পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগকে হীরার সঙ্গে তুলনা করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হীরা যত কাটে, তত উজ্জ্বল হয় বলে। জনগণের জন্য কাজ করে বলেই আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। তবু ৭০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ টিকে আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। নির্যাতনের শিকার দলটির অসংখ্য নেতাকর্মীর বলিদানেই দলটি শক্তিশালী হয়েছে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, অর্জনের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ উজ্জ্বল। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী এখন আমরা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছি। আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের মানুষ অন্তত কিছু পায়। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কারণেই বারবার নির্যাতনের পরেও শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন যতো বেশি হয়েছে আন্দোলনের গতিও তত বেড়েছে। শত আঘাতেও আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, এই অবস্থা ধরে রাখার জন্য দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোন অহমিকা করব না। মাটির সঙ্গে মানুষের সঙ্গে মিশে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।
প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। তাই সবাইকে বড় অর্জনের জন্য আত্মত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সেই আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। এই আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে দলকে গোছাতে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। সারা বাংলাদেশ ঘুরে তিনি দলকে গড়ে তুলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতা হারায়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে গড়ে তোলেন। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ বিডিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও সংবিধান রচনা করে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করে এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একইসঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে এ দেশের মানুষের মাথাপছু আয় এখন ১৯০৯ডলার। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন শীল দেশ । বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, এ দেশের মানুষ যেন সুখে শান্তিতে থাকে সে জন্য আমরা কাজ করছি। মুজিব আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলের নেতাকর্মীদের মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনতাসীর মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ কে এম রহমতুল্লাহ ও হাজী আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।