Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূমধ্যসাগরে ৫ মাসে আড়াই সহস্রাধিক শরণার্থীর মৃত্যু

গত বছরের তুলনায় মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ বেশি

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি বছর এ পর্যন্ত (পাঁচ মাস) সাগরপথে ইউরোপে যাবার চেষ্টাকালে অন্তত ২৫১০ শরণার্থীর সলিল সমাধি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা। সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, আরো অনেকেই হয়তো একই পথের পথিক হবেন। ইউএনএইচসিআর জানায়, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে ভূমধ্যসাগরে নিহতের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ ভাগ বেড়েছে। গত বছরের প্রথম ৫ মাসে সলিল সমাধি হয়েছিল ১৮৫৫ জনের। অন্যদিকে ২০১৪ সালের প্রথম ৫ মাসে ইউরোপ যাবার চেষ্টাকালে মারা গিয়েছিল ৫৭ জন। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার বলেন, এই সংখ্যাটি বিশেষভাবে ভয়াবহ। এটা বলে দিচ্ছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া শরণার্থীদের উদ্ধার তৎপরতা কতটা জরুরি এবং তাদের জন্য প্রকৃত এবং নিরাপদ বিকল্প আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা। গত সপ্তাহে ইতালির উপকূলে ডুবে অসংখ্য শরণার্থীর মৃত্যুর খবরের পর ইউএনএইচসিআর এই তথ্য প্রকাশ করলো। গত সপ্তাহে ৭০০ জনের মত লোক নিহত হয়েছে বলে প্রথমে বলা হলেও এখন জানানো হচ্ছে যে নিহত হয়েছে অন্তত ৮৮০ জন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে লিবিয়া উপকূলে একের পর এক শরণার্থী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ৭শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনদিনে ইতালির দক্ষিণে লিবিয়া উপকূলে তিনটি নৌকা ডুবে যায়। শরণার্থীরা এসব নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বসন্তে অনুকূল আবহাওয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার শরণার্থী সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। শরণার্থী বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চুক্তির পর তুরস্ক থেকে গ্রিস হয়ে মানুষজনের ইউরোপে প্রবেশের হার অনেকটা কমে গেছে। ফলে শরণার্থীরা এখন আফ্রিকা হয়ে ইতালি উপকূল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মানবপাচারকারীদের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর প্রায় একশ’ শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া, লিবিয়ার সাবরাথা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌযান উল্টে গেলে প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ শরণার্থী নিখোঁজ হয়ে যায়। বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা জানায়, তাদের নৌকায় কোনও ইঞ্জিন ছিল না। শরণার্থী বোঝাই অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটি উল্টে যায়। ডুবে যাওয়া তৃতীয় জাহাজটির ১৩৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের সংখ্যা অজ্ঞাত। ওদিকে, এমএসএফ সি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাহাজডুবিতে নিহতের সংখ্যা নয় শতাধিক হবে। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বেঁচে যাওয়া শরণার্থীদের ইতালির টারান্টো ও পজ্জাল্লো বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আল-জাজিরা, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমধ্যসাগরে ৫ মাসে আড়াই সহস্রাধিক শরণার্থীর মৃত্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ