পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কাতারে এফ-২২ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনী এ কথা বললেও জানানো হয় নি, কি পরিমাণ বা কতগুলো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাতারের ওপর দিয়ে ৫টি এমন যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এর মধ্য দিয়ে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকর অবস্থায় উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করলো। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সেস সেন্ট্রাল মিলিটারি কমান্ড বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও স্বার্থকে রক্ষা করার জন্যই মোতায়েন করা হয়েছে এয়ারফোর্সের এফ-২২ র্যাপটর যুদ্ধবিমান। উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পশ্চিমা কয়েকটি শক্তিধর দেশকে নিয়ে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করেন। তার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ শিথিল করা হয়। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর একতরফাভাবে তিনি সেই চুক্তি প্রত্যাহার করেন। ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, যেকোনো সময় সেখানে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করে ইরান। কয়েকটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালানো হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় ইরানকে। তবে ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এসব মিলে সেখানে সামরিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েও শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প পিছুটান দেন। যুদ্ধ লাগতে লাগতে রক্ষা পায় ইরান। এর পর থেকেই পরস্পর শত্রুতে পরিণত হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।