নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ড ২০ রানে, নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে, নিউজিল্যান্ড ১৪৩ রানে জয়ী। শেষ তিনটি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। প্রথমটি ২০০৩ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০৭ সালে ও সবশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জয়ের ব্যবধানটা বড় করে নিয়েছে কিউইরা। শেষ কবে জিতেছে ক্যারিবিয়রা? বছরের হিসেবে আরও ২০ বছর আগে। ব্রায়ান লারার হাত ধরে ১৯৯৯ সালে। ৭ উইকেটের সেই জয়ই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কিউইদের বিপক্ষে শেষ জয়।
কিন্তু হঠাৎ এ প্রসঙ্গ কেন? আজ বিশ্বকাপ আসরের ২৯তম ম্যাচে এ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে। তাই এ প্রসঙ্গের অবতারনা। উনিশ হাজার দর্শক ধারনক্ষমতা সম্পন্ন ম্যানচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে দিবা রাত্রির ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে এখনও অপরাজিত নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচে বৃষ্টির তোপে ভারতের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে তাদের অবস্থান টেবিলের দুইয়ে। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে একটিমাত্র জয় উইন্ডিজের। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয়ার পর প্রতি ম্যাচে নিজেরাই উড়ে গেছে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচটি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সাতে তাদের অবস্থান।
বিশ্বকাপে এ দুই দলের লড়াই নিউজিল্যান্ডের জন্য অপরাজেয়র তকমা ধরে রেখে শীর্ষে যাওয়ার লড়াই। অন্যদিকে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া উইন্ডিজের শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে উইন্ডিজ। মোট ৬৪ বারের দেখায় ৩০ বার শেষ হাসি হেসেছে ক্যারিবিয়রা। ২৭ বার জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা। পরিত্যক্ত হয়েছে ৭টি ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপে মুখোমুখি ৭ ম্যাচে ৪ বার জিতেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ৩ বার জিতেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ পাঁচ ম্যাচের লড়াইয়ে ক্যারিবিয়রা জিতেছে ১ বার। কিউইরা জিতেছে ৪ বার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে উইন্ডিজের সবশেষ জয় ২০১৪ সালে। তাও ২০৩ রানের দাপুটে এক জয়। তারপর থেকে হারের ৩৬০ ডিগ্রি বৃত্তেই আবদ্ধ ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিরা।
শক্তিমত্তার বিচারে এগিয়ে উইন্ডিজ। কিন্তু বুদ্ধিমত্তার বিচারে অনেক এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেট যে শক্তি দিয়ে জেতা যায় না, বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজের হারই তার প্রমান। আগের ম্যাচগুলোতেও একই দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। অন্যদিকে বুদ্ধি দিয়ে ম্যাচ বের করে নেয়া দেখিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তারও আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়- কিউইদের ক্ষরধার বুদ্ধিরই প্রতিফলন।
ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড, ঠিক তার ১৮০ ডিগ্রি অবস্থানে পিছিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব ধরনের পরিসংখ্যানে, আত্মবিশ্বাসে ও জয়ের মানসিকতায় এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে একটি পরিসংখ্যান মুখে হাসি ফোটাতে পারে জেসন হোল্ডারদের। আজকের ভেন্যু ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬ ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের জয় মাত্র এক ম্যাচে। অন্যদিকে এই ভেন্যুতে সমান ৬টি ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের দ্বিগুণ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড উইন্ডিজের। ৬ ম্যাচে ক্যারিবিয়দের জয় ২টিতে।
ক্যারিবিয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড এবারের আসরে এখনও শেষ চারের আশা দেখছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিউইদের বিপক্ষে কিছু করতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। ওদের আছে কেন উইলিয়ামসনের মতো দুর্দান্ত একজন অধিনায়ক, এমনকি অসাধারণ একজন ব্যাটসম্যানও। যে একাই ম্যাচের নিয়ন্তন নিয়ে নিতে পারে।’
এখন দেখা যাক, লয়েডের অনুপ্রেরণায় উজ্জ্বীবিত হয়ে কিউইদের বিপক্ষে ঘুরে ক্যারিবিয়রা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা। গতরাতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও স্বস্তি নিয়ে এসেছে শ্রীরঙ্কা। উইন্ডিজ এ ম্যাচে জয় তুলতে পারলে সেমির পথটা আরো সুগম হবে মাশরাফিদের। অবশ্য তার আগে নিজেদের ম্যাচে জয়ের বিকল্পও যে নেই। সেই সমীকরণের প্রথম ধাপ, আজকের নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।