নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলীয়দের আছে মিচেল স্টার্কের মতো ফাস্ট বোলার। তবে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস মনে করেন, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার গতি বোলারদের নিয়ে আতঙ্কে ভোগার কিছু নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ এক জয় এসেছে। সাকিব আল হাসান আর লিটন দাসের জুটিতে বাংলাদেশের এক দুর্দান্ত রান তাড়ার সাক্ষী হয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। তবে এ ম্যাচ জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই পরের ম্যাচের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই যে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মাশরাফি-সাকিবরা।
অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দল, যে দলের বিপক্ষে সা¤প্রতিক অতীতে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে পন্টিং-ম্যাকগ্রা-গিলক্রিস্ট-হেইডেনদের সর্বজয়ী দলের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টা বহু আরাধ্যই থেকে গেছে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারানো সম্ভব হলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য এখনো দূর আকাশের তারা।
এবারের বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের দল ৮ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। অধিনায়ক ফিঞ্চ রয়েছেন দারুণ ফর্মে। শ্রীলঙ্কাকে সেদিন রীতিমতো খুনই করেছেন তিনি। আরেক তারকা ডেভিড ওয়ার্নারও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন দুর্দান্তরূপে জ্বলে ওঠার। স্টিভ স্মিথও মুখিয়ে প্রতিপক্ষকে দুমড়েমুচড়ে দিতে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের নিয়ে একটু আলাদাভাবেই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, কেন রিচার্ডসনদের বোলিংয়ে গতি বড় ব্যাপার। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পর অস্ট্রেলীয়দের ‘গতি’ নিয়ে খুব একটা আতঙ্কিত নয় বাংলাদেশ। কেন নয় সেটির ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের দুই ‘বীর’ সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
সাকিব মনে করেন, মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখলেই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, ‘আমরা অস্ট্রেলীয় দলের বোলারদের গতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। কারণ, আমরা ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলারদের খেলেছি, খেলেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের। দুই দলেরই ১৪০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে বোলিং করা ফাস্ট বোলার আছে। এ বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার পর আমরা যদি মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে পারি, তাহলেই হবে। আমি মনে করি, আমরা যথেষ্ট ভালো দল। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে।’
লিটনও অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারদের নিয়ে নির্ভার, ‘এশিয়ান দলের বিপক্ষে সবাই শর্ট বল করা চেষ্টা করে। ১০ শর্ট বলের আমরা ৫টায় সফল হই, ৫টায় হই না। এশিয়ার বাইরের দলগুলো স্বাভাবিকভাবে এটা আমাদের বিপক্ষে চেষ্টা করবে। ওদের গতিময় বোলার আছে। আজ (পরশু) যেভাবে সামলে খেলেছি, পরের ম্যাচেও একইভাবে খেলতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।