Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজে যোগ দিয়েছেন চীনা শ্রমিকরা

বাঙালি শ্রমিকদের ১৫দিনের ছুটি, কার্যক্রম শুরু করেছে তদন্ত কমিটি

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ৮:১৭ পিএম

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের কর্মমুখর হয়ে উঠছে। শনিবার থেকে চীনা শ্রমিকরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করেছে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ প্লান্টের অভ্যন্তরে বাংলা ক্যান্টিন এলাকায় বাঙালি ও চায়না শ্রমিকদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা অুনষ্ঠিত হয়। সেখানে সবাই আন্তরিকভাবে একমত পোষণ করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এদিকে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। 

অপরদিকে নিহত শ্রমিকের লাশ গুজবের খবরে শ্রমিক সংঘাত, প্লান্ট অভ্যন্তরে চুরিসহ ভাংচুর হামলার ঘটনায় কলাপাড়া থানায় দায়ের করা মামলায় কেরানিগঞ্জ থেকে গ্রেফতারকৃত ১২ বাঙালি শ্রমিককে শনিবার দুপুরে কলাপাড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে কলাপাড়া থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন নিশ্চিত করেছেন। এ ১২ শ্রমিকের এক জনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। বাকি ১১ জনের বাড়ি টাঙ্গাইলে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ঘটনায় চায়নার এনইপিসির কোম্পানির সেফটি ডিরেক্টর ওয়াং লি বিং এর দায়ের করা দু’টি মামলায় অজ্ঞাত ১২ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আগামি ১৫ দিনের জন্য বাঙালি শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হয়েছে। যাদের ঈদের বেতনসহ বকেয়া পাওনা রয়েছে তা সমুদয় আগামি তিন দিনের মধ্যে পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ। বিসিপিসিএল এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহমনি জিকো এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শণাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিংবা এখন পর্যন্ত যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব কিংবা অপ্রপচার ছড়াচ্ছে তাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার বিকেল থেকে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদদ্যুত কেন্দ্রে বাঙালি এক শ্রমিক সাবিন্দ্র দাস বয়লার থেকে সেফটি বেল্ট ছিড়ে নিচে পড়ে মারা যায়। এতে সৃষ্ট অনভিপ্রেত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ থাকে। শ্রমিকরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্লান্ট অভ্যন্তরে ভাংচুর চালায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ