পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ হয়েছে, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাজেট পেশের পর থেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। প্রতিক্রিয়ায় অনেকে অসন্তুষ্টির কথা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন। তবে সাধারণ মানুষ বাজেটকে দেখে থাকেন এক ভিন্ন আঙ্গিকে। অর্থাৎ এতে তাদের কতোটা লাভ হবে বা আর্থিক ক্ষতির মুখে তারা কতোটা পড়বেন সেই নিরিখেই।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এই বাজেটে সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদির দাম বাড়বে; কৃষক কোনো ভাবেই লাভবান হবেন না এবং সমাজের উচ্চবিত্তদের পক্ষে যাবে এই বাজেট।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘গতকাল জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কিছু পণ্যের দাম কমানো এবং কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে এর অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে।কিন্তু যেসব পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তা গতকাল থেকেই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যেসব পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোর দাম কমানো হয়নি। #ফাটকাবাজ_জাতি।’’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘‘এবারের বাজেটে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে চোর-রা (কালো টাকার মালিক)। পেশার স্বীকৃতি পেয়ে লাভবান হয়েছে বাটপাররাও (যেমন: বাটি চালানকারী)। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে গরীব মানুষের। গরীবরা চিনি আর খাবার তেল বেশী ব্যবহার করে। বড়লোক ব্যবহার করে বিকল্প পণ্য। গরীবরা ফোনে কথা বলে, বড়লোকরা হোয়াটসআপ আর ভাইবারে। আরো বিভিন্নভাবে করের বোঝা বেশী বেড়েছে গরীবের।’’
‘‘১০০ টাকা মোবাইলে লোড দিলে সরকারকে দিতে হবে ২৭ টাকা। তার চেয়ে সেই ভালো সবাই পুরনো দিনে ফিরে চলি। আসুন প্রিয়জনকে এবং পরিবারকে চিঠি লিখি আবেগ ভালোবাসা জমাই তুলি, হাতের লিখা সুন্দর করি, কষ্টের টাকা সাশ্রয় করি’’ বিদ্রপ করে কথাগুলো লিখেছেন মোহাম্মাদ মানিক।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রশংসা করে ফেসবুকে ইসতিয়াক আহমেদ শরিফ লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। শিক্ষা বান্ধব, কৃষি বান্ধব, তথ্য প্রযুক্তি বান্ধব, জণকল্যাণমুখী বাজেট। এই বাজেট জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বেকার তরুণদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।...’’
আর রবিউল আজম রঞ্জু লিখেছেন, ‘‘আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার শিক্ষাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী বাজেট ঘোষণা করায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ।’’
বাজেটের সমালোচনা করে জাহিদ হাসান নয়ন লিখেছেন, ‘‘কৃষকদের কথা আমাদের মনে নেই।আমরা খুব সহজে শেকড়কে ভুলে যেতে পারি।এ রাস্ট্র ধনিদের।কৃষকদের সারাজীবন কলুর বলদ হয়ে থাকতে হবে।।।’’
এদিকে, নতুন অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত রেমিটেন্সে এ ধরনের প্রণাদনা দেওয়া হবে। এই বাজেট পাস হলে আগামী ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণাদনা পাবেন।
এ সম্পর্কে ফেসবুকে মহসীন কাজী লিখেছেন, ‘‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে ১০০ টাকায় ২ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে, অাবার দেশের মানুষ মোবাইলে ১০০ টাকার কথা বললে সেখান থেকে সরকার ২৭ টাকা কেটে নেবে। দারুণ তো!’’
‘‘যে দেশের জনসংখ্যা বেশীরভাগই হত দরিদ্র নিম্ন আয় সীমার নীচে সেখানে বিলাসবহুল হওয়া হচ্ছে মাতা পিচু ঋণের বুঝা দিনকে দিন বৃদ্ধি করা, যাহা অর্থনৈতিক বিতর্কিত ভারসাম্যহীনতায় বিপর্যয়গ্রস্তের সামিল।নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা মতন’’ মন্তব্য মো. চৌধুরীর।
মহসিন খান লিখেছেন, ‘‘অন্যান্য দেশের বাজেট হচ্ছে সাধারণ জনগণের কল্যানের বাজেট আর আমাদের বাজেট হচ্ছে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি ও সাধারণ জনগণকে শোষণের বাজেট।’’
সুজন হাসান লিখেছেন, ‘‘প্রতিবারের বাজেটই বাংলাদেশের সবচাইতে বড় হয়ে থাকে, কিন্তু দেশের জনগন দরিদ্র থেকে দরিদ্র হয়ে যায় আর টাকাওয়ালারা আরো বেশি টাকার মালিক হয়ে যায়!!’’
বাজেটের সমালোচনা করে মোহাম্মাদ ইমরান আলী মন্তব্য করেন, ‘‘এ বাজেটে গরীর ও মধ্যবিত্তদের উপকারের কিছুই নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর ভ্যাট বৃদ্ধি তাদের জীবনকে আরো দুর্বিসহ করবে।সিগারেটের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি প্রশংসনীয়।’’
‘‘২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় সবকিছুরই দাম বাড়লো অথচ করমুক্ত সর্বনিম্ন আয়সীমা কবছর ধরে আড়াই লাখেই আটকে রইলো! যাতে স্বল্প আয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে আয়কর নিতে পারে!’’ লিখেছেন এম আবদুল হালিম বাচ্চু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।