নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সরফরাজ আহমেদের এই পাকিস্তান বার বার স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে ইমরান খানকে। ১৯৯২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ইমরান খানের দলের যাত্রাটা যেমন ছিল গতকালের আগ পর্যন্ত সরফরাজের দলের সঙ্গে তা হুবহু মিলে যায়। জয়, পরাজয় তো বটেই এমনকি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্তের ধারাটাও ক্রমানুশারে কাকতলীয়ভাবে মিলে যায়।
সেবার আসরের ৩৪তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন উজ্জ্বল করেছিল পাকিস্তান। গতকাল চলতি আসরের ৩৩তম ম্যাচেও প্রতিপক্ষ সেই নিউজিল্যান্ড। সেবার কিউইদের দুইশ রানের মধ্যে গুটিয়ে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সেমির পথে এগিয়ে গেলেও বার্মিংহামের এজবাস্টনে গতকাল পাকিস্তানের সামনে ছিল ২৩৭ রানের চ্যালেঞ্জ।
ওয়াসিম আকরামের সেই ভূমিকায় এবার দেখা দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তরুণ পেসারের দুর্দান্ত স্পেলে গুড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার। ষষ্ঠ উইকেটে জেমস নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ১৩২ রানের জুটি ব্ল্যাক ক্যাপ বাহিনীকে লড়াইয়ের ফেরায়। ইনিংসের প্রাণ জেমস নিশামের সেঞ্চুরিপ্রায় ইনিংসটি। ছয়ে ব্যাটে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও মাত্র ৩ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাননি এই ভ্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুুঁজি। এই পুঁজি নিয়ে তাদের বোলার কতটুকু লড়তে পারবেন সেই প্রশ্ন রয়েই যায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেই প্রশ্নের উত্তর জানার উপায় ছিল না। এক পয়েন্টে পেলেও দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠে যেত নিউজিল্যান্ড।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে কোনো ওভার কাটা যায়নি। টস জিতে এমন মেঘলা আবহাওয়ায় কিউই অধিনায়ক কেনো ব্যাটিং বেছে নিলেন সেই প্রশ্ন রয়েই যায়। বল হাতে আদ্র আবহাওয়ার পূর্ণ সুবিধা নেয় পাক পেসাররা। যদিও বোলিং উদ্বোধন করা হয় মোহাম্মাদ হাফিজকে দিয়ে। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই মার্টিন গাপটিলকে বোল্ড করে দেন আমির। নয় বারের মুখোমুখিতে এই প্রথম ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারলেন এই বাঁ-হাতি। বাকি সময়ে আমির অবশ্য ছিলেন বেশ খরুচে।
তবে তার দেখানে পথে হেটে দলীয় ৪৬ রানের মধ্যে কলিন মুনরো (১২), রস টেলর (৩) ও টম লাথামকে (১) তুলে নিয়ে শুরুটা নড়বড়ে করে দেন শাহিন শাহ। কিউই দলের সবচেয়ে বড় ভরসা উইলিয়ামসনকে (৪১) তুলে নিয়ে নিশামের সঙ্গে জুটিটা (৩৭) বড় হতে দেননি শাদব খান। এরপরই আসে নিশাম-ডি গ্যান্ডহোমের সেই জুটি। ২১ ওভার শেষে ডি গ্র্যান্ডহোমের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় রান আউটে। গ্র্যান্ডহোম করেন ৭১ বলে ৬৪। ১১২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।