নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বার্মিংহামের এসবাস্টনে রান তাড়া করে জয় পাওয়া কঠিন। এখানে চারশ রানেরও ইনিংস আছে বটে কিন্তু সর্বোচ্চ তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ২৬৪। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রাফিতে বাংলাদেশের এই রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। এবার সেই ভারতের সামনে ইংল্যান্ড ছুড়ে দিয়েছে ৩৩৭ রানের চ্যালেঞ্জ। শুধু মাঠ নয়, জিততে হলে বিশ্বকাপেই রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হত বিরাট কোহলির দলকে।
টসজয়ী ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল বিস্ফোরক। জেসন রয় চোট কাটিয়ে দলে ফিরতেই পাল্টে যায় ইংল্যান্ড দল। আগের দুই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটি টেকে দুই বল। গতকাল রয় ও জনি বেয়ারস্টোর দেড়শোর্ধো রানের উদ্বোধনী জুটিতে বিশাল সংগ্রহের ভীত পেয়ে যায় বিশ্বকাপ স্বাগতিকরা। এরপরও যে তারা শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৩৭ রানে আটকে গেল এর কৃতিত্ব মোহাম্মাদ শামির। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের রানে বাধ দেন এই পেসার।
রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের শুরুটা নড়বড়ে হয়ে যায় লোকেশ রাহুল শূন্য রানে বিদায় নিলে। এরপর সাবধানী ব্যাটিং করতে ধাকেন রোহিত শর্মা ও কোহলি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫৭ রান।
এই ম্যাচ জিতে শেষ চার নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। অন্যদিকে হারলে সেমির আশা কঠিন হয়ে বাংলাদেশের সেমির আশা কঠিন হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। তাতে অবশ্য লাভ হত বাংলাদেশেরই। এই ম্যাচের আগে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ছিল ভারত। সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ইংল্যান্ড।
সাবধানী শুরু করার পর দুই ইংলিশ ওপেনার হাত খোলা শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া বোলিংয়ে আসার পর। আরো স্পষ্ট করে বললে -ভারত ভুলটা করার পর। পান্ডিয়ার লাফিয়ে ওঠা বল পুল করতে চেয়েছিলেন রয়। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় মাহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বস্থ গ্লাভসে। আপিলও হলো। কিন্তু আম্পায়ার আলিম দার দিলেন ওয়াইড। রিভিউ নিলেন না ভারত অধিনায়ক।
ইংল্যান্ড ইনিংসের তখন একাদশতম ওভার। দলীয় রান ৪৯, রয়ের পাশে ২১। পরের দুই বলে টানা ছক্কা-চার হাঁকিয়ে রয় বুঝিয়ে দিলেন বড় ভুল করে ফেলেছে ভারত। রয়-বেয়ারস্টোর ঐ জুটি থেকেই পরের দশ ওভারে আসে ১০৯ রান। ২২তম রয় যখন কুলদিপ যাদবের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তখন তার নামের পাশে ৫৭ বলে ৬৬। বিচ্ছিন্ন হয় ২২ ওভারে ১৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
৩০ ওভারে আসে দলীয় ২০০। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে খুনে মেজাজে ক্রিজে তখন বেয়ারস্টো। ৩৬০-৩৭০ মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। ৩১তম ওভারে ৯০ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করা বেয়ারস্টো আউট হন শামির প্রথম শিকার হয়ে। ১০৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নিজের পরের ওভারে অধিনায়ক ইয়ন মরগানকেও ফেরান শামি। ভাটা পড়ে ইংল্যান্ডের রানে। চতুর্থ উইকেটে জো রুট (৫৪ বলে ৪৪) ও বেন স্টোকসের ৭০ রানের জুটিও বিচ্ছিন্ন করেন শামি। ৮ বলে ২০ রান করা জস বাটলারকেও দ্রুত ফিরিয়ে রানে বাধ দেন এই ডানহাতি। নিজের শেষ ওভারে ক্রিস ওকসকে তুলে নিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেটের কোটা।
শামি তান্ডবের মাঝে বুক চিতিয়ে রান করে গেছেন স্টোকস। জাসপ্রিত বুমরাহর করা ইনিংসের শেষ ওভারের আউট হওয়ার আগে ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রান করে দলের সংগ্রহটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে যান এই মিডিলঅর্ডার।
ভারতের দুই স্পিনারই ছিলেন খরুচে। ৮৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন যোগেন্দ্র চাহাল। যাদব ৭২ রানে নেন ১ উইকেট। শামির ৫ উইকেট আসে ৬৯ রানের খরচায়। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৪ রানে ১ উইকেট নেন বুমরাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।