নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : গত ইংলিশ গ্রীষ্মেই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছিলেন। হেডিংলিতে ভেঙেছিলেন ‘মেন্টর’ গ্রাহাম গুচের ২০ বছর পুরোনো রেকর্ডটি (৮ হাজার ৯০০)। এবার উঠলেন নতুন উচ্চতায়। গেলপরশু চেস্টার-লি-স্ট্রিটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের দিনে অ্যালিস্টার কুক স্পর্শ করেছেন বহু কাক্সিক্ষত মাইলফলকÑইংল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার টেস্ট রান। দেশের হয়ে অনন্য কীর্তির পথে ইংল্যান্ড অধিনায়ক গড়েছেন দু-দুটি বিশ্বরেকর্ডও। সবচেয়ে কম বয়সে ১০ হাজার টেস্ট রান করে পেছনে ফেলেছেন শচিন টেন্ডুলকারকে। অভিষেক থেকে দ্রæততম সময়ে এই মাইলফলক ছুঁয়ে পেছনে ফেলেছেন ভারতেরই আরেক ‘গ্রেট’ রাহুল দ্রাবিড়কে। ১০ হাজার ছোঁয়ার পর কুক এখন তাকিয়ে আরও সামনে, ‘কখনোই ভাবিনি আমি ১০ হাজার রান করে ফেলব। গত কয়েক বছর ধরে এই মাইলফলক ছোঁয়ার তাড়নাই আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়েছে। এখন আমাকে আমার ভাবতে হবে এবং নতুন কোনা লক্ষ্য তাড়া করতে হবে। আমি এখনও ক্ষুধার্ত আরও অনেক কিছু অর্জন করতে।’
ক্রিকেট ইতিহাসে সবার আগে ১০ হাজার রান স্পর্শ করেছিলে সুনিল গাভাস্কার; ১৯৮৭ সালের ৭ মার্চ। পাকিস্তানের বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টে ভারতীয় গ্রেট পা রেখেছিলেন এই অভাবনীয় উচ্চতায়। ৬ বছর পর গাভাস্কারের সঙ্গী হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট অ্যালান বোর্ডার। নতুন শতাব্দীর শুরুতে এই ক্লাব পায় আরও দুজন নতুন সদস্য, স্টিভ ওয়াহ (২০০৩) ও ব্রায়ান লারা (২০০৪)। শচিন টেন্ডুলকারের তো এই অর্জন অবধারিতই ছিল। গত ক’বছরে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন রিকি পন্টিং, জ্যাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড়, শিবনারায়ন চন্দরপল, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। সব মিলিয়ে ১০ হাজার টেস্ট রানের স্বাদ পাওয়া ব্যাটসম্যান এখন ১২ জন। তবে ৩১ বছর ১৫৭ দিন বয়সে মাইলফলক ছুঁয়ে সর্বকনিষ্ঠ কুকই। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে কলকাতায় ১০ হাজার রান ছোঁয়ার দিনে টেন্ডুলকারের বয়স ছিল ৩১ বছর ৩২৭ দিন।
২০০৬ সালের ১ মার্চ ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছিলেন কুক। ১০ বছর ৮৭ দিনেই করে ফেললেন ১০ হাজার রান। ১১ বছর ২৮০ দিনে করে সময়ের হিসেবে আগের রেকর্ড ছিল দ্রাবিড়ের। ইনিংসের হিসেবে দ্রæততম তালিকায় অবশ্য বেশ পেছনেই আছেন কুক। ২২৯ ইনিংসে ১০ হাজার ছুঁয়ে তিনি নবম। ১৯৫ ইনিংসে ছুঁয়ে রেকর্ডের মালিক যৌথভাবে শচিন, লারা ও সাঙ্গাকারা। টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখার আগে থেকেই ইংলিশ ক্রিকেটে ভবিষ্যত তারকা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন কুক। অভিষেক টেস্টে শতক করে জানান দিয়েছেন সেই সম্ভাবনার। একসময় পেয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব; গড়েছেন দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট শতকের (২৮) রেকর্ড।
এমন অনেক অর্জনে ইংলিশ ক্রিকেটে অমরত্ব আগেই নিশ্চিত করেছেন। এখন শুধু কীর্তি ও অর্জনে নিজেকে ও ইংলিশ ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করার পালা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিজেও মুখিয়ে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে। আপাতত দুটি মাইলফলকের খুব কাছে কুক। ইংল্যান্ডের মাটিতে মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রান করতে চাই আর মাত্র ৫ রান। এখানেও প্রথম জন ছিলেন গ্রাহাম গুচ (৫ হাজার ৯১৭)। হাতছানি দিচ্ছে দেশের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। কুকের রান এখন ১৩ হাজার ৩০৭। কেভিন পিটারসেন সবার ওপরে ১৩ হাজার ৭৭৯ রান নিয়ে। দৃষ্টিসীমায় আছে আরেকটি অর্জন। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওপেনিংয়ে নেমে ১০ হাজার রান। ওপেনার হিসেবে কুক করেছেন এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৬৪ রান। এখানে আপাতত শীর্ষে গাভাস্কার, ৯ হাজার ৬০৭ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।