বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্যস্ততম ফেনীর মহিপালের নোয়াখালী মহাসড়ক যেন ফলের হাট ও গাড়ির টার্মিনাল। দেখে মনে হয়না এটি কোন মহাসড়ক। মহিপাল ফ্লাইওভার থেকে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত ৪০০ মিটারের সড়কটি ৫৪ ফুটের মধ্যে ৩০ ফুটই গাড়ি সিন্ডিকেট ও ফল ব্যবসায়ীদের দখলে।
সরেজমিন দেখা যায়, ফেনী-নোয়াখালী সড়কে বক্ষব্যাধী হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারের সামনে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড, উপক‚ল স্ট্যান্ড, হাইড্রোলিক পিকআপ মিনিট্রাক স্ট্যান্ড, ওভারপাস সংলগ্ন টমটম ও রিক্সা সড়ক দখল করে আছে। সড়কের দক্ষিণপাশে ৫ থেকে ৬টি ফলের মার্কেট ও উত্তর পাশে ৩ থেকে ৪ টি ফলের মার্কেটসহ বেশ কিছু ফলের দোকান রয়েছে। এই মার্কেটগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় বড় বড় ফলবোঝাই ট্রাক সড়ক দখল করে রাতদিন মাল লোড আনলোড করছে। অন্যদিকে ফ্লাইওভার সংলগ্ন মাইজদি-নোয়াখালীগামী বিভিন্ন পরিবহনের গাড়িগুলো রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে যাত্রী ও জনসাধারণকে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গাড়ির ড্রাইভার হারুন, আফছার, রহিম ও শাহজাহান জানান, ফেনীর মহিপালে নোয়াখালী মহাসড়কে প্রায় ৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা, ৫০ টির মতো উপকূল ও ৩০ থেকে ৪০ টি টমটম ও কিছু মোটর চালিত রিকশা ফেনীর পশ্চিমাঞ্চল যেমন রাজাপুর, বিরলী, সিন্দুরপুর, দরবেশেরহাট, কানকিরহাট, দাগনভূইয়া, সিলোনিয়া, গাজীর হাট, বক্সবাজার, আফতাববিবির হাট, লক্ষীয়ারা, কাসেমপুর, ইলাশপুর, তেমুহুনী থেকে আসা যাওয়া করে। ৬০ থেকে ৭০টি হাইড্রোলিক পিকআপ, মিনিট্রাক সড়কের দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। তারা আরো জানান, এখানে কোন স্থায়ী টার্মিনাল না থাকার কারণে সড়কের দুই পাশকে অস্থায়ী গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে।
কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, মহাসড়কের পাশে পাঁচগাছিয়া বাজারের সাথে অনেক বড় বড় জায়গা খালি পড়ে আছে সেখানে ইচ্ছে করলে গাড়ি রাখার উপযুক্ত টার্মিনাল করা যায়। কিন্তু সেটা কখনো হবে না কারণ এখানে কিছু অসাধু উপরমহলের বড় বড় সিন্ডিকেট নেতা আছে যারা প্রতিটা গাড়ি থেকে দৈনিক চাঁদা নেয়ার পাশাপাশি সড়কের দুই পাশকে গাড়ির রাখার অবৈধ স্ট্যান্ড হিসেবে ভাড়া দিয়ে রেখেছে।
এসব বিষয়ে জানতে ফেনী জেলা পরিবহন মালিক গ্রæপের সভাপতি গোলাম নবীকে মোবাইলে অনেক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জেলার টিআই (প্রশাসন) মো. আলাউদ্দিন জানান, ফেনী নোয়াখালী সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশের একটি বিশেষ টিম সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। যানবাহন যাত্রীসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে তারা সবসময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনসাধারণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কের দুইপাশে গাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে পৌরসভা। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজ হচ্ছে সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। সড়কের দুই পাশে যত্রতত্র পার্কিং ও অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে না তোলা এবং দিনে মালামাল লোড আনলোড না করার জন্য প্রতিদিন তাদেরকে সতর্ক করছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না।
ফেনী সওজ ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, সড়কে অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ডের ব্যাপারে আমাদের মোবাইল কোর্ট টিম কয়েকবার পরিচালনা করা হয়েছে। এরপরও শৃঙ্খলা ফিরে আসছে না। সড়কটির কিছুদিনের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে ফোরলেনের কাজ আরম্ভ হবে। সড়কের দুই পাশে গাড়ি চলাচলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বাস-বে করা হবে। তখন আর বেশি যানজট সৃষ্টি হবে না বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।