পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ন্যাশনাল এন্টি টোব্যাকো প্ল্যাটফর্ম’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেছেন, টেকসই উন্নয়নে পথে বড় বাধা তামাকজাত পণ্য এবং এর ব্যবহার।
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাজেট বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাক নিয়ন্ত্রণের পরিপন্থী, লাভবান হবে তামাক কোম্পানি’ শীর্ষক বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়োজন করে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নামে সামাজিক সংগঠন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়নে বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে অন্যতম দু’টি শর্ত হচ্ছে পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ করা। তামাক আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে নষ্ট করছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে টেকসই উন্নয়ন মোটেই সম্ভব না।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র দাম বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার কমানো সম্ভব নয়। দাম বাড়ানোর পাশাপাশি সরকার এবং মিডিয়াকে তামাক বিষয়ে অনেক বেশি সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তামাক চাষ বন্ধে চাষিদের নিরুৎসাহিত করতে হবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ন্যাশনাল প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার (অব) আব্দুল মালিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেট বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের আত্মার কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।