Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের কারাগারগুলোকে এখন সংশোধনাগারে পরিণত করা হয়েছে। তাই কারাগারে বন্দীদের নানা প্রশক্ষিন দেয়া হচ্ছে। কারাগারে প্রায় ৩৮টি কাজের উপর বন্দীদের প্রশক্ষিন দেয়া হচ্ছে। কারাবন্দীরা যাতে মুক্তি পেয়ে বাস্তব জীবনে কিছু করে খেতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সে জন্য তাদের এই প্রশক্ষিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি গতকাল রোববার সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের সকালের নাস্তার মেন্যু পরিবর্তন উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলে আমাদের এ অঞ্চলে কারাগার ব্যবস্থা চালু হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা বন্দীদের সকালের খাবারে মেন্যু হিসেবে বরাদ্ধ ছিল ১১৬.৬৪ গ্রাম আটারুটি ও ১৪.৫৮ গ্রাম আখের গুড়। এবং বিচারাধীন বন্দীর জন্য ৮৭.৪৮ গ্রাম আটা রুটি ও ১৪.৫৮গ্রাম আখের গুড় বরাদ্ধ ছিল যা বন্দীদের জন্য অপ্রতুল ছিল। বন্দীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার তাদের জন্য সকালের নাস্তার মেন্যু পরিবর্তন করেন। বর্তমানে বন্দীদের স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাবার হিসেবে সকালের নাস্তায় সপ্তাহে ৪ দিন রুটি-সবজি, ১দিন হালুয়া-রুটি ও ২দিন সবজি-খিচুরি দেয়া হবে। এই খাবার একযোগে সারাদেশের কারাগারগুলোতেই দেয়া হবে। তিনি বলেন, কারগারগুলোতে এখন রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। কারাগারে খাদ্যের মান আরো কিভাবে উন্নত করা যায় এবং কারাগারের পরিবেশ আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে তারা আমাদের পরামর্শ দিচ্ছে। আমরাও সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা করাগারগুলোতে বন্দীদের মানসিক অবস্থা ভাল রাখার ব্যবস্থা করছি। বন্দীরা যাতে তাদের আপনজনদের সাথে কথা বলতে পারে সেজন্য প্রিজন লিংক অর্থাৎ স্বজন নামে একটি মোবাইল সেবা চালু করেছি। এই সেবাটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে হাতে নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দীদের সংখ্যা এখন মোট ৮১ হাজার ১৮৩ জন। আগে যা ছিল ৯০,০০০। দেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের সংখ্যা এখন আরো কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হবে কিনা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা একটি বিচারাধীন বিষয়। তিনি কোথায় থাকবেন সেটা আদালতই নির্ধারণ করবেন। যার যেখানে থাকার প্রয়োজন জেলকোড অনুযায়ী সেখানে থাকবেন। আমাদের এ বিষয়ে কোন হাত নেই।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব শহিদুল ইসলাম, আইজি প্রিজন মোস্তফা কামাল পাশা, অতিরিক্ত আইজি প্রিজন আবরার হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালে মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতান, কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন চৌধুরী, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের প্রমুখ।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাগার

৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ