নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রোটিয়া বোলারদের দুরন্ত বোলিং কম রানে বেঁধে রাখার পর আমলা ও ডু প্লেসিসের ব্যাটে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছলো দলটি। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। অসময়ে জ্বলে উঠে অবশ্য কোন লাভ হয়নি দক্ষিন আফ্রিকার। কারন তার আগেই শেস চারে যাওয়ার সকল সমীকরনের উর্ধ্বে চলে গিয়েছিলো তারা। তবে প্রোটিয়াদের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্কির নি:শ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০৩ (৪৯.৩ ওভার)(করুনারত্নে ০, কুশল ৩০, ফার্নান্দো ৩০, মেন্ডিস ২৩, ম্যাথুস ১১, ধনাঞ্জয়া ২৪, জীবন ১৮, থিসারা ২১, উদানা ১৭, লাকমাল ৫*, মালিঙ্গা ৪; রাবাদা ৩৬/২, মরিস ৪৬/৩, প্রিটোরিয়াস ২৫/৩, ফেলুকায়ো ৩৮/১, তাহির ৩৬/০, ডুমিনি ১৫/১)
দক্ষিন আফ্রিকা : ২০৬/১ (৩৭.২ ওভার)(ডি কক ১৫, আমলা ৮০*, ডু প্লেসিস ৯২*; মালিঙ্গা ৪৭/১, ধনাঞ্জয়া ১৮/০, লাকমাল ৪৭/০, থিসারা ২৩/০, জীবন ৩৬/০, উদানা ২৯/০)
ফল: দক্ষিন আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী
জয়ের কাছে দক্ষিন আফ্রিকা
আমলা-ডু প্লেসিসের ১২৮ রানের জুটিতে জয়ের কাছে দক্ষিন আফ্রিকা। আমলা ৬৫ রানে ও ডু প্লেসিস ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন।
৩০ ওভার শেষে সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫৯ রান।
আমলা-প্লেসিসে এগুচ্ছে প্রোটিয়ারা
ডি কককে হারানোর পর আমলা-ডু প্লেসিস জুটি এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিন আফ্রিকা। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানে ১৯তম ওভারেই দলীয় শতক পেরিয়ে যায় দলটি। আমলা ৪৭ রানে ও ডু প্লেসিস ২৯ রানে অপরাজিত আছেন।
১৮.২ ওভারে সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান।
বোল্ড করে ডি কককে ফেরালেন মালিঙ্গা
দুর্দান্ত শুরু করা ডি কককে একটি ইযর্কার বলে বোল্ড করে ফেরালেন মালিঙ্গা। ফেরার আগে ৩ চারে ১৬ বলে ১৫ রান করেন এই বাহাতি। আমলা ১৬ রানে ডু প্লেসিস ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় স্রহ ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৩৬ রান।
২০৩ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
মরিস-প্রিটোরিয়াসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলার আগেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। দক্ষিন আফ্রিকান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোন লঙ্কান ব্যাটসম্যান। কুশল ও ফার্নান্দোর ৩০ রানই ছিল সর্বোচ্চ ইনিংস। এছাড়া বাদবাকি কোন ব্যাটসম্যানই ভালো রান করতে না পারায় ৩ বল হাতে রেখেই ২০৩ রানে অলআউট হয় ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০৩ (৪৯.৩ ওভার)(করুনারত্নে ০, কুশল ৩০, ফার্নান্দো ৩০, মেন্ডিস ২৩, ম্যাথুস ১১, ধনাঞ্জয়া ২৪, জীবন ১৮, থিসারা ২১, উদানা ১৭, লাকমাল ৫*, মালিঙ্গা ৪; রাবাদা ৩৬/২, মরিস ৪৬/৩, প্রিটোরিয়াস ২৫/৩, ফেলুকায়ো ৩৮/১, তাহির ৩৬/০, ডুমিনি ১৫/১)
মরিসের দ্বিতীয় শিকার জীবন
থিতু হওয়ার পর ক্রিজে জীবনকে টিকতে দেননি মরিস। ১৮ রান করে প্রিটোরিয়াসের হাতে ক্যাচ দিয়ে পেরেন তিনি। থিসারা ১৬ রানে ও উদানা ২ রানে অপরাজিত আছেন।
৪৩ ওভারে সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৪ রান।
ডুমিনির প্রথম বলেই বোল্ড ধনাঞ্জয়া
পার্ট টাইম বোলার ডুমিনির প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ধনাঞ্জয়া। ক্রিজে থিতু হয়ে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। জীবন ১১ রানে ও থিসারা ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
৩৮ ওভারে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৫ রান।
শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেললেন প্রিটোরিয়াস
মেন্ডিসকে ক্যাচ আউট করে ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন প্রিটোরিয়াস। ২৩ রানে মেন্ডিসের বিদায়ে চাপে পড়েছে এশিয়ার দলটি। ধনাঞ্জয়া ৭ রানে ও জীবন ১ রানে অপরাজিত আছেন।
২৯ ওভার শেষে সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান।
ম্যাথুসকে ফেরালেন মরিস
২২তম ওভারে মরিসের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর পঞ্চম বলে আবারও বড় শর্ট খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ বোল্ড হয়ে ফিরে যান ম্যাথুস। ফেরার আগে তিনি ১১ রান করেন। মেন্ডিস ১৭ রানে ধনাঞ্জয়া ০ রানে অপরাজিত আছেন।
২২ ওভারে সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান।
ফের প্রিটোরিয়াসের আঘাত
পরপর দুই ওভারে প্রিটোরিয়াসের আঘাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন দক্ষিন আফ্রিকার। পেরেরাকে বোল্ড করে ৩০ রানে ফিরিয়ে দেন এই বোলার। মেন্ডিস ২ রানে ও ম্যাথুস ০ রানে অপরাজিত আছেন।
১২ ওভারে সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭২ রান।
ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন প্রিটোরিয়াস
ফার্নান্দোকে ৩০ রানে ডু প্লেসিসের ক্যাচে পরিনত করে ৬৭ রানের জুটি ভাঙলেন প্রিটোরিয়াস। মাত্র ২৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এই রান করেছেন ফার্নান্দো। কুশল ২৮ রানে ও মেন্ডিস ০ রানে অপরাজিত আছেন।
১০ ওভার শেষে সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৭ রান।
কুশল-ফার্নান্দোর দুর্দান্ত জুটি
ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পতণের পর জমে উঠেছে কুশল-ফার্নান্দো জুটি। কুশল ২০ রানে ও ফার্নান্দো ২৪ রানে অপরাজিত আছেন। দুই ব্যাটসম্যানই মেরেছেন ৩টি করে চার। মাত্র ৮ম ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
দলীয় সংগ্রহ ৮ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান।
প্রথম বলেই রাবাদার আঘাত
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে শুরুতেই নির্ভুল প্রমান করলেন রাবাদা। ইনিংসের প্রথম বলেই লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে (০) দ্বিতীয় স্লিপে ডু প্লেসিসের ক্যাচে পরিনত করে বিদায় করেন এই পেসার। কুশল ২ রানে ও ফার্নান্দো ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ প্রথম ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬ রান।
টসে জিতে বোলিংয়ে দক্ষিন আফ্রিকা
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে অবশ্য বলেছেন, টসে জিতলে তিনি ব্যাটিংই নিতেন। কাজেই টসে হারাটা ভালো হয়ে লঙ্কানদের জন্য।
প্রোটিয়া দল আজ দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে। প্রিটোরিয়াস এবং ডুমিনি এসেছেন এনগিডি ও মিলারের পরিবর্তে। অন্যদিকে লঙ্কান দলে প্রদীপের বদলে খেলবেন লাকমাল।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), কুশল পেরেরা (উইকটরক্ষক), আভিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাসুথ, জীবন মেন্ডিস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা, লাসিথ মালিঙ্গা, সুরাঙ্গা লাকমাল।
দক্ষিন আফ্রিকা একাদশ: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), র্যাসি ভ্যান দার ডুসেন, এইডেন মারক্রাম, জেপি ডুমিনি, ডুওয়ানে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে ফেলুকায়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির।
দক্ষিন আফ্রিকার মর্যাদার লড়াই, শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য টিকে থাকা
বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে জয় ছাড়া প্রতি ম্যাচেই আত্মসমর্থন করেছে দক্ষিন আফ্রিকা। তাই সেমির আশা ফুরিয়ে গেলেও আসরের ৩৫তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি প্রোটিয়ারা। শ্রীলঙ্কার টিকে থাকার ক্ষীণ আশা টিকিয়ে রাখার লড়াইটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায়। চেষ্টার লি স্ট্রিটে লঙ্কানরা জয় পেলে পয়েন্ট টেবিলের হিসাব-নিকাশ অনেকটাই বদলে যাবে। অন্যদিকে দক্ষিন আফ্রিকা জয় পেলে বাংলাদেশের সম্ভাবনায় কোন আঁচ পড়বে না।
পরিসংখ্যান:
মুখোমুখি লড়াইয়ে এশিয়ার দলটির চেয়ে ঢেড় এগিয়ে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপেও এগিয়ে আছে ডু প্লেসিসের দল। আর সবশেষ ১৮ ম্যাচের ১৬টি ম্যাচের জয়ই দক্ষিন আফ্রিকার অধিকারে।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিং:
দক্ষিন আফ্রিকা: ৫
শ্রীলঙ্কা: ৮
ওয়ানেডেতে মুখোমুখি:
মোট ম্যাচ: ৭৬টি
দক্ষিন আফ্রিকা জয়ী: ৪৩ ম্যাচ
শ্রীলঙ্কা জয়ী: ৩১ ম্যাচ
টাই: ১
পরিত্যক্ত: ১
বিশ্বকাপের লড়াই:
মোট ম্যাচ: ৫
দক্ষিন আফ্রিকা জয়ী: ৩
শ্রীলঙ্কা জয়ী: ১
টাই: ১
সবশেষ ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে দক্ষিন আফ্রিকাকে হারিয়েছে। এরপর সব ম্যাচেই দেখেছে হার।
শেষ ঝলকের অপেক্ষায় দক্ষিন আফ্রিকা
বিশ্বকাপে শুরু থেকেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি দক্ষিন আফ্রিকা। সাত ম্যাচে একটি মাত্র জয় নিয়ে আফগানিস্তানের ঠিক ওপরে দলটির অবস্থান। সেমির সম্ভাবনা না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচ জিতে প্রাপ্তির খাতায় কিছু যোগ করতে চাইবে প্রোটিয়ারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।