দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
১। মোহাম্মাদ ফাতলুল বারী ফাইয়্যাজ, রাজামেহার, কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : সকল সাহাবা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত কিনা জানতে চাই?
জবাব : সকল সাহাবা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সত্যের মি’য়ার বা মাপকাঠি এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক বলেনÑ (ক) মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহতায়ালার রাসূল। তারাই (সাহাবাগণ) সত্যিকারের মুমিন। (আনফাল-০৪) (খ) যদি লোকেরা তদ্রƒপ ঈমান আনত, যেরূপ তোমরা (হে সাহাবিগণ) ঈমান এনেছ, তবে তারা হেদায়েত লাভ করত। (আল বাকারা-১৩৮) (গ) যদি তাদের (সত্যিকার ঈমাদান হওয়ার জন্য) বলা হয় : তোমরা ঈমান আন, যেমন ঈমান এনেছে এ লোকেরা (সাহাবাগণ)। তারা বলে : আমরা কি ঈমান আনব, যেমন এনেছে নির্বোধ লোকেরা। মনোযোগ দিয়ে শোন, নিশ্চয়ই তারাই নির্বোধ ও জ্ঞানহীন। (আল বাকারা-১৩)। তাছাড়া সাহাবা কিরামের পারস্পরিক মতবিরোধ ও দ্ব›েদ্বর ভিত্তি ছিল আমানতদারী, দ্বীনদারী, আল্লাহ ভীতি এবং ইজতিহাদগত ভিন্নতা। যার দ্বারা ইজতিহাদী ভ্রান্তি হয়েছে, তিনিও একটি সওয়াব লাভ করবেন। কেননা মুজতাহিদ ভুল করে এক সওয়াব ও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হলে দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করেন। মুজতাহিদের ইজতিহাদী ভুলের জন্য ইহকালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয় না, পরকালেও হবে না। পরম করুণাময় আল্লাহপাক সাহাবাদের শানে বলেনÑ (ক) মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহতায়ালার রাসূল। যারা তার প্রতি ঈমান এনেছে তারা কাফিরদের বেলায় কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পরে বিনয়ী (আল ফাতাহ-২৯) (খ) সেদিন আল্লাহতায়ালা নবী ও তার প্রতি বিশ্বাসীগণকে লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে দৌড়াতে থাকবে। (আত তাহরীম-০৮) (গ) নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেনÑ তোমরা আমার সাহাবিদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। আমার পরে তাদেরকে (শত্রæতার) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত কর না। (তিরমিজি-২/৭০৬)। বস্তুত সাহাবা কিরামের ইজতিহাদী ভ্রান্তির ওপর সমালোচনা করার কারো কোনো অধিকার নেই। এর প্রধান কারণ হলো সব সাহাবা (রা.) ভ্রান্তি হতে মুক্ত। অর্থ হলোÑ আল্লাহতায়ালা ভুলভ্রান্তি হতে তাদের রক্ষা করবেন অথবা কোনো ভুল হয়ে গেলেও আল্লাহর পাকড়াও থেকে তারা সংরক্ষিত থাকবেন। মহান আল্লাহ আখিরাতে তাদেরকে ধরবেন না। তাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করবেন। কেননা, নবী ও রাসূল পদে অভিষিক্ত করতে যেমন আল্লাহপাক তার নৈকট্যপ্রাপ্ত বাছাইকৃত বান্দাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, তেমনি সাহাবা হওয়ার গৌরব লাভ করতে বিশেষ ব্যক্তিদের মনোনীত করেছেন।
উত্তর দিচ্ছেন : মুফতী মোহাম্মাদ তাহেরি মাসউদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।