নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাথমিক পর্বের শেষ তিনটি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য একরকম ছিল নক আউট ম্যাচ। তার প্রথমটি জেতা হয়েছে। গতপরশু সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। তার রেকর্ডে রাঙা এক জয়ে রঙিন হয়েছে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্নও। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তাকিয়ে পরের ম্যাচের দিকে। আগামী ২ জুলাই, বার্মিংহামে। যেখানে অপেক্ষায় টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারত।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের ম্যাচের আগে প্রায় সপ্তাহখানেকের বিরতি। টানা ম্যাচ খেলা ও ভ্রমণের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দিতে তাই ক্রিকেটারদের আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটিতে পরিবারসমেত ফ্রান্সে গেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফ্রান্স হয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তবে যাবার আগে শুনিয়ে গেলেন আশার কথাও।
৭ ম্যাচে পয়েন্ট ৭ নিয়ে তালিকার পাঁচে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচের একটি জিতলেও অন্যান্য ম্যাচের সমীকরণ মিলিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলা সম্ভব। তবে দুটি ম্যাচ জিতলে সম্ভাবনা খানিকটা উজ্জ্বল হবে। সাকিব তাকিয়ে সেই সম্ভাবনার দিকে। তবে বাংলাদেশ এগোতে চায় প্রতিটি ম্যাচ ধরে। ব্যাটে-বলে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দলগুলির একটি ভারত। তবে নিজেদের সেরাটা দিলে জয় খুবই সম্ভব, বিশ্বাস সাকিবের, ‘ভারতের বিপক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ আসছে। তারা শীর্ষ দলগুলির একটি, তাদের লক্ষ্য শিরোপা জয়। আমাদের কাজটি সহজ হবে না। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা। অভিজ্ঞতা সাহায্য করে বটে, তবে অভিজ্ঞতাই শেষ কথা নয়। ভারতকে হারাতে হলে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে আমাদের। তাদের এমন সব ক্রিকেটার আছেন, যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। যেটা বললাম, নিজেদের সেরাটা দিতে হবে আমাদের এবং আমাদের সামর্থ্য আছে জয়ের।’
ছুটি কাজে লাগাতে যার যার মতো পরিকল্পনা করছেন দলের বাকি সদস্যরাও। টাইগার দলনেতা মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন আর আবু জায়েদ রাহী এখনই দলের বাকিদের সঙ্গে বার্মিংহামে যাচ্ছেন না। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ সেখানেই। এই ছুটির মাঝে বাংলাদেশ দলের কোনো অফিসিয়াল অনুশীলন সেশন নেই। তার আগে ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে ঐচ্ছিক অনুশীলন সারবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন শুরু হবে ভারত ম্যাচের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি।
বাংলাদেশের হাতে থাকা দুটি ম্যাচই এখন নক-আউটে রূপ নিয়েছে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা ফল করার কোনো বিকল্প নেই। আগামী ২ জুলাই বার্মিংহামের এজবাস্টনে বিরাট কোহলিদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচ ৫ জুলাই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।