গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করতে রাজধানীতে রোববার (২৩ জুন) থেকে শুরু হয়েছে স্বর্ণ মেলা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়োজনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে এই মেলা চলবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত। এতে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। মেলায় শুধু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কর দিয়ে স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসের ভূঁইয়া বলেন, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রফতানির উদ্দেশে আমদানি করবে তাদের বন্ড সুবিধা দেয়া হবে। যারা বন্ড সুবিধা পাবেন তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রফতানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না। সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে এত স্বর্ণ কোথা থেকে আসে, কোথায় যায়, তার কোনো সুস্পষ্ট হিসাব নেই। এ জন্যই স্বর্ণ নীতিমালা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের সংকোচ ও ভীতি দূর করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা নিতে বলেছি। আর এ লাইসেন্স তিন বছর পরপর নবায়নের জন্য এক লাখ টাকার নেয়ার কথা এনবিআর থেকে বলা হয়েছে। এটিই চূড়ান্ত হবে।
এনবিআরের সদস্য কানন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তারা।
এনবিআর সদস্য (আয়কর) কানন কুমার রায় বলেন, এসআরও ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের এসআরও হবে কিনা-তা আমি জানি না। তাই এ সময় অপ্রদর্শিত স্বর্ণ ঘোষণা দিয়ে বৈধ করবেন। আর এ সুযোগ নিয়ে যারা স্বর্ণ বৈধ করবেন না তাদের জন্য ভালো কোনো বার্তা আমরা দিতে পারব না।
মেলা ঘুর দেখা গেছে, কর অঞ্চলের বিভিন্ন বুথের পাশাপাশি মেলায় রয়েছে সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের দুটি বুথ। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি বাংলা গোল্ডেরও একটি বুথ রয়েছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড অলংকার প্রদর্শন করছে। তবে বিক্রি করছে না। আর বাংলা গোল্ড স্বর্ণের মান পরীক্ষা ও হলমার্ক করে থাকে। অনেক ব্যবসায়ীকে কর পরিশোধ করে স্বর্ণ বৈধ করতে দেখা গেছে।
গত ২৮ মে দেশের সোনা ব্যবসায়ী ও স্বর্ণালংকার প্রস্তুতকারীদের কাছে অঘোষিত বা অবৈধভাবে থাকা সোনার মজুত ঘোষণায় আনার সুযোগ দিয়েছে এনবিআর। এই সুযোগ ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে। তবে সোনা ব্যবসায়ীরা যাতে সহজেই এই সুযোগ নিতে পারেন, সে জন্য এই অভিনব মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনের এই মেলায় সোনা ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কর দিতে পারবেন। এভাবে মেলায় এসেও ‘কালো’ সোনা ‘সাদা’ করা যাবে।
কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূখ্য কর্মকর্তা, ফার্মের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা অংশীদার ও ব্যক্তিমালিকানাধীন করদাতাদের ক্ষেত্রে করদাতাকে নির্দিষ্ট ফরমে সই করতে হবে। ফরমে ঘোষিত মজুতের বিবরণ ও করের তথ্য থাকতে হবে। কোনো করদাতা যদি হালনাগাদ রিটার্ন দাখিল না করেন, তাহলে সর্বশেষ করবর্ষের দাখিলকৃত রিটার্নে থাকা সমাপনী মজুত ঘোষণা দিতে হবে। যদি কোনো করদাতা কখনোই রিটার্ন দাখিল না করে থাকেন, তাহলে কোনো সমাপনী মজুত থাকবে না, বরং পুরো মজুতই ঘোষণার আওতায় আসবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় ভরিপ্রতি ডায়মন্ড ছয় হাজার টাকা, স্বর্ণ এক হাজার টাকা ও রুপার জন্য ৫০ টাকা কর প্রদান করে অবৈধ সোনা, রুপা বৈধ করার সুযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।