পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এক দশক পর হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে ইফার সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কথায় কথায় সাসপেন্ড, চাকরিচ্যুতি ও তাৎক্ষণিক বদলির ভয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন চুপ। তার সম্মুখে হ্যাঁ ছাড়া দ্বিমত পোষণ করার কেউ ছিল না। দুর্দান্ড প্রতাপে এক দশক পার করেছেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম! ইফার এক পরিচালককে তুচ্ছ কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে এখন নিজেই চিরকালীন বরখাস্তের মুখোমুখি। কয়েক দিন যাবৎ তার পদত্যাগের দাবিতে ইফার সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির নানা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। পদত্যাগের দাবি জোরালো করতে ঢাকার বাইরে থেকেও ইফার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ ও ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম অক্ষুণœ রাখতে প্রধানমন্ত্রী ধর্ম মন্ত্রণালয়কে যথাযথ দিকনির্দেশনা দেন। বিকেলেই ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ইফার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার প্রতি আস্থা রেখে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফিরে যান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর জরুরি সভা আগামীকাল শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আহবান করা হয়েছে। এ সভায় ইফা ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের ভাগ্য নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে এক ব্যবসায়ী মসজিদের লোড বেয়ারিং পিলার ভেঙে দোকান স¤প্রসারণ করেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদ-মার্কেট পরিচালক মুহীউদ্দিন মজুমদার বাদল দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালকের নিকট নথি প্রেরণ করেন। মহাপরিচালক ৬ মাস এই নথি আটকে রাখেন। এদিকে ঝুঁকির মুখে পড়ে যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ মহাপরিচালককে ভর্ৎসনা করেন এবং দ্রæত পিলার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেন। প্রতিমন্ত্রী নিজেই পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে উক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। তার সাথে উক্ত ব্যবসায়ীর গোপন যোগাযোগের বিষয়টি ফাউন্ডেশনে ওপেন-সিক্রেট। তিনি ঠুনকো কারণ দেখিয়ে উক্ত পরিচালক মুহীউদ্দিন মজুমদারকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই সাসপেন্ড করেন।
তারপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ডিজির পদত্যাগের দাবির আন্দোলন। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বারুদের মতো বিস্ফোরিত হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি প্রথম আন্দোলনকারীদের নগদ অর্থ, পদোন্নতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেন। তাতেও কাজ হয়নি। এবার তিনি আন্দোলনকারীদের ভয়-ভীতি দেখাতে শুরু করেন। শেষ রক্ষা হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ৩ দিনের ছুটি নেন। আশা ছিল পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি! পদত্যাগের দাবির আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছিল। ঢাকার বাইরে থেকেও ইফার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
যে সামীম আফজালের একটু অনুগ্রহ পেতে ইফার সবাই মুখিয়ে থাকতেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ তার পাশে নেই। খোদ ইফার কর্মকর্তারাই এখন ফাঁস করছেন মহাপরিচালকের নজিরবিহীন দুর্নীতির অজানা নানা তথ্য। তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়করণ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে দৈনিক ভিত্তিতে শত শত কর্মচারী নিয়োগ, অন্যের দ্বারা বই লিখিয়ে লাখ লাখ টাকার রয়্যালিটি গ্রহণ, বিনা কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাহারসহ নানা অনিয়মের তথ্য এখন বেরিয়ে আসছে।
ডিজি হিসেবে যোগদানের পূর্বে তার ভায়েরা-ভাই সৈয়দ শাহ এমরান এখানে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, গত ১০ বছরে ডিজি তার অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনকে অন্যায়, অনিয়ম ও অবৈধভাবে এখানে চাকরি দেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- সহকারী পরিচালক পদে ডিজির আপন বোনের মেয়ে ফাহমিদা বেগম (বর্তমানে কক্সবাজারের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত), মহিলা কো-অর্ডিনেটর অফিসার পদে আরেক বোনের মেয়ে সিরাজুম মুনীরা (বর্তমানে দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের মহিলা শাখায় কর্মরত), সহকারী পরিচালক পদে আপন ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ইমাম প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি), বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম পদে আপন বোনের ছেলে মাওলানা এহসানুল হক, উৎপাদন ব্যবস্থাপক পদে ভাইয়ের ছেলে মো. শাহ আলম (বর্তমানে চট্টগ্রামে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত), প্রকাশনা কর্মকর্তা পদে আরেক ভাইয়ের ছেলে মো. রেজোয়ানুল হক (বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ছাপাখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত), হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে আরেক ভাইয়ের ছেলে মো. মিসবাহ উদ্দিন (৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্পে কর্মরত), আর্টিস্ট পদে শ্যালিকা ফারজিমা মিজান শরমীন (বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ছাপাখানায় কর্মরত), সহকারী পরিচালক পদে ভায়রার ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (বর্তমানে প্রশাসন বিভাগে কর্মরত), সহকারী পরিচালক পদে বন্ধুর মেয়ে সৈয়দ সাবিহা ইসলাম (বর্তমানে প্রশাসন বিভাগে কর্মরত), সহকারী পরিচালক পদে আরেক আত্মীয় আবদুলাহ আল মামুন (বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ছাপাখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত), সহকারী পরিচালক পদে আরেক আত্মীয় ইলিয়াস পারভেজ (মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে কর্মরত), ডিজির ছেলে অনিকের গৃহশিক্ষক আতিয়ার রহমানকে প্রোগ্রাম অফিসার পদে (ইসলামিক মিশন প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) নিয়োগ প্রদান করেন। এগুলো সবই প্রথম শ্রেণির পদ।
এছাড়া ভাইয়ের ছেলে মো. রাসেল মিয়াকে ইসলামিক মিশনের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদে, আপন ভাইয়ের ছেলে মুনিমকে এলডিএ পদে, মাহমুদকে এলডিএ পদে, মাহমুদের স্ত্রীকে ল্যাব-টেক পদে, রতনকে ফিল্ড সুপারভাইজার পদে, ফয়সালকে হিসাবরক্ষক পদে, আনোয়ারুল আজিমকে উচ্চমান সহকারী এবং আনোয়ারুল হককে গবেষণা সহকারী পদে নিয়োগ দেয়। এসব নিয়োগে কোনো নিয়মনীতি কিংবা মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়নি।
এছাড়া ডিজির ঘনিষ্ঠ পরিচালক মু. হারুনুর রশিদের (ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা) ছেলে নাজমুস সাকিবকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে (বর্তমানে কুমিলা জেলায় সহকারী পরিচালক পদে), ডিজির ঘনিষ্ঠ পরিচালক তাহের হোসেনের স্ত্রীর বোনের মেয়ে সাহিনা আক্তারকে সহকারী পরিচালক পদে (বর্তমানে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত), পীরভাই জালাল আহমদের স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে প্রোগ্রাম অফিসার পদে (কেন্দ্রীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত), ডিজির ঘনিষ্ঠ পরিচালক এ বি এম শফিকুল ইসলামের আত্মীয় হোমায়রা আক্তারকে পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে (পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত) নিয়োগ দেন।
আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়োগ দিতে তিনি কোনো বিধি-বিধানের ধার ধারেননি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চরম জালিয়াতিরও আশ্রয় নেন। আর্টিস্ট পদে কর্মরত ডিজির শ্যালিকা ফারজিমা মিজান শরমিনের চাকরির আবেদনেরই কোনো যোগ্যতা ছিল না। ওই পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর। অথচ তার চারুকলার কোনো ডিগ্রি নেই। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে কর্মরত ডিজির ভাতিজা মো. মিসবাহ উদ্দিনের জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, অথচ তাকে ঢাকা জেলার কোটায় চাকরি দেয়া হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম পদে কর্মরত ডিজির ভাগ্নে মাওলানা এহসানুল হকের চাকরি লাভের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই। এ বিষয়ে হাইকোর্টেও মামলা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ছাপাখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ডিজির ভাতিজা মো. রেজোয়ানুল হককে প্রকাশনা কর্মকর্তা পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ওই পদে যোগ্য প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাসির উদ্দিন শেখকে বাদ দিয়ে নম্বর বাড়িয়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ডিজির ভাগ্নী ফাহমিদা বেগম লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে পান ৩০। কিন্তু ২৮ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় তিনি পান ২৭ নম্বর। ডিজি মামার কারণে ফাহমিদা বেগম ২০১০ সালের জুন মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সহকারী সম্পাদক পদে চাকরি পান। তিনি যে পদে নিয়োগ পান তা সৃজিত কোনো পদ নয়। মনগড়া ও পারস্পরিক যোগসাজশে তাকে চাকরি দেয়া হয়েছে। ডিজির ভাতিজা মো. শাহ আলমকে উৎপাদন ব্যবস্থাপক পদে চাকরি দেয়া হয়েছে। অথচ ইতঃপূর্বে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রেসে কম্পিউটার অপারেটর পদে দৈনিক ভিত্তিতে চাকরি করছেন। উৎপাদন ব্যবস্থাপক পদে বয়সসীমা চাওয়া হয় ৩০ বছর। কিন্তু এসএসসির সনদ অনুযায়ী শাহ আলমের বয়স তার চেয়ে বেশি। তার শিক্ষার সনদে ঘষামাজার চিহ্ন পাওয়া যায়।
এছাড়া দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দৈনিক ভিত্তিতে ৬০০-৭০০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেন সামীম মোহাম্মদ আফজাল। আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি, পদ রক্ষা, আত্মীয়করণ ইত্যাদির জন্য তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে তাদের নিয়মিতকরণ করা হয়। যদিও দৈনিক-ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার কোনো বিধিবিধান নেই। বোগদাদী কায়দা নামে একটি আমপারা শাহ মোহাম্মদ আহসানুজ্জামানের নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগ থেকে ছাপা হয়। ওই বইয়ের রয়্যালিটি বাবদ তাকে ১৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের আগে সামীম মোহাম্মদ আফজালের নিজ নামে কোনো বই ছিল না। কিন্তু ইফার ডিজির দায়িত্ব নেয়ার পর তার নামে ২৫টির অধিক বই বের হয়। অভিযোগ রয়েছে, একটি বইও তিনি নিজে লিখেননি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও নুরুল ইসলাম মানিক অধিকাংশ বই লিখে দিয়েছেন। অন্যের লেখা বই ডিজি নিজের নামে ছাপিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে লাখ লাখ টাকার রয়্যালিটি গ্রহণ করেছেন। ২০১০ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রেসের জন্য এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হলেও মাত্র ৪৫ লাখ টাকায় মেশিন কেনা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় সোয়া কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ফাইলে দেখানো হয়েছে হাইডেলবার্গ জার্মানির মেশিন কিন্তু বাস্তবে কেনা হয়েছে চায়না মেশিন। দুর্নীতির টাকা ডিজিসহ তার ঘনিষ্ঠ পরিচালক হারুনুর রশিদ, তাহের হোসেন, সাহাবউদ্দিন খান ও হালিম হোসেন খান ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ছাপাখানার উৎপাদন সক্ষমতা থাকার পরও শুধুমাত্র পদ রক্ষার জন্য একজন সাবেক মন্ত্রীর প্রেস থেকে অবৈধভাবে ৭০ লাখ টাকার কুরআনুল কারীম ছাপানো হয়। ২০১০ সালে এক অনুষ্ঠানে আমেরিকান শিল্পীদের দিয়ে ব্যালে নৃত্য প্রদর্শন করে ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল ইসলাম ধর্মের অপমান করেন। এর বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঐ সময়ে তার পদত্যাগেরও দাবি উঠেছিল। ওই সময়ে কৌশলে তিনি রক্ষাপান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।