নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারত ও উইন্ডিজের মধ্যকার লড়াইকে ‘দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াই’ বললে ভুল হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে হবে বেজায় বেমানান। একদিকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা ১৯৮৩ ও ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্যদিকে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ। আজ দুপুর সাড়ে তিনটায় ম্যানচেষ্টারে বিশ্বকাপের ৩৪তম ম্যাচে অপরাজিত ভারতের বিপক্ষে লড়বে খাদের কিনারে থাকা উইন্ডিজ।
এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচে এখনও অপরাজিত ভারত। চার জয় ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান তিনে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিয়ে শুরু। এরপর একমাত্র আফগানিস্তান বাদে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানরা খুব একটা পাত্তা পায়নি আসরের অন্যতম ফেভারিটদের সামনে। বিরাট কোহলির দল। মাঝে কিউইদের বিপক্ষে খেলাটি বৃষ্টিতে ভেসে যায় তাদের। অবশ্য প্রতিটি ম্যাচেই দাপুটে জয় পেলেও নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে হারতে হারতে জিতেছিলো দলটি। এখন পর্যন্ত দু:শ্চিন্তার কারন একটিই। সেই ম্যাচে আফগান ঘূর্ণিতে পাশ নম্বর পেতেই হিমশিম খেতে হয়েছে ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপকে।
অন্যদিকে এবারের আসরে ক্যারিবিয়দের শুরুটা হয়েছিলো তাক লাগানো। পাকিস্তানকে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট করে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে জেসন হোল্ডারের দল। এরপর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে প্রায় শেষ চারের আশা মৃতপ্রায় ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিদের। তবে সবশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যে লড়াকু উইন্ডিজকে দেখেছে তাতে বাকিদের কাছে সমীহ পেতেই পারে দ্বীপপুঞ্জের দলটি।
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন পর্যন্ত মুখোমুখি ১২৬ বার দেখা হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ বারের জয় উইন্ডিজের, ৪৯ বার জয় পেয়েছে ভারত। এছাড়া দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে ও তিনটি পরিত্যক্ত হয়েছে। বিশ্বকাপে এই দুই দলের দেখা হয়েছে মেট আট বার। এখানে অবশ্য এগিয়ে ভারত। ৫ জয়ের বিপরীতে ৩ ম্যাচ হেরেছে ভারত। বিশ্বকাপের আসরের সবশেষ তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে ভারত।
আত্মবিশ্বাসে পিছিয়ে থাকা উইন্ডিজ দলের জন্য আরেকটি দু:সংবাদ আন্দ্রে রাসেলের চোট। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডারের না থাকা বড় একটি ক্ষতি ক্যারিবিয়দের জন্য। অন্যদিকে ভারতীয় দলে ভুবেনেশ্বর কুমার ইনজুরির ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন। এখন কোহলি ও নির্বাচকেরা পড়ে যাবেন মধুর সমস্যায়। আফগানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মোহাম্মদ শামি নাকি ইনজুরি সেরে ওঠা ভুবেনেশ্বর? অবশ্য ভুবেনেশ্বরের হয়েই ব্যাট করলেন ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার, ‘শামির জন্য আমার খারাপ লাগছে। আমি হলে ভুবেনেশ্বরকেই দলে নিতাম। যদি ভুবেনেশ্বর ফিট থাকে, তা হলে অবশ্যই তাকে নেওয়া উচিত।’
এই ম্যাচের জয়-পরাজয়ে বাংলাদেশের তেমন কোন সুবিধা নেই। তবে টেবিলের শীর্ষচারের যে কারো হার স্বস্তির বার্তাই বয়ে আনবে বাংলাদেশী ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।