপালগঞ্জের তরুণ নোবেলই জায়গা করে নেয় চূড়ান্ত পর্বে।
পুরো আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র, কৌষিকী চক্রবর্তী, মোনালি ঠাকুর ও পন্ডিত তন্ময় বোস।



 

Show all comments
  • বাদল ১ জুলাই, ২০১৯, ৮:৩২ পিএম says : 0
    এবার কি বলবেন কোলকাতাবাসী। বাংলাদেশীরা এটা বলে সেটা সেটা বলে।নোবেল কে নিয়ে কোলকাতার বিচারকরা যে তামাসাটা করলো তার কোন জবাব আছে?
    Total Reply(0) Reply
  • sohel ১ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৬ পিএম says : 0
    kolkata lok hoce batpar
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী আলীম জীবন ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৪:৩৪ এএম says : 0
    আমরা দেখলাম, মোনালী পালালো সুখ!বান্দরের সাথে কলংকজনক কলকাঠি নেড়ে। যে স্নিগ্ধজিত ফাইনালে এলো ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। সে হয়ে গেলো ১ম রানার আপ। শৃগাল শ্রীকান্ত, ার বান্দর সিং ..... দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে অংকিতার দিকে।একটি হাস্যকর ফাইনাল। কি কলকাতাবাসী? কোথায় গেল নিরপেক্ষতা? গান্ধির অহিংসনীতি ভারতে আছে কি? জিবাংলা একটি দূর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। সুখবান্দরের অংকিতাকে বেস্ট ঘোষনা, স্নিগ্ধজিতকে আসমানে ওঠানো মুল ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। মোনালী ও শৃগাল শ্রীকান্ত বান্দরকে উসকে দিয়েছে। চরম নির্লজ্জ ফলাফল সারেগামাপার আগামী ভবিষ্যতকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। বানরের ভয়ে সবাই বিচারই ভুলে গেছে। দর্শকের মনে আঘাত দিয়ে অনুষ্ঠান টাই মাটি করে দিয়েছে। সামনে প্রতিযোগীরা আগে খবর নেবে বিচারক হিসাবে কারা থাকবে, তার উপর নির্ভর করবে অংশ নেওয়া না নেওয়া।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ