নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টন্টনের এই মাঠটা বিশ্বকাপের অন্য মাঠগুলোর তুলনায় অনেক ছোট। যে কারণে ক্রিস গেইল এবং আন্দ্রে রাসেলকে দ্রæত ফেরানোই ছিল বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ জিতলেও আটকানো গেল কই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টপ ও মিডিল অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানদের মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যারিবীয়রা রেকর্ড লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগারদের।
গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৩১৯ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। এবারের লক্ষ্যটা এর চেয়ে বড়। প্রতিপক্ষও তুলনামূলক কঠিন। গ্যাব্রিয়েল-হোল্ডার-কটরেলদের বাউন্স সামলে ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙানো তো চাট্টিখানি কথা নয়।
রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন হওয়ার দরকার ছিল তেমনটাই করেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। রূদ্রমূর্তিতে ছিলেন সৌম্য। তবে তার বিদায়েই ভাঙে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি। বড় ইনিংসের আভাস দিয়েও ২৩ বল ২টি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করে রাসেলের শর্ট বলে গালিতে ক্যাচ দেন এই বাঁ-হাতি। এই রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২ ওভার শেষে সৌম্যের উইকেটটি হারিয়ে ৮৯ রান। সাকিবের (১০ বলে ১৫) সঙ্গে ব্যাটে ছিলেন বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত নিজেকে চেনাতে শুরু করা তামিম (৩৯ বলে ৩৭)।
দ্য কুপার অ্যাসোসিয়েট কাউন্টি গ্রাউন্ডে টসজয়ী বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। ৫ ওভারে উইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে মাত্র ৮ রান। এর মধ্যে গেইলের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নেন সাইফউদ্দিন। ১০ ওভার শেষে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৩২। মাশরাফি কোনো উইকেট না পেলেও কিপটে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের উপর চাপ ধরে রাখেন। দ্বিতীয় উইকেটে ইভিন লুইস ও হোপের ১১৬ রানের জুটিতে চাপটা ভালোমত সামলে নেয় হোল্ডার বাহিনী। হোপ ক্রিজে আটকে ছিলেন বড় ইনিংসের আভাস দিয়ে। তবে বেশি ভুগিয়েছেন লুইস। ৬৭ বলে ৭০ করা লুইসকে ফিরিয়ে রাশ টেনে ধরেন সাকিব আল হাসান।
৩০ ওভার পর্যন্তও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মাশরাফিদের হাতে। এরপর দশ ওভারে তিন উইকেট নিতে পারলেও রান আটকানো যায়নি। বলতে গেলে এসময়ই ম্যাচের সুর পাল্টে দেন শিমরান হেটমায়ার ও জেসন হোল্ডার। ১০ ওভারে তারা তুলে নেয় ৯২ রান। বিশাল বিশাল ছক্কায় দুজন মেতে ওঠেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। বল গ্যালারি ছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকবার। হেটমায়ার ১০৪ মিটার ছক্কার টুর্নামেন্ট রেকর্ড গড়ে যাওয়ার পর ব্যাটে এসে ১০৫ মিটার দীর্ঘ ছক্কা হাঁকান হোল্ডার। ৩০ ওভার শেষে যে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৫১, সেটাই ৪০ ওভার শেষে ফুলে ফেঁপে দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৪৩! এরপরও বলতে গেলে শেষ দিকে ভালো বোলিংই করেছেন মুস্তাফিজ-সাইফরা। শেষ দশ ওভারে তারা করতে পারে ৭৮ রান। যে কারণে দৃশ্যত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল।
পুরো উইন্ডিজ ইনিংসের মূল জ্বালানি ছিল শাই হোপের ১২১ বলে ৯৬ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসটি। চতুর্থ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন হেটমায়ার। এই জুটি যোগ করে ৪৩ বলে ৮৩ রান। ২৫ বলে ফিফটি করা হেটমায়ারকে ফেরান মুস্তাফিজ। একই ওভারে দুর্ধর্ষ কাটারে রাসেলকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ বানান এই বাঁ-হাতি। তবে হোল্ডার এসে ১৫ বলে ৩৩ রান করে রানের চাকা সচল রাখেন। হোল্ডার ফেরার পর তাদের সংগ্রহটা প্রত্যাশার রূপ নিতে পারেনি। এরপর ৩৮ বলে তারা নিতে পারে মাত্র ৩৯।
বোলারদের মধ্যে কেবল মাশরাফিই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ছয়ের নিচে। উইকেট না পেলেও দলপতি ৮ ওভারে দেন ৩৭ রান। খরুচে বোলিংয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজ, দুটি নেন সাকিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।