নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের সূচি নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। বাকি দলগুলো যেখানে দুটো-তিনটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছিল, ভারতের বিশ্বকাপ সেখানে শুরুই হয়েছে এক সপ্তাহ পর। তবে এটিই এখন হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়াতে পারে ভারতের জন্য। বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে যে একটানা ম্যাচ খেলতে হবে দলটিকে!
এক ভারত বাদে বাকি দলগুলো এখনো পর্যন্ত অন্তত ছয়টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোর তো সাতটি করে ম্যাচ শেষ। সেখানে ভারত খেলেছে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ, যার মধ্যে একটি আবার বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। যে কারণে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে বাকি দলগুলোর চেয়ে বেশি চাপ নিতে হবে বিরাট কোহলির দলকে।
দীর্ঘ এ টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে এখন সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই জমে উঠতে শুরু করেছে। প্রতিটি ম্যাচেই বদলে যাচ্ছে সমীকরণ, একটি ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারে অন্য দলগুলোর ভাগ্যও। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে দলগুলোকে কষতে হচ্ছে অনেক হিসাব-নিকাশ, দ্রুত শুধরে নিতে হচ্ছে ভুল-ত্রুটি। ভারত সেই ত্রুটি সংশোধনের সময় পাবে কি না, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকতে পারে খোদ ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যেই। এর পর যে একের পর এক ম্যাচ। বাংলাদেশ ম্যাচটি যেমন তাদের খেলতে হবে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে খেলে মাত্র এক দিন বিরতি নিয়ে।
টুর্নামেন্টের বাকি সূচির দিকে তাকালেই ভারতের অসুবিধা সম্পর্কে কিছুটা আঁচ করা যাবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি বড় ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। আগামীকাল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। মাঝে বিরতি পাবে দুই দিন, এরপরই আবার ৮৭ মাইল ভ্রমণ করে এজবাস্টনে নামতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৭ সালের জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো টানা দুই ওয়ানডে হেরে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের আশা কিছুটা হলেও শঙ্কায় পড়ে গেছে। পরের ম্যাচেও হারলে সুতোয় ঝুলে যাবে স্বাগতিকদের ভাগ্য। ভারতের বিপক্ষে তাই মরণকামড়ই দিতে চাইবে এউইন মরগানের দল।
বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সেরা ফর্ম দেখাতে না পারলেও নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে জেসন হোল্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বিশেষ করে আগের ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে গিয়ে ঘাম ছুটে যাওয়ায় এ ম্যাচ নিয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকার কথা দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হওয়ার মাত্র দুই দিন পরেই ইংল্যান্ডের সামনে পড়তে হবে বলে নেটে খুব বেশি সময়ও কাটানো হবে না কোহলিদের।
ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে তাও দুই দিন সময় পাওয়া যাবে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোহলিদের কপালে সময় জুটবে মাত্র একদিন! ৩০ তারিখ যে মাঠে ইংলিশদের মোকাবিলা করবে, সেই এজবাস্টনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়তে হবে ভারতকে। ইংল্যান্ড ম্যাচের শ্রান্তি ঠিকভাবে কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেকটি ম্যাচ খেলতে নামতে হবে তাদের। ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই- মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে তিনটি ম্যাচ খেলা তাই নিশ্চিতভাবেই কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে পারে গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টদের।
তবে একই মাঠে দুটি ম্যাচ হবে বলে বাংলাদেশ বিপক্ষে ম্যাচটায় কিছুটা সুবিধাও পেতে পারে ভারত। এজবাস্টনে ভারতের অন্তত এক সপ্তাহ আগে পৌঁছালেও বার্মিংহাম শহরের মাঠটিতে খেলার সুযোগ বাংলাদেশ পাবে ভারতের পরে। ম্যাচ কন্ডিশনের স্বাদ তাই ভারত আগে পাবে। তার ওপর ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ একই উইকেটে খেলা হলে, সেটিও ভারতের জন্য বেশি সুবিধার উপলক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
চলমান বিশ্বকাপের নজির বলছে, দুটি ম্যাচ একই উইকেটে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হলে ভারতীয় স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। অবশ্য সেই সুবিধা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের স্পিনারদেরও থাকবে। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় আসছে ছয় দিনের ব্যবধানে তিনটি ম্যাচ খেলার বিষয়টিই। প্রথমে বেশি জিরিয়ে নিয়ে শেষে এমন ঠাসা সূচি ভারতের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন সুনীল গাভাস্কার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।