Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্গী

বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা

অনুবাদ : হো সে ন মা হ মু দ | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সঙ্গী ছাড়া পাহাড়ি পথে চলা ঠিক নয়। আমি যেখানে যাচ্ছি পাহাড় পেরিয়ে যেতে হবে সেখানে। একা। এই পাহাড় পাড়ি দিতে দু’ থেকে তিন দিন লেগে যাবে। ভাগ্য ভালো, পথে এক সৈনিকের সাথে দেখা হয়ে গেলো।

আমার পেছনে আসছিলেন তিনি। পেছন থেকেই জিজ্ঞেস করলেন-
: কোথায় যাচ্ছ? তোমার বয়স তো বেশি নয় দেখছি।
চিৎকার করে কথা বললেও তার কণ্ঠস্বরে একটা আন্তরিকতার ছোঁয়া ছিল।
পেছনে ঘোরার পর তাকে দেখতে পেলাম। সৈনিকের উর্দি পরা লোকটি বেশ দ্রæত হেঁটে আসছিলেন। শুনেছিলাম, সৈনিকরা রুক্ষ স্বভাবের হয়। তাই তাকে এড়ানোর জন্য সংক্ষেপে শুধু গন্তব্য স্থলের কথা বললাম- ইলাম।
: তাই নাকি! খুব ভালো। তা আমিও তো সেখানেই যাচ্ছি। সারাদিন পথ চলতে হবে। সাথী হিসেবে তোমাকে পেয়ে খুব ভালো হলো। কি বল ভাই?
সৈনিকটির গায়ে একটি কালো কোট, মাথায় সৈনিকের টুপি আর পরনে খাকি ট্রাউজার। কোটের পকেটে একটি সস্তা দামের কলমের মাথা উঁকি দিচ্ছিল। তার গলায় জড়ানো ছিল একটি লাল মাফলার।
: আমি একজন সৈনিক। কিন্তু তুমি? যদি আমার ধারণা ভুল না হয় তাহলে তুমি একজন ছাত্র। তাই না?
আমি মৃদু হাসলাম যাতে বোঝায় যে তার ধারণাই ঠিক।
তিনি বলে চললেন-
: কোনো লোককে দেখলেই আমি তার পোশাক ও কথাবার্তা থেকে নির্ভুলভাবে বলতে পারি যে, সে কি এবং কি করে। আমি শপথ করে বলতে পারি যে এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত আমার কোনো ভুল হয়নি। আমি কিন্তু লিখতে বা পড়তে পারি না, কিন্তু আমি নিজের নাম স্বাক্ষর করতে পারি। এমনকি ধর্মগ্রন্থও পড়তে পারি যা ব্যারাকে অন্যদের কাছে শিখেছি।
তার কথা শুনতে ভালোই লাগছিল। পথে আর যার সাথেই দেখা হলো তিনি বেশ আন্তরিকতার সাথেই তাদের শুভেচ্ছা জানালেন। কোথা থেকে তারা আসছে আর কোথায় যাচ্ছে তা জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু তার সৈনিকের পোশাক দেখে ঘাবড়ে যাওয়া লোকজন কেউ তার কথার জবাব দিলো না। এক বৃদ্ধা মহিলার সাথে দেখা হলে তিনি তাকে শাশুড়ি মা হিসেবে সম্বোধন করলেন, তার কন্যাদের কুশল জিজ্ঞেস করলেন।
আমার ব্যাপারে জানার কোনো আগ্রহ তার মধ্যে দেখলাম না। তার নিজের কথা বলেই তিনি শেষ করতে পারছিলেন না, আমার কথা জিজ্ঞেস করবেন কখন?
কথা বলে চলেন তিনি-
: আমি বহুদিন ধরে কোয়েটায় আছি। আমার স্ত্রীও ছিল আমার সাথে। কিন্তু পরে সে এখানে চলে আসে অসুস্থতার অজুহাতে। অকাজের মহিলা। আমাদের দু’টি ছেলে আছে। আমি বহু বছর বাড়ি যাই না, যেতে ইচ্ছেও করে না। ছেলেরা বোধ হয় বখে গেছে। ছোট ছেলেটা বুদ্ধিমান ছিল। ইচ্ছে ছিল তাকে ভালো মত লেখাপড়া শেখাব। কিন্তু কে শোনে কার কথা? আমার বাবা আমাকে লেখাপড়া শেখাননি। সে জন্য দু:খ করি না। পরে আমি কোয়েটায় আরেকটি বিয়ে করি। একটি কথা শুনে রাখ, তুমি যেখানেই যাওনা কেন তুমি যা চাও তা তোমার পাওয়া উচিত।
সত্যি বলতে কি, তার কথা শুনতে আমার ভালোই লাগছিল। অকপটে তিনি তার সব কথা বলে যাচ্ছিলেন, কিছুই গোপন করছিলেন না। মনোযোগী ছাত্র যেমন শিক্ষকের কথা শোনে আমিও তেমনি তার কথা শুনছিলাম। অবশেষে জিজ্ঞেস করলাম-
: আপনার মত লোকদের কাছে সৈনিকের জীবনটা কেমন?
: দেখ, সৈনিক জীবনে তোমাদের মত সমস্যা আমাদের নেই। আমাদের অফিসাররাও আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে বলেন। আমার অফিসার আমাকে এখানে আসার জন্য ছুটি দিয়েছেন। সম্প্রতি যুদ্ধের ব্যাপারে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। আমি নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দিতে এসেছি। আমাদের দেশের সৈন্য প্রয়োজন। যদি তুমি যুদ্ধে মারা যাও তাহলে সরাসরি স্বর্গে চলে যাবে।
লক্ষ্য করলাম, এ কথাগুলো বলার সময় তার মুখটা গম্ভীর হয়ে উঠেছে।
তার গল্প শুনতে শুনতে পথ চলতে থাকায় চলার কষ্ট আর টের পাচ্ছিলাম না। একবার কয়েকটি তরুণীর দেখা পেলাম। গবাদিপশুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিল। আমাদের উল্টো দিক থেকে আসছিল তারা। তিনি আমাকে বললেন, দাঁড়াও, ওদের সাথে একটু মজা করি।

তিনি তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। তারপর কি যেন বললেন। একটু দূরে থাকায় আমি তা শুনতে পেলাম না। তরুণীদের সবাই দেখলাম বিরক্তবোধ করল ও দ্রæত পায়ে চলে গেলো। তবে একটি মেয়ে তার মাথার ঘাসের বোঝা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। তারপর দু’হাত কোমরে রেখে দাঁত মুখ খিঁচে সৈনিকের দিকে তেড়ে এল। তার মুখ থেকে নির্গত হচ্ছিল গালাগালি। সৈনিকটি তা শুনে হাসতে শুরু করলেন। হাসির দমকে তার হালকা ভুঁড়ি কাঁপছিল। তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। বললেন-
: কি রণচন্ডী মেয়ে দেখেছ? আমি নিশ্চিত যে সে তার স্বামীকেও এমনিভাবেই গালাগালি করে। আমি শপথ করে এ কথা বলতে পারি।
আমরা আবার চলতে শুরু করলাম। তিনি বলে চললেন-
: এই মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন। একবার আমি একটি মেয়ের খপ্পরে পড়েছিলাম। হ্যাঁ... তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। সে মুহূর্তে তাকে একটি মূর্তির মত মনে হচ্ছিল, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মত ওঠানামা করছিল তার পাগুলো। আমাদের সামনে একটি পাহাড়ের আড়ালে ডুবছিল সূর্য। ভীষণ আগ্রহ নিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম-
: তারপর কি হলো?
সৈনিক যেন নিজের মধ্যে ফিরে এলেন-
: হ্যাঁ, যা বলছিলাম। আমি একবার একটি মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম। কীভাবে যে তা হলো তা বলতে পারব না। তার সাথে হাসাহাসি করে, খেলে আমার বহু সময় কাটল। একদিন এক রোববার বুঝতে পারলাম তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। সেদিন ছিল আমার ছুটি। সন্ধ্যা নামতেই আমি তার বাড়িতে হাজির হলাম। সেদিন সে একটি নীল গাউন পরে ছিল। খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল তাকে।
সে মুহূর্তে একটি চড়াই বেয়ে উঠছিলাম আমরা। তিনি বললেন-
: একটু থাম। আমি গিয়ে এক জোড়া আখ কিনে নিয়ে আসছি। উঁচু পথে লাঠি হিসেবে তাতে ভর দিয়ে ওঠা সহজ হবে। তারপর ওঠার কাজ শেষ হলে সেটা চিবিয়ে খেলে শরীর তাঁজা লাগবে। এটা কি একটা ভালো আইডিয়া নয়?
তিনি চলে গেলেন। ফিরে এলেন দু’টি আখ নিয়ে। আমার হাতে একটি দিয়ে বলতে শুরু করলেন-
: কিন্তু মেয়েটি আমার সাথে প্রতারণা করল। সে এক ক্যাপ্টেনের সাথে চলে গেল। তার সুন্দর পোশাক লোকটিকে আকৃষ্ট করেছিল। লোকটি ছিল বয়স্ক। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ক্যাপ্টেনের সাথে তার সম্পর্ক টিকবে না। সুন্দরী মেয়েটি উড়ে বেড়াতে থাকল।
হালকা বাতাসের একটি দমক তার শেষের কথাগুলো উড়িয়ে নিয়ে গেলো।
আমি মন দিয়ে তার কথা শুনছিলাম। আমাকে নীরব দেখে তিনি হাসলেন। বললেন-
: আমি বাজি ধরে বলতে পারি তুমি এখন তোমার প্রেমিকার কথা ভাবছ। ঠিক কি না? সত্যি করে বল।
তার কথার কোনো জবাব দিতে পারলাম না। একটু চুপ করে থেকে বললাম-
: আচ্ছা সৈনিক ভাই! আমাকে বলুন তো আপনি কি করে যুদ্ধ করেন? বোমা, গুলি, মৃত্যু! আমি তো এসব ভয়ঙ্কর জিনিস কল্পনাও করতে পারি না।
তিনি একটু হাসলেন, চাপড় দিলেন আমার কাঁধে। বললেন-
: তোমার মত নরম মনের মানুষের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র নয়। শপথ করে বলছি, আমি যুদ্ধ উপভোগ করি।
কথা বলতে বলতে আমরা এমন এক স্থানে পৌঁছলাম যেখানে রাত কাটানো যায়। তখনো রাত ঘনিয়ে আসতে দু’ঘণ্টা দেরি ছিল। কিন্তু পশ্চিমের পাহাড়ের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। তাই অন্ধকার নামছিল। বললাম-
: আমি আর চলতে পারছি না। চলুন, আশ্রয়ের সন্ধান করি।
সৈনিক বললেন-
: এ নিয়ে চিন্তা কর না। আমি এখানকার প্রতিটি পাথর চিনি। এখান থেকেই আমার পূর্বপুরুষরা এসেছিলেন। চল, তোমাকে একটি দোকানে নিয়ে যাই। দোকানের মালিক বৃদ্ধাকে আমি চিনি। একটা সময় ছিল যখন মানুষ তাকে ঘিরে থাকত। আমার বাবাও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তার দোকান তখন ভালোই চলত। কিন্তু এখন তার দোকানে কেউ আর যায় না। সত্যি বলতে কি, তার মেয়েটি না থাকলে আমিও সেখানে যেতাম না।
তার কথা বলার মধ্যেই আমরা দোকানে পৌঁছে যাই। দোকানটি পুরনো, কাঠের তৈরি। বৃষ্টিতে কাঠ পচে গেছে। পাকা বাড়িটির সামনের দিকটি ঝুঁকে পড়েছে। তাই মাথা নিচু করে দোকানে প্রবেশ করতে হয়।
আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম। ঘরটি ভরে ওঠা ধোঁয়ার কারণে তেলের বাতির আলো আরো ম্লান হয়ে পড়েছিল। আমার চোখের দৃষ্টি ঝাঁপসা হয়ে আসায় ভিতরের দৃশ্য অবাস্তব মনে হচ্ছিল। দু’জন পাহাড়ি বাসি রুটি খাচ্ছিল চা দিয়ে। তারা জোরে জোরে কথা বলছিল এবং মাঝে-মধ্যেই টেবিল চাপড়াচ্ছিল। ঘরের এক কোণে চুলা জ্বলছে, তাতে চায়ের কেটলি চাপানো। ঘরের আরেক দিকে একটি বিশ্রি রকমের কাপবোর্ড, তার সামনের কাঁচ ভাঙ্গা। তার ভেতরে লিলি বিস্কুটের টিন, একটি শূন্য বাক্স যার মধ্যে অরেঞ্জ পিকো চা ছিল এবং কয়েকটি গ্লাস। টেবিলে কনুই রেখে মোটা এক বৃদ্ধা বসে লোক দু’টির কথা শুনছেন। কখনো কখনো তিনিও দু’একটা কথা বলছেন ও হেসে উঠছেন জোরে।
সৈনিকটি ছিলেন আমার আগে। তাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন বৃদ্ধা। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখে বললেন-
: কি ব্যাপার! তুমি এখানে কেন? পথ হারিয়ে ফেলেছ?
: না, পথ হারাইনি। আপনার মেয়ে কোথায়?
বৃদ্ধা বললেন-
: সে বাইরে গেছে, তবে ফেরার সময় হয়ে এসেছে। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাদের ভুলে গেছ।
এ সময় এক স্বাস্থ্যবতী তরুণী ভেতরে ঢোকে। নিরাসক্ত গলায় বলে-
: তাকে ভুলতে দাও। আমাদের জন্য চিন্তা করে কেউ কেন সময় নষ্ট করবে?
তরুণীটি একটি ময়লা ছাপা স্কার্ট পরে ছিল। তার গন্ডদেশে ছিল মেছেতার দাগ। স্কার্টের উপর কোমরে বাঁধা ছিল একটি ময়লা কাপড়। তাকে সুন্দরী বলা ঠিক হবে না, তবে যৌবনের মাধুর্য তাকে আকর্ষণীয়া করেছিল। সৈনিকটি তাকে দেখে বললেন-
: তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছ না। কিন্তু আমি এখানে ফিরে এসেছি তোমার জন্যই। কে তোমাকে ভুলে গেছে? আমি এখানে এসেই তোমার মায়ের কাছে তোমার কথা জিজ্ঞেস করেছি। তারপর তুমি এসে গেলে। কি শপথ করে বলব যে আমি তোমাকে ভুলিনি?
তরুণী চিৎকার করে বলল-
: অনেক হয়েছে। আর তোমার কথা শুনতে চাই না। আমার সামনে তুমি অনেক কথাই বল। কিন্তু তারপর আর...। সে অন্য একটি ঘরে চলে যেতেই সৈনিক তাকে অনুসরণ করেন। তরুণীটি সে ঘরে প্রবেশ করে একটি বাতি জ্বালায়। তারপর মাদুরের উপর বসে। সৈনিক দোরগোড়ায় বসে তার সাথে কথা বলতে থাকেন।
: বল, আমার জন্য কি এনেছ তুমি? তরুণী সৈনিককে জিজ্ঞেস করে।
আমার ঘুম পাচ্ছিল। তাই তাদের কথার দিকে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। তাদের কথা চলতে থাকে। সবাই খেয়ে বিছানায় যাবার পরও চলতে থাকে তাদের কথা। তরুণী তাকে বলে যে পরের বার আসার সময় তিনি তার জন্য যেন একটি বাঁধানো ভারতীয় আয়না নিয়ে আসেন। সৈনিক তাকে বলেন যে শুধু আয়নাই নয়, সে তার জন্য ছাপা সূতি কাপড়ের তৈরি সুন্দর পোশাকও নিয়ে আসবেন।
আমি এত ক্লান্ত ছিলাম যে জেগে থাকতে না পেরে ঘুমিয়ে পড়ি।
খুব ভোরে সৈনিকের ধাক্কায় ঘুম ভাঙ্গে। তখনো সূর্য ওঠার দু’ঘণ্টা দেরি ছিল। বাইরে খুব ঠান্ডা। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বইছিল কনকনে হাওয়া। কাছেই নদী স্রোতের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তখনো আর কেউ জাগেনি। মোরগগুলো কেবল ডাকতে শুরু করেছিল। গায়ে আঁধারের চাদর জড়িয়ে স্তব্ধতার মধ্যে ডুবেছিল পাহাড়গুলো। চোখ ডলতে ডলতে আমি উঠে পড়ি।
সৈনিক বলেন-
: তোমার কাছে বিদায় চাইছি। এখন আমরা পৃথক পথে যাব।
তিনি আমাকে আলিঙ্গন করেন। আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। তাকে আমি ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম। তার ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু তার মধ্যে কোনো দুর্বলতা দেখলাম না। তিনি নিচে নেমে গেলেন। তার যাওয়ার পথে চেয়ে রইলাম।
আমি বহুবার যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পাথরের স্মৃতিস্তম্ভ দেখেছি। কিন্তু আমার জীবনে এই প্রথমবার কোনো জীবিত সৈনিককে দেখার সুযোগ হলো।
*লেখক পরিচিতি: নেপালি কংগ্রেসের নেতা বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা (জ.১৯১৫-মৃ.১৯৮২) সংক্ষেপে বি.পি নামে নেপালিদের কাছে পরিচিত ছিলেন। নেপাল কংগ্রেস রাজতন্ত্রকে হঠানোর পর তিনি ১৯৫৯ সালে নেপালের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার আগে তিনি লেখক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন। তার প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম ‘চন্দ্রবদন’ (চাঁদের মত মুখ)। ১৯৩৫ সালে ‘শারদা’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। তার চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। নারী ও পুরষের সম্পর্ক তার গল্প-উপন্যাসের প্রধান বিষয়। তিনি রাজনীতিক হলেও তার গল্পে রাজনীতি নেই। ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত ‘দোষী চশমা’ (ত্রæটিপূর্ণ চশমা) গ্রন্থে তার গল্পগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমান গল্পটি ইংরেজিতে ‘দি সোলজার’ নামে অনূদিত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন