নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সমীকরনের জটিল মারপ্যাচে পড়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপ। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত কোন দলই কাটতে পারেনি সেমির মূল্যবান টিকিট। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা ভারত ও তিনে থাকা নিউজিল্যান্ড অনেকটাই নিশ্চিত। তবে চারে থাকা ইংল্যান্ড (৮ পয়েন্ট), পাঁচে থাকা বাংলাদেশ (৭ পয়েন্ট), ছয়ে থাকা পাকিস্তান (৭ পয়েন্ট) ও সাতে থাকা শ্রীলঙ্কা (৬ পয়েন্ট) লড়াই করছে চতুর্থ স্থানের জন্য। আজ সেই সমীকরনকে মাথায় নিয়ে লিডসে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো পাকিস্তানকে রুখে দিতে প্রস্তুত মুজিব-রশিদেরা।
অনেক এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে পাকিস্তান। দলটির আছে ক্রিকেটের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। আছে ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি। এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে আছেন সাবেক জীবন্ত কিংবদন্তীরা। অন্যদিকে এসব দিকে শূন্যের কোটায় থাকলেও আফগানিস্তানের আছে সংগ্রামের মানসিকতা। ভেঙে গেলেও তারা ভাঙে না। টুর্নামেন্টে সব দলের কাছে নাকানিচুবানি খাওয়ার পর ফেবারিট ভারতের বিপক্ষের আত্মবিশ্বাসী ও আগ্রাসী ক্রিকেটই তার উৎকৃষ্ট প্রমান।
প্রতিবেশি দুই দলের মধ্যে সচরাচর ক্রিকেটীয় লড়াই দেখা যায় না। এশিয়া কাপেই যা একটু দেখা মেলে। এখন পর্যন্ত পাক-আফগান মুখোমুখি লড়াই হয়েছে ৩ বার। প্রতিবারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। এ দু’দলের প্রথম সাক্ষাত হয় ২০১২ সালে শারজায়। সিরিজের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচে ৭ উইকেটের ব্যবধানে আফগানদের হারায় তৎকালীন মিসবাহ উল হকের পাকিস্তান। তারপরের দুটি দেখা এশিয়া কাপের মঞ্চে। একটি ২০১৪ সালে ফতুল্লায়, অন্যটি সবশেষ এশিয়া কাপের আসরে আবু ধাবিতে ২০১৮ সালে। ফতুল্লায় ৭২ রানের জয় পায় পাকিস্তান। আর আবু ধাবিতে ৩ উইকেটের জয় পাকিস্তানের।
মাত্র তিন ম্যাচ। তবে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত দলটি। শেষ ম্যাচটিতে উল্টো পাকিস্তান হারতে বসেছিলো। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আফগানরা। সেই খেলায় মাঝপথ পর্যন্ত পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ বল হাতে রেখে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে মান বাঁচায় সরফরাজের দল। সেই স্কোয়াডের ৯ জন আফগান খেলোয়াড় এবারের আসরে খেলছেন। সমান সংখ্যক খেলোয়াড় খেলছেন পাকিস্তান স্কোয়াডেও। ব্যাট হাতে হাশমতউল্লাহ শহিদির অপরাজিত ৯৭ রান ও আসগর আফগানের লড়াকু ৬৭ অনুপ্রেরণা যোগাবে আফগানিস্তান শিবিরে। তাছাড়া রশিদ খানের ৩ ও মুজিব উর রহমানের ২ উইকেট প্রাপ্তিও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে দলটিকে। এছাড়া বিশ্বকাপের আসরে আফগানিস্তানের আরেক প্রতিবেশি ভারতের হুমকি হয়ে ওঠাও সাহসী করবে গুলবাদিন নাইবদের।
বিশ্বকাপে এবারের আসরে এশিয়ার দুটি দলের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে কথা বলেছে আফগানরা। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার অভাবে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি নাইবেরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবশ্য পাত্তা পায়নি তারা, এক সাকিবের কাছে ই হেরে গেছে গোটা আফগানিস্তান। তাতে কি? এই তিন এশীয় পরাশক্তির বিরুদ্ধে হেরে অভিজ্ঞতাতো অর্জণ করেছে দলটি। সেই অর্জিত অভিজ্ঞতা যদি ঠিকঠাক পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে প্রয়োগ করতে পারে, তবে একটি ইতিবাচক ফল আশা করতে পারে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি।
তবে পাক-আফগান ম্যাচে ছায়াদল হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ। তীক্ষè দৃষ্টি থাকবে ৮ পয়েন্ট নেয়া ইংল্যান্ড ও ৬ পয়েন্ট নেয়া শ্রীলঙ্কারও। চতুর্থ স্থান নিয়ে লড়াই করা দলগুলোর মধ্যে অবশ্য তুলনামূলক এগিয়ে ইংল্যান্ড। ৮ পয়েন্ট পাওয়া দলটির অন্তত নিজের জয়েই নিশ্চিত হতে পারে সেমির টিকিট। কিন্তু বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যের ম্যাচের দিকেও।
পাকিস্তান যে ‘আনপ্রেডিক্টঅ্যাবল’, তার আরেকটি নমুনা যদি এ ম্যাচে দেখা যায়; তবে তা হবে বাংলাদেশের জন্য সোহায় সোহাগা। দু’দিন আগে আফগানদের বাকা কথায় বিরক্ত ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে আজ বাংলাদেশ সমর্থকেরা নিশ্চিতভাবেই আফগানদের সমর্থন দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।