বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-হজ সিস্টেমে শত শত বাংলাদেশী হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু হচ্ছে না। ফলে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো গ্রুপ ভিসার হজযাত্রীদের হজে পাঠাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। হজযাত্রীর মোফা পাওয়া গেলেও অনেক এজেন্সির হজ ভিসা প্রিন্ট না হওয়ায় একই হজ ফ্লাইটে হজযাত্রী পাঠানো সম্ভব হবে না। এতে হজ ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করতে হবে। ফলে হজ ফ্লাইট খালি যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু না হলেও ই-হজ সিষ্টেমে সেন্ট টু এ্যাম্বাসি লেখা আসছে। হজ এজেন্সিগুলো এসব হজযাত্রীদের হজ ভিসার জন্য ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসে গিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছে না। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বলছে হজ ভিসা দেয়া আমাদের কাজ না। এসব সঙ্কট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব। এদিকে, ১০% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট না দেয়ায় প্রথম দিকের অনেক হজ ফ্লাইট খালি যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আগামী ৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টায় বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩০০১) ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকাত্যাগ করবে। এর আগে ৩ জুলাই দিবাগত রাত ৩ টা ৫ মিনিটে সাউদিয়া এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট (এসভি-৮০৩) যোগে বাংলাদেশ থেকে প্রথম হজযাত্রীর দল জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকাত্যাগ করবে। রাজশাহী ট্রাভেলসের ১০০ জন হজযাত্রী উল্লেখিত শিডিউল ফ্লাইটে সউদী যাবেন। রাজশাহী ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহী ট্রাভেলসের ৪শ’ হজযাত্রীর মধ্যে ৩৫ জন হজযাত্রীর মোফা পাওয়া গেলেও সিজেলটেকের সার্ভার সমস্যার কারণে ৩৫ জন হজযাত্রীর ভিসা পাওয়া যায়নি।
হজ ভিসা না পাওয়ার কারণে নির্ধারিত হজ ফ্লাইটে হজযাত্রীরা সউদী যেতে না পারলে বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্স এসব টিকিটের টাকা ফেরত দিবে না। একাধিক হজ এজেন্সির মালিক বলেছেন, সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত আইটি ফার্ম সিজেলটেক-এর সার্ভারে সমস্যার কারণে প্রত্যেক হজ এজেন্সিই ১০ থেকে ৩৫ জন হজযাত্রীর মোফার ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হজ ফ্লাইটের প্রথম দিকে অনেক সিট খালি যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাতে মক্কা-আল মুকাররমা থেকে জাবাল-ই-নূর ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মুফতি জুনায়েদ গুলজার ইনকিলাবকে বলেন, গত বছর ১৫% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়ায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমে কোনো ক্ষতি হয়নি। চলতি বছরও ধর্ম মন্ত্রণালয় মাত্র ৫% রিপ্লেসমেন্ট দিয়েছে । তিনি বলেন, ১৫% রিপ্লেসমেন্ট দেয়ার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি। সরকার কেন বাকি ১০% রিপ্লেসমেন্ট দিচ্ছে না বোধগম্য নয়। তিনি সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে অনতিবিলম্বে ১০% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট অনুমোদনের জোর দাবি জানান। অন্যথায় অনেক হজ ফ্লাইট খালি যাব এবং এজেন্সির মালিকরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বের হজযাত্রীদের অনলাইনে হজ ভিসা ইস্যু করছে সউদী সরকার। অন্যান্য বছরের মতো এবার আর পাসপোর্ট নিয়ে সউদী দূতাবাসে দৌঁড়-ঝাঁপ করতে হচ্ছে না হজযাত্রীদের।
হজযাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত অনলাইনে গ্রহণ করে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি ভিসা প্রদান করছে। তবে অনলাইনে পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে ভিসা প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ১৩২ জন ভিসা পেছেন। মাসুম এয়ার ট্রাভেলসের (এইচ এল-১০১২) স্বত্বাধিকারী মাসুম জানান, তার ২৮৫ জন হজযাত্রীর মধ্যে ২১ জন হজযাত্রীর ভিসা পাননি। ফলে আগামী ৪ জুলাই সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট (এসভি-৮০৯) যোগে হজযাত্রীদের সউদী যাওয়া অনিশ্চত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সউদী এ্যাম্বাসিতে গিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। সালামত ট্রাভেলস ও মুলতাজিম ট্রাভেলসও বেশ কিছু হজযাত্রীর ভিসা না পাওয়া চরম হতাশায় রয়েছে এ দুটির মালিকরা। ইউরো এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই অবিলম্বে ১০% রিপ্লেসমেন্ট অনুমোদন দিতে হবে । অন্যথায় হজ ফ্লাইট নিয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।