নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : এর আগে বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের দেশে প্রত্যাবর্তন এতোটা আলোড়ন তোলেননি। সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন মুস্তাফিজুর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে সানাইজার্স হায়দারাদে ধারাবাহিক সফল বোলিংয়ে ১৭ উইকেট, সবচেয়ে কম ইকোনমি বোলিংয়ে আসরের সেরা উদীমান এই তারকার প্রত্যাবর্তনে ফেলেছে দারুন সাড়া।
গত সোমবার রাতে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এব্ং যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ফুলেল শুভেচ্ছা। বিমানবন্দরে নেত্রকোনার নামকরা বালিশ মিস্টি মুস্তাফিজুরের মুখে তুলে দিয়েছেন উপমন্ত্রী। বাইরে তখন হাজারো মুস্তাফিজুর ভক্ত। দেশে পা রেখে এভাবে বিমানবন্দরে সম্বর্ধনা পেয়ে অভিভূত হওয়ারই কথা মুস্তাফিজুরের। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইপিএলে মুস্তাফিজুরের বোলিংয়ের উপর একটি ভিডিও চিত্র দেখে অভিভূত হয়েছেন। অথচ, যাকে নিয়ে দেশজুড়ে এতো মাতামাতি, মুস্তাফিজুর কিন্তু এসব নিয়ে আত্মহারা নন। বিমানবন্দর থেকে মামা শরীফুল ইসলামের সঙ্গে গাড়িতে করে তার বাসায় (মিরপুর ১০ নম্বর) যেয়ে অনেক রাত পর্যন্ত নাকি গল্প আড্ডায় কাটিয়েছেন সময়। রাতে নাকি পেট পুরে গরুর গোশত খেয়েছেন মুস্তাফিজুর। এমন তথ্যই দিয়েছেন মুস্তাফিজুরের খালাতো ভাই রবীনÑ ‘আইপিএলে খেলতে প্রায় ২ মাস ভারতে থাকাকালে একবেলার জন্যও গরুর গোশত খেতে পারেনি মুস্তাফিজুর। তাই রাতে ডাইনিং টেবিলে গরুর গোশত দেখে ভীষণ খুশি হয়েছে, পেট পুরে খেয়েছে গরুর গোশত।’
বিমানমন্দরে পা রেখে মা-বাবার সঙ্গে বলেছেন কথা। বিমানবন্দরে পা রাখার পর মাথায় টোপরের মতো ফুলেল টুপি পরিয়ে দেয়ায় নাকি হেসেই খুন মুস্তাফিজুর। গতকাল সকাল ১১টা ৪০ এ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পা রেখে প্রায় আড়াই ঘন্টা একটার পর একটা পরীক্ষা, ফিজিওর রুমে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেল রুমে পরীক্ষাÑসেখান থেকে অ্যাপেলো হাসপাতাল হয়ে সন্ধা ৬টায় নভোএয়ারের ফ্লাইটে যশোর নেমে পেয়েছেন আর এক দফায় সম্বর্ধনা। সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে নভোএয়ারের একটি বিমানে যশোর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। সেখানে তাঁর খালু আনিসুর রহমান ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। তবে গত পরশু ঢাকায় পা রেখে কিংবা গতকাল শত শত মিডিয়ার কৌতুহলী প্রশ্নের ছোট উত্তর দিলেও যশোরের সাংবাদিকদের নিরাশ করেননি। যশোর বিমানবন্দরে বলেছেনÑ ‘সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সবার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল। সবাই আমাকে খুব বেশি পছন্দ করতেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ড্রেসিংরুমের পার্থক্য ছিল, বাংলাদেশে সবাই পরিচিত। আর সানরাইজার্সের সবাই নতুন। তারপরও আমি সবার প্রিয় ছিলাম। সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে।’ সড়কপথে যশোর থেকে নিজের গাড়িতে করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে পৌছে বিরল সম্বর্ধনা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর। টি-২০ বিশ্বকাপের পর আইপিএল মাতিয়ে, সেরা উদীমান ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভুষিত হয়ে সাতক্ষীরাবাসীকেই যে গর্বিত করেছেন এই কাটার মাস্টার। এখন ক’দিন কাটবে তার এখানেই। মা-বাবার আদর,আর পাড়া প্রতিবেশির সঙ্গে কাটবে তার সময়। সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার আগে সে তরই যেনো সইছিল না মুস্তাফিজুরের। যশোর বিমানবন্দরে সেই আবেগই প্রকাশ পেয়েছে মুস্তাফিজুরের কথায়Ñ‘অনেক দিন পর বাড়ি ফিরছি। প্রত্যেকটি সন্তানের যেমন মায়ের কাছে ফেরার আনন্দ থাকে আমারও তেমন আনন্দ হচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।