নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফগানিস্তানকে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে খেলার সম্ভাব্য ছক কষছে বাংলাদেশ। তবে হিসেবটা যে এখনও বড্ড কঠিন! বাকি থাকা দুই ম্যাচে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের ম্যাচেও যে নজরদারি জরুরী। ইংল্যান্ড সব ম্যাচ হারলে বাংলাদেশের সুবিধা, নিউজিল্যান্ড হারলে নাকি জিতলে ভালো? শ্রীলঙ্কাকেও হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না। বিশ্বাস নেই পাকিস্তানকে দিয়েও, যখন-তখন চমকে দিতে পারে। যেমনটা দিয়েছে গতকাল নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। তবে শেষমেষ হিসেবে চূড়ান্ত ধাপ গিয়ে ঠেকে একই বিন্দুতে- আগে নিজেদের কাজটা করতে হবে। এমন হিসেবের মাঝে ঘন-কালো মেঘ হয়ে সামনে এবার আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারত। যে ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন দুই ভারতীয়- স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশী ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন।
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই এখন নিজেদের শেষ ম্যাচ হিসেবে দেখছে মাশরাফির দল। জিততে হবে প্রতিটিই। আফগানিস্তান বাধা পেরুনোর পর সামনে এখন ভারত। আফগানদের বিপক্ষে জয় যতটা প্রত্যাশিত ছিল, টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারতকে হারানো হবে ততটাই কঠিন। তবে সহজ-কঠিন ভাবার বিলাসিতা এখন নেই দলের। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে যেখানে হেরেছিল বাংলাদেশ, সেই বার্মিংহামেই ম্যাচ। এবার বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে।
টানা খেলার ধকল সামলাতে ক্রিকেটাররা দিন পাঁচেকের ছুটি পেয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে মহারণে নামার আগে শারীরিক আর মানসিকভাবে ফুরফুরে যে থাকা চাই। কিন্তু এই সময়ে সবচেয়ে ব্যস্ততা কোচিং স্টাফ আর কম্পিউটার অ্যানালিস্টের। রণকৌশল সাজাতে হবে। পরিকল্পনা ঠিক হলেই ছুটি শেষে ফিরে তা বাস্তবায়নে ঝাঁপাবেন ক্রিকেটররা। এই জায়গায় বাংলাদেশের ভরসা হয়ে কাজ করছেন দুই ভারতীয়।
বাংলাদেশ দলের ভারতীয় কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। তার গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা ফর্দ মেনে এগোলে বরাবরই মিলেছে সাফল্য। ভার্চুয়াল গবেষণাগার থেকে প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতার সূ² তথ্যও বের করে আনেন তিনি। নিজেদের ভুল-ত্রুটি কিংবা আরও ভালো করার শাণিত উপায়ও বাতলে দেন এই প্রযুক্তি বিশারদ। আইপিএলে কাজ করার সুবাদে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারেরও ঘনিষ্ঠ শ্রীনি। ভারত ম্যাচের আগে তাই বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা এখন তিনি।
এজবাস্টনে ভারতকে হারানো ভীষণ কঠিন। কিন্তু সেমিফাইনালে যেতে হলে যে করেই হোক, এই ম্যাচটি জেতা চাই বাংলাদেশের। শ্রীনিও নিরাশ করছেন না। কোনো একটা উপায় নিশ্চয়ই আছে। সেই উপায় বের করতে আপাতত কম্পিউটার স্ক্রিনে গভীর মনোনিবেশ তার।
শ্রীনির মতো অতটা নয়। তবে ভারত ম্যাচে কাজে লাগতে পারেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ যোশীও। ভারতের হয়ে ১৫টা টেস্ট আর ৬৯টা ওয়ানডে খেলেছেন যোশী। ভালো করেই জানেন তাদের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা আর যোগ্যতা সম্পর্কে। যোশীর সাদামাটা ক্যারিয়ারের বিচারে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বটা তার বড়। কিন্তু যেহেতু তিনি ভারতীয়, তাই যুজবেন্দ্র চাহাল-কুলদীপ যাদবদের স্পিন রহস্যের অনেক কারিকুরি তার জানা অস্বাভাবিক নয়। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মারা ঠিক কোন বল দিলে একটু হলেও বিপাকে পড়েন, সে সব জানাও তার পক্ষে খুবই সম্ভব। আফগানিস্তানকে হারিয়ে আসার পর ভারতের এসব দুর্বলতা খুঁজতেই নিজের ব্যস্ততার কথা জানালেন যোশী, ‘সব দলের শক্তি আর দুর্বলতার জায়গা আছে। ভারতেরও আছে। যে কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করে ফেরাতে কিন্তু একটা ভালো বলই যথেষ্ট। ভারতকে কিন্তু গত কয়েকমাসে বড় বড় ম্যাচে তিনবার হারানোর খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম আমরা। কে জানে এবার সেই ধাপই হয়ত পেরুনোর পালা।’
স্পিন ভালো খেলে বলে ভারতের সুনাম বরাবরের। স্পিনের বিপক্ষে বাংলাদেশও যে পিছিয়ে নয় তা জানিয়ে দিলেন যোশী, ‘সবারই ধারণা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা স্পিন খেলতে পারে খুব ভালো। আমরাও কিন্তু স্পিন যথেষ্ট ভালো খেলি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওদের তিন স্পিনারকে আমরা আরও ভালো সামলেছি। এখন এই ধারাবাহিকতাই রাখতে হবে।’
নকআউটে আবাহনী
স্পোর্টস রিপোর্টার : অবশেষে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কোনও টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্ব পেরুতে পারলো প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে গ্রæপ পর্ব পেরিয়ে এএফসি কাপের নকআউট পর্বে উঠে ইতিহাস গড়লো তারা। ‘ই’ গ্রæপের শেষ ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব মিনারভা পাঞ্জাবকে হারিয়ে গ্রæপ সেরা হয়েই এ যোগ্যতা অর্জন করলো আবাহনী।
গতকাল ভারতের গৌহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে গ্রæপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় মিনারভা পাঞ্জাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। একই দিন গ্রæপের অন্য ম্যাচে ভারতের চেন্নাইন এফসি ৩-২ গোলে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবকে হারিয়েছে। আবাহনী মিনারভা পাঞ্জাবকে হারাতে না পারলে চেন্নাইন উঠতো পরের রাউন্ডে। ৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্র’তে ১৩ পয়েন্ট পেয়ে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্টের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমিফাইনালসে উঠল ঢাকা আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।