নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেদারল্যান্ডসে গত ১৩ জুন বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশের পক্ষে অবিস্মরণীয় সাফল্য দেখান বাংলাদেশের সেরা তীরন্দাজ রোমান সানা। এই সাফল্যে রোমান ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দেশের হয়ে গড়েন নতুন ইতিহাস।
এর আগে গলফার সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কোটা প্লেস পেয়ে ২০১৬ ব্রাজিল অলিম্পিকে খেলেছিলেন। এবার ইতিহাস গড়ে টোকিওতে খেলতে যাচ্ছেন রোমান সানা।
অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও রোমান বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চারে সফল হতে পারেননি। সেমিতে হেরে যান মালয়েশিয়ান প্রতিপক্ষের কাছে। তারপরও রোমানের অর্জন কম নয়।
টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তিনি বাংলাদেশ আরচ্যারিকে বিশ্বে পরিচিত করে জাতিকে করেছেন গর্বিত। তাই তো রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে’র (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপলকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেল। তিনি বলেন,‘ বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে ভারতের তিনজন টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আমাদের দেশ থেকে রোমান সানা। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনকেই শুধু নয়, পুরো জাতিকে গর্বিত করেছেন রোমান সানা। তার এই অর্জন দেশবাসীকে উৎসর্গ করলাম।’
‘উই নিড টু হিরো’ নামে রোমান সানাকে নিয়ে দেশব্যাপী প্রচারনার কথাও জানান বাংলাদেশ আরচ্যারির পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রুবাইয়াত হোসেন। এ সময় বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং আরচ্যারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় নেদারল্যান্ডসকে থেকে দেশে ফিরবেন সরাসরি অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দেশের দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ রোমান সানা।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। গত ১৫ বছরের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ইয়ুথ অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন দেশের আরেক সেরা আরচ্যার ইমদাদুল হক মিলন। রোমান সানার পাশাপাশি রিকার্ভ মিশ্র দলগতের কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেছিলেন হাকিম আহমেদ রুবেল ও তামিমুল ইসলাম। কিন্তু কোরিয়ার কাছে হেরে দলগত এই ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। নইলে আরো একটি ইভেন্টে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারতো বাংলাদেশ।
বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিকুর প্রথমবার সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে রোমান সানা খেলছে অলিম্পিকে। এটা আমাদের দেশের জন্য গর্বের। আমার মনে হয় জিমন্যাস্টিকস ও ফেন্সিংয়ের মতো অনেক ডিসিপ্লিন ভবিষ্যতে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।