Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লর্ডসে অচেনা ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিশ্বকাপে অ্যারোন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ইংল্যান্ডকে পেয়ে দুই অস্ট্রেলিয়া ওপেনারের ব্যাট আবারো ছড়ালো দ্যুতি। অবশ্য অদিনায়কের শতক ও ওয়ার্নারের ফিফটির পথ ধরে হাঁটতে পারেননি বাকিরা। দলীয় সংগ্রহটাও তাই প্রত্যাশার পারদ স্পর্শ করতে পারেনি। মাঝারি মানের সেই পুঁজিই পরে ইংলিশদের সামনে পাহাড়সম করে তোলেন অজি পেসাররা।

লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডসে বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচে স্বাগতিকদের ২৮৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৬৫ রান। জিততে পারলে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়া।

টজ জিতে বল বেছে নেওয়া ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংটা ভালো হয়নি। হাত গলে বেরিয়েছে ক্যাচ। হাতছাড়া হয়েছে স্পাম্পিংয়ের সুযোগ। আরেকটু আঁটসাঁট ফিল্ডিং দিতে পারলে অন্তঃত ২০ রান সেভ করতে পারত ইয়ন মরগানের দল।
তারই সুযোগ নিয়ে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এসেছে আসরে তৃতীয় সেঞ্চুরি জুটি। দারুণ ধারাবাহীকতার ফলে দুজনেই উঠে এসেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকার শীর্ষে। আসরে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ১৫তম শতক তুলে নেন ফিঞ্চ। ফিফটি ইনিংসে আসরের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ার্নার স্পর্শ করেন পাঁচশ রানের মাইলফলক।

ফিঞ্চ-ওয়ার্নার জুটির শুরুটা ছিল সাবধানী। ওকস-আর্চার-উডদের বলে গতির সঙ্গে ছিল পেস ও সুইং। ঠান্ডা মাথায় তা সামলে নিয়ে সময় গড়ানোর সাথে দুই ওপেনার বাড়িয়েছেন রানের গতি। প্রথম পাওয়ার প্লে থেকে আসে ৪৪ রান। এরপর চড়াও হয়ে দলীয় শতক তুলে নেন ১৮তম ওভারে। পেসাররা ব্যর্থ হওয়ার পর মইন আলিকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। ৬১ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ২৩তম ওভারে ১২৩ রানের জুটি ভাঙেন মইন।

শুরুতেই জস বাটলারের হাতে স্টামড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া উসমান খাঁজা অধিনায়কের সঙ্গে গড়েন ৫০ রানের জুটি। দারুণ ডেলিভারিতে খাজাকে বোল্ড করে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন বেন স্টোকস। ফিঞ্চও আউট হন দ্রæতই। আর্চারের বলে ওকসের কাছে ক্যাচ দেয়ার ঠিক আগের বলে সেঞ্চুরি পুর্ণ করেন দলীয় অধিনায়ক। তার ১১৬ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ২টি ছয়ের মার।

অধিনায়কের দেখানো পথে হাটতে পারেননি বাকিরা। থিতু হয়ে আউট হন স্মিথ (৩৮)। ম্যাক্সওয়েল থেমে যান ঝড়ের আভাস দিয়েই। চলতি আসরে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউটে কাটা পড়েন মার্ক স্টয়নিস। এই আউটে অবশ্য স্মিথের দায়টাই বেশি। স্টয়নিসের ডাকে সাড়া না দিয়ে নিজ প্রান্তে থেকে যান স্মিথ। ২৭ বলে অ্যালেক্স কারির অপরাজিত ৩৮ রান অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেয় ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ।

গত কয়েক বছর রান তাড়ায় বিশেষজ্ঞ বনে যাওয়া ইংল্যান্ডের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। জেসন বেহেনডর্ফের দুর্দান্ত ডেলিভারি ভেঙে দেয় জেসম ভিন্সের মিডিল স্টাম্প। ২৬ রানের মধ্যে আসরের অন্যতম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জো রুটকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিচেল স্টার্ক। নিজের পরের ওভারে অধিনায়ক ইয়ন মরগারকে ফাইন লেগে প্যাট কামিন্সের ক্যাচে পরিণত করে ইংলিশ টপ অর্ডার ছেঁটে দেন এই গতির বোলার। থিতু হওয়া ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে (২৭) ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ বানিয়ে ইংলিশদের খাঁদের কীরারে পৌঁছে দেন বেহানড্রফ। শুরু হয় স্টোকস-বাটলারের লড়াই।

অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (ফিঞ্চ ১০০, ওয়ার্নার ৫৩, খাওয়াজা ২৩, স্মিথ ৩৮, ম্যাক্সওয়েল ১২, স্টয়নিস ৮, কারি ৩৮*, কামিন্স ১, স্টার্ক ৪*; ওকস ১০-০-৪৬-২, আর্চার ৯-০-৫৬-১, উড ৯-০-৫৯-১, স্টোকস ৬-০-২৯-১, মইন ৬-০-৪২-১, রশিদ ১০-০-৪৯-০)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট

১৬ জুলাই, ২০১৯
১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ