নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : ঘুমাতে গিয়েছিলেন রাত সাড়ে ৩টায়। আর সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরিই হয়েছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। ঘুম থেকে ওঠার পরপরই প্রথমেই মা মাহমুদা খাতুনসহ পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশিদের হাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই মিষ্টি মুখ করতে হয়েছে তাকে। এরপর বাড়ির উঠানে বের হতেই অপেক্ষমান সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা দেখে দেন ভো দৌড়। এক দৌড়ে ঢুকে যান ঘরের ভিতরে। পরে স্থানীয় তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট’র অনুরোধে বের হয়ে আসেন ঘর থেকে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ, না বাদে আর কোন কথাই বলেন নি তিনি। আইপিএল-এ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভ‚তি জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাল’। আর সতীর্থদের বাংলা শেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘তারাই ইচ্ছা করে শিখেছে’। মা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘ওর জন্য দুপুরে দেশি মুরগী ও খিচুড়ি রান্না করবো। ও দেশি মুরগি খেতে পছন্দ করে।’ আর মুস্তাফিজ বলেন, ‘মা যা রান্না করে তাই ভাল লাগে।’ এদিকে, সকালে জনতা ব্যাংক উজিরপুর শাখার গ্রাহক দ্য ফিজ মুস্তাফিজুর রহমানকে সংবর্ধনা দিতে আসেন শাখা ব্যবস্থাপক শেখ শামীম আহম্মেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। আর একটি ফ্রিজসহ উপহারের পশরা নিয়ে আসেন কোকাকোলা কোম্পানির কালিগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স অফিসার হাবিবুর রহমান। তবে, বাড়ি থেকে বের হওয়া একটু কষ্টসাধ্য বলে জানালেন মুস্তাফিজের সেঝ ভাই মোখলেছুর রহমান পল্টু। বললেন, ‘বিসিবি’র নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া কোন জায়গায় গেলে সবাই ঘিরে ধরে। সুস্থভাবে চলাফেরা করাটা দায় হয়ে যায় আমাদের।’
অপরদিকে, মুস্তাফিজের বাড়ি ফেরাকে ঘিরে আনন্দের বন্যা বইছে কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে। দেখা পান আর না পান সকলেই অন্তত একবার আসছেন মুস্তাফিজের বাড়িতে। গ্রামে গ্রামে ছড়িড়ে পড়েছে মুস্তাফিজ বাড়ি এসেছে।
এর আগে টানা প্রায় দু’মাস পর মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে বাড়ি পৌঁছান তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে যশোর এয়ারপোর্ট থেকে সড়ক পথে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা করেন এই কাটার মাস্টার। সাতক্ষীরা পৌঁছে রাত ১০টার দিকে খালু আনিছুর রহমানের বাড়িতে দুই মিনিটের যাত্রা বিরতি করেন তিনি।
সবার আগে সুপার লীগে প্রাইম দোলেশ্বর
বিশেষ সংবাদদাতা : আবাহনীর কাছে শেষ বলে হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি প্রাইম দোলেশ্বরের। তবে প্রিমিয়ার ডিভিশনের সর্বশেষ আসরের রানার্স আপ এই দলটি এবার সবার আগে নিশ্চিত করেছে সুপার লীগ। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৬ বল হাতে রেখে গাজী গ্রæপকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৭ম জয়ে নিশ্চিত করেছে সুপার লীগ কেরানীগঞ্জের এই ক্লাবটি। আর এই হারে সুপার লীগের টিকিট পেতে শেষ রাউন্ডটি গাজী গ্রæপের মাস্ট উইন ম্যাচে পাচ্ছে রূপ।
আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছুই করে দেখাতে পারেননি রাজস্থানের বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়া। ওই ২ ম্যাচে স্কোর যথাক্রমে ৬ এবং ১! উইকেট মাত্র ১টি। অথচ এই ভারতীয়কে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে বেঙ্গালুরুর শচীন বেবি’কে উড়িয়ে আনার প্রস্ততি যখন দোলেশ্বরের, তখন দলটিকে নিজের জাত চিনিয়েছেন অশোক মেনারিয়া। এবং তা অল রাউন্ড পারফরমেন্সে। বাঁ হাতি স্পিনে ৩/২৯,আর ব্যাটিংয়ে ফিনিশার চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরে (৬১ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৫৯ নট আউট)। মূলত তার বোলিংয়েই এক পর্যায়ে স্কোর শিটে ৯৭ রান উঠতে গাজী গ্রæপ হারিয়েছে ৫ উইকেট। আবার জবাব দিতে এসে প্রাইম দোলেশ্বরের স্কোর যখন ৭০/৩, তখন ২১৪’র চ্যালেঞ্জে নাসিরকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ এবং রনিকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের ২টি পার্টনারশিপে দিয়েছেন নেতৃত্ব এই ভারতীয়। এমন এক ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়ে ক্লাবটির সাধারন সম্পাদক যখন অভিনন্দিত করতে বাড়িয়ে দিয়েছেন হাত, তখন এক গাল হাসি দিয়ে মেনারিয়ার জবাবÑ‘স্যার, অ্যাট লাস্ট আই গট রান।’
এই ম্যাচেও গাজী গ্রæপ লড়েছে শরীফের অল রাউন্ড পারফরমেন্সে। স্কোর ২শ টেনে নেয়ার আশা যখন ছেড়ে দিয়েছে গাজী গ্রæপ, তখন এই টেল এন্ডের ২৫ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৩৯ রানে স্কোর থেমেছে ২১৩/৮ এ। এই স্কোরে অবদান মিডল অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া বাঁ হাতি ইলিয়াস সানির ৪৬ রান। ২১৩ পুঁজি নিয়েও জিততে পারতো গাজী গ্রæপ। তবে এদিন গাজী গ্রæপকে হতাশ করেছে চার-চারটি ক্যাচ ড্রপ। যার মধ্যে ৩৮ রানের মাথায় মেনারিয়ার ক্যাচটি ডিপ মিড উইকেটে ফেলে দেয়ায় আফসোস করতে হচ্ছে দলটিকে।
এদিকে ফতুল্লায় এদিন দুই আন্ডারডগের লড়াইয়ে জিতেছে কলাবাগান একাডেমী। অধিনায়ক মাহামুদুল হাসানের বোলিংয়ে (৩/৩৭) সিসিএসকে ১৮৫ রানে আটকে ফেলে (১৮৫/৯) ৫৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে কলাবাগান একাডেমী ভারতীয় যতিন সক্সেনার ৯৫ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৮৭ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংসে। এটি ১০ ম্যাচে কলাবাগান একাডেমীর দ্বিতীয় জয়, বিপরীতে সিসিএসের ৮ম হার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।