নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কঠিন সমীকরণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতলেই কেবল যেতে পারবে শেষ চারে। কাকতাল হলেও রোমাঞ্চ জাগানিয়া, বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ এখন অনেকটাই এশিয়া কাপের মঞ্চ! শেষ তিন ম্যাচে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে পারবে কি পারবে না তা নির্ভর করবে এ তিন ম্যাচের ওপর। সেই চ্যালেঞ্জের আজ প্রথম পরীক্ষা আফগানিস্তান। দুবাইয়ে শেষ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলেছিল ফাইনাল। শিরোপা জিততে পারেনি তবে শুরুতে হোঁচট খাওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মাশরাফির দল।
এশিয়া কাপেও ছিল বাংলাদেশের সামনে এমন চ্যালেঞ্জ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার। ওই হারের পরও বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় সুপার ফোরে। ওখানে দুই ম্যাচ জিতলে ফাইনাল। ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই পরাজয়। পরের দুই ম্যাচ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। পরপর দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ যায় ফাইনালে। পরবর্তীতে ভারতকে নাকানিচুবানি খাইয়ে বাংলাদেশ ফাইনাল হারে শেষ বলে।
শুরুর ধাক্কার পর পথ না হারিয়ে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ নিজেদের দৃঢ়চেতা মনোভাব প্রকাশ করে। সেই পারফরম্যান্স থেকে প্রেরণা খুঁজছে বাংলাদেশ হেড কোচ স্টিভ রোডস, ‘অবশ্যই আমরা এশিয়া কাপ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আমরা অসাধারণ একটি টুর্নামেন্ট খেলেছিলাম এবং শিরোপা প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। শেষ বলে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছিল।’
কাজটা মোটেও সহজ নয় তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রোডস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র ৩ রানে। এছাড়া আফগানিস্তান শেষ ম্যাচে ভারতকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল। আফগানদের লড়াকু মনোভাবে সতর্ক কোচ, ‘আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ আফগানিস্তান। তারা মাঠের ক্রিকেটে কঠিন প্রতিপক্ষ। ভালোমানের ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের দলটি গড়া। ভারতের বিপক্ষে তারা কঠিন লড়াই করেছিল। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা তাদেরকে যথেষ্ট সম্মান করছি। এশিয়া কাপে তারা আমাদের বিপক্ষে কঠিন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেছিল। যদিও আমরা পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা জানি তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু আমরা ভীত নই। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
এবার বিশ্বকাপে এই মাঠে ছিল মোট পাঁচ ম্যাচ। এরমধ্যে একটি ম্যাচ ভেসেছে বৃষ্টিতে। বাকি তিন ম্যাচের কোনটিতেই কোন দল আড়াইশ রানও করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৭ রানের জবাবে ৪৮ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জেতে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১২ রানে আটকে সহজেই জেতে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ম্যাচে ভারতকে মাত্র ২২৪ রানে আটকেও ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানিস্তান। তাতে চোখ রেখেছিলেন রোডস। সেখান থেকেই ধারণা পেয়েছেন উইকেটের। মাঠে এসে সব খতিয়ে দেখার পর তার মনে হচ্ছে মাঝারি রানেরই ম্যাচ হতে যাচ্ছে আজ, ‘আমি টিভিতে দেখেছি (ভারত-আফগানিস্তান)। আমাদের অনুশীলনের সময়ও লাইভ দেখেছি। এখানে দুটো ব্যাপার । টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত যেসব উইকেটে খেলেছি তার থেকে এটা মন্থর, টার্নও করছিল। আমরা একই উইকেটে খেলব। এটা জানা থাকায় ভাল হল। দ্বিতীয়ত মাঠের কোথায় উইকেট এটা দেখলাম। এটা একদম মাঝখানে। কাজেই বাউন্ডারি অনেক বড়। মনে হচ্ছে আমরা সেই ১৯৮০, ৯০ এর দশকে ফেরত যাচ্ছি। যখন কিনা অনেক বড় মাঠে খেলা হতো। এই ম্যাচে তাই চার-ছক্কা কম দেখা যাবে ভারতের ম্যাচের মতো।’
মাঠের আকারের কারণে খেলার তরিকাও ঠিক করেছেন বাংলাদেশ কোচ। বাউন্ডারির দিকে না তাকিয়ে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে জোর দিতে চান তিনি, ‘এখানে রান বড় করতে এক, দুই , তিন রান নিতে হবে বেশি। তারপরও বোলিং। আমার মনে হয় কয়েকজন বোলারের জন্য এটা বেশ ভালো মানিয়ে যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।