নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বড্ড দেরিতে জ্বলে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিস মরিস-কাগিসো রাবাদাদের বলে সেই তোপ, হাশিম আমলা-ফাফ ডু প্লেসিসদের ব্যাটে রান, সবকিছুরই দেখা মিলল বিশ্বকাপ থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর।
চেস্টার-লি-স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে গতকাল বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য মাত্র এক উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবিচ্ছিন্ন ১৭৫ রানের জুটিতে ৭৬ বল হাতে রেখে দলের ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন আমলা ও ডু প্লেসিস।
রান তাড়ায় দুজন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়েন ডু প্লেসিস। দলের জয়ের জন্য যখন দরকার ১২, ডু প্লেসিসের সেঞ্চুরি হতেও তখন লাগে ১২ রান। সেদিকে নজর দিলেন না কেউই। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন দলীয় অধিনায়ক। আমলার অপরাজিত ১০৫ বলে করা ৮০ রানের ইনিংসে চার ছিল পাঁচটি।
স্বান্ত¦না পুরস্কার ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার এই ম্যাচ থেকে পাওয়ার কিছুই নেই। আট ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। তাদের নামের পাশে এ নিয়ে যোগ হলো ৫ পয়েন্ট। তবে এক ধাপ এগিয়ে দশ দলের তালিকায় তারা আটে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে এই পরাজয়ে সেমিফাইনালের পথ অনেকটা কঠিন হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার জন্যে। সাত ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় পরাজয়। জয় দুই ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। সব মিলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা সাতে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে টপকে পাঁচে উঠে আসত লঙ্কানরা। সেই অর্থে শ্রীলঙ্কার হার কাম্যই ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য।
শ্রীলঙ্কার আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও কারো ব্যাট থেকেই এদিন আসেনি বড় কোনো ইনিংস। ৪৯.২ ওভার ব্যাট করেও সংগ্রহটা তাই বোলারদের জন্য লড়াইয়ের পর্যায়ে নিতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। তার তোপে উড়ে যায় লঙ্কান টপ অর্ডার। ম্যাচসেরার পুরষ্কারও তাই ওঠে তার হাতে। বল হাতে তাকে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কাগিসো রাবাদা ও ক্রিস মরিস।
লঙ্কান ইনিংসের ৬৪ শতাংশ বল থেকো কোনো রানই আসেনি। ইনিংসের ১৮৭টি বলই হয়েছে ডট। ১০ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেয়ার পথে ৪৬টি ডট বল আদায় করে নেন প্রিটোরিয়াস, চলতি আসরে যা যৌথ সর্বোচ্চ। আগের দিন ভারতের বিপক্ষে সমান সংখ্যক ডট বল আদায় করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
রাবাদার করা ম্যাচের প্রথম বলেই গালিতে দাঁড়ানো প্রতিপক্ষ অধিনায়কের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান দলপতি দিমুথ করুনারত্মে। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেন কুসল পেরেরা ও অভিষিকা ফার্নান্ডো। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রানও তুলছিলেন তারা। তাদের হাত ধরেই আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত ৩০ রানে দাঁড়িয়ে আত্মহুতি দেন লুঙ্গি এনগিদির পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া প্রিটোরিয়াসের বলে। এরপর ক্রিসে এসে থিতু হয়ে দৃষ্টিকটু সব আউটে বিদায় নেয় টপ ও মিডিল অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানরাও। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া লঙ্কান ইনিংস দুইশ পার করে লোয়ার অর্ডারদের ছোট ছোট অবদানে। প্রিটোরিয়াস ছাড়াও মরিস নেন ৩ উইকেট, ২টি নেন রাবাদা। মিলারের পরিবর্তে দলে ফেরা ডুমিনিও স্পিন বলে নেন এক উইকেট।
জবাবে দলীয় ৩১ রানে কুইন্টন ডি কককে হারানোর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৬ জুলাই গ্রæপ পর্বে শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী ১ জুলাই নিজেদের পরবর্তি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ বিদায় নিশ্চিত হওয়া আরেক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শ্রীলঙ্কা : ৪৯.৩ ওভারে ২০৩
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৭.৩ ওভারে ২০৬/১
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।