নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিরানব্বই বিশ্বকাপের সেই স্বরণীয় যাত্রার সঙ্গে মিল রেখে এবারো বিশ্বকাপে অগ্রযাত্রা অব্যহত রেখেছে পাকিস্তান। আসরে তাদের অষ্টম ম্যাচটি জিততে অবশ্য কাটখড় পোড়াতে হয়েছে। লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল। সহজ সেই লক্ষ্য কঠিন করে তোলেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে গড়ানো রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে সরফরাজ বাহিনী।
লিডসের হেডিংলির মন্থর উইকেটে বিশ্বকাপের ৩৬তম ম্যাচে শাহিন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ২২৭ রানে আটকে দেয় পাকিস্তান। মামুলি লক্ষ্য পেরুতে ৪৯.৪ ওভার ব্যাট করতে হয়েছে সরফরাজ আহমেদের দলকে। অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সাত নম্বর ব্যাটসম্যান ইমাদ ওয়াসিম।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। অফ স্টাম্পের বাইরে গুলবাদিন নাইবের করা চতুর্থ বলটি ঠাণ্ডা মাথায় বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইমাদ।
আট ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে উঠে এসেছে পাকিস্তান। তিন পরাজয়ের বিপরীতে তাদের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ৮ পয়েন্ট পাওয়া ইংল্যান্ড নেমে গেছে পাঁচে, ছয়ে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আফগান স্পিনাররা। উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারিও। কিন্তু তার দুই ওভার কেন আফগান অধিনায়ক কাজে লাগাননি এই প্রশ্ন রয়েই যায়। বিপরীতে খরুচে বোলিং করেন গুলবাদিন। আফগান স্পিনের সামনে রান তোলোর পথ খুঁজে পাচ্ছিলেরন না ইমাদ ও শাদব খান। এমন সময় গুলবাদিন এসে দেন এক ওভারে ১৮ রান। এরপর হাতে চার উইকেট নিয়ে ২৪ বলে ২৮ রানের হিসাব মিলিয়ে নেয় পাকরা। সপ্তম উইকেটে ৫০ তাদের রানের জুটিই দলকে ম্যাচ জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মুজিব উর রহমানের বলে লেগ বিফোর হয়ে যান ফখর জামান। ম্যাচ সর্বোচ্চ ৭২ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক (৩৬) ও বাবর আজম (৪৫)। নিজের টানা দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে দলকে আসরে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখান দুর্দান্ত বোলিং করা মোহাম্মাদ নবি। এরপর থিতু হয়ে আউট হন মোহাম্মাদ হাফিজ (১৯), হারিস সোহেল (২৭) ও সরফরাজ (১৮)।
আফগানিস্তানের সাত ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও তাদের ইনিংসেও কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ইনিংস নেই। সর্বোচ্চ ৪২ রান করে আসে আসগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জদরানের ব্যাট থেকে। মন্থর উইকেটে দ্রুত তিন উইকেট তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররাও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তান বোলাররা ব্যাটসম্যানদের জন্য লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে রেখে দেন।
টানা দুই বলে গুলবাদিন নবি ও হাশমতউল্লাহ শহিদিকে ফেরান শাহিন। শুরু থেকে শট খেলতে থাকা ওপেনার রহমত শাহকেও নিজের শিকারে পরিণত করে স্কোরবোর্ড ৩ উইকেটে ৫৭ করে দেন এই তরুণ পেসার। এরপরই আসে আফগান ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। স্রোতের বিপরীতে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকা আসগর আফগানকে বোল্ড করে ৬৪ রানের সেই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন শাদব খান। শেষদিকে দুটি ত্রিশোর্ধো জুটিতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন নাজিবুল্লাহ। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা শাহিন ৪৭ রানে তুলে নেন চার উইকেট। দুটি করে নেন ইমাদ ও ওয়াহাব রিয়াজ।
আফগানিস্তানের এটি অষ্টম ম্যাচ। নিজেদের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি তারা। ৪ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে আরেক বিদায়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে আফগানরা। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান : ৫০ ওভারে ২২৭/৯ (রহমত ৩৫, ইকরাম ২৪, আসগর ৪২, নবি ১৬, নাজিবউল্লাহ ৪২, সামিউল্লাহ ১৯*; ওয়াসিম ১০-০-৪৮-২, আমির ১০-১-৪১-০, আফ্রিদি ১০-০-৪৭-৪, ওয়াহাব ৮-০-২৯-২, শাদাব ১০-০-৪৪-১)।
পাকিস্তান : ৪৯.৪ ওভারে ২৩০/৭ (ইমাম ৩৬, বাবর ৪৫, হাফিজ ১৯, হারিস ২৭, সরফরাজ ১৮, ওয়াসিম ৪৯*, শাদাব ১১, ওয়াহাব ১৫*; মুজিব ১০-১-৩৪-২, গুলবাদিন ৯.৪-০-৭৩-০, নবি ১০-০-২৩-২, রশিদ ১০-০-৫০-১, সামিউল্লাহ ৮-০-৩২-০)।
ফল : পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইমাদ ওয়াসিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।