নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে কিছুক্ষণ পরই মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই দল ভারত ও পাকিস্তান। মর্যাদার এ লড়াইয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বাতাস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং পাকিস্তানের ইনফর্ম পেসার মোহাম্মদ আমিরের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও বিশ্বকাপজয়ী তারকা শচীন টেন্ডুলকার।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। বিশ্বকাপে তারা কখনো পাকিস্তানের কাছে হারেনি। নিকট অতীতের পারফরমেন্স বিচারেও স্পষ্ট ফেবারিট হিসেবেই এ ম্যাচে মাঠে নামবে বিরাট কোহলির দল। ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকাকে টেন্ডুলকার বলেন, ‘আমি হলে তার বিপক্ষে (আমির) ডট বল দিয়ে নেতিবাচক মানোভব নিয়ে খেলতাম না। সুযোগ পেলে রান নাও। আমি বরং ভারতীয় দলকে তাদের শট খেলতে ও ইতিবাচক থাকতে উৎসাহ দেব।’ ‘এটা টিকে থাকার প্রশ্ন নয়। বরং মাঠে নামো এবং এমনকি ইতিবাচকভাবে ডিফেন্স কর। নতুন কোন কিছু করার প্রয়োজন নেই। সব বিভাগেই আমাদের আক্রমণাত্মক হতে হবে। শারিরীক ভাষা গুরুত্বপূর্ণ নয়-তুমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিফেন্স করলে বোলার বুঝবে তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে।’
টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হওয়া পাকিস্তান আজ বিরাট কোহলি এবং এবং রোহিত শর্মাকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে মনে করছেন টেন্ডুলকার, ‘দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় রোহিত ও বিরাট এবং যেহেতু তারা ওপেন করবে তাই পাকিস্তান শুরুতেই তাদের উইকেট পেতে চাইবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্যই আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ শুরুতেই তাদের উইকেট পেতে চাইবে। তবে বিরাট ও কোহলিও লম্বা ইনিংস খেলতে চাইবে। বাকি সবাই তাদের ঘিরে আবর্তিত হবে- এটাই পরিকল্পনা হওয়া উচিত।’
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে জ্বলে উঠতে হবে বিরাট কোহলিকে। যদি এমনিট করতে পারেন ভারত অধিনায়ক তবে শঙ্কায় পড়ে যাবে শচীনেরই একটি রেকর্ড। আর মাত্র ৫৭ রান করলেই মাস্টার ব্রাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন ভারত অধিনায়ক।
ওয়ানডেতে ১১ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন কোহলি। ২২১ ইনিংসে তিনি করেছেন ১০ হাজার ৯৪৩ রান। আর মাত্র ৫৭ রান করলেই তিনি হবেন ১১ হাজারির এলিট ক্লাবের নতুন সদস্য। কোহলির আগে এই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন আট বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। সবাই সাবেক, কোহলির সঙ্গে খেলা চালিয়ে যাওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনির আছে ১০ হাজার ৫৬১ রান, ক্রিস গেইলের নামের পাশে ১০ হাজার ২৫৮ রান।
এই তালিকায় শীর্ষে থাকা শচীনের ওয়ানডে রান ১৮ হাজার ৪২৬। ১১ হাজারের ক্লাবে প্রবেশ করতে শচীনের লেগেছে ২৭৬ ইনিংস। সেখানে ২২১ ইনিংস খেলেছেন কোহলি। ৫৭ রান করতে পারলেই কোহলি হয়ে যাবেন ১১ হাজার রানের দ্রæততম মালিক, টপকে যাবেন শচীনকে।
১১ হাজার রানের ক্লাবে ঢুকতে শচীনের দ্রæততম ২৭৬ ইনিংসকে টপকে যাবেন কোহলি (২২১ ইনিংস)। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে না হলেও ভারতীয় অধিনায়ক সুযোগ পাবেন পরের ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করার। তবে, চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের এই ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে পারলে সেটি হবে কোহলির জন্য বিশেষ কিছু। এখন পর্যন্ত এবারের আসরে ভারতীয় দলপতি কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ১৮ রান। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ৮২ রান। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামা হয়নি ভারতের। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। আজ বারুদে ম্যাচে ফিফটি ছাড়ালেই নতুন এক কীর্তি নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করবেন কোহলি।
পাকিস্তান-ভারত
ভারত ২ র্যাংকিং পাকিস্তান ৬
মুখোমুখি ম্যাচ পাকিস্তান ভারত টাই/পরি.
ওয়ানডেতে ১৩১ ৭৩ ৫৪ ০/৪
বিশ্বকাপে ৬ ০ ৬ ০/০
বিশ্বকাপে দু’দল
ব্যাটিং
৩০০/৭ ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের করা দু’দলের সর্বোচ্চ দলীয়
১৭৩ ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের করা দু’দলের সর্বনি¤œ দলীয়
৩১৩ শচীন টেন্ডুলকারের রান, দু’দলের মধ্যে সর্বোচ্চ
১০৭ ২০১৫ বিশ্বকাপে কোহলির করা ইনিংসটিই দু’দলের
সেরা ইনিংস
১২৯ ২০১৫ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ান-কোহলির সংগ্রহটিই দু’দলের সেরা জুটি
২ দু’দেলর সেঞ্চুরি সংখ্যা। সাঈদ আনোয়ার (১০১, ২০০৩) এবং বিরাট কোহলি (১০৭, ২০১৫)
১৩ বিশ্বকাপে দু’দলের ফিফটির সংখ্যা
৩ যার মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটিই শচীন টেন্ডুলকারের
বোলিং
৮ বিশ্বকাপে দু’দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ভারতের ভেঙ্কাটেশ প্রসাদ
৫/২৭ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রসাদের করা বোলিং ফিগার, দু’দলের মধ্যে সেরা
৩ পাক-ভারত ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার। যার মধ্যে একবার ভারত (প্রসাদ ৫/২৭, ১৯৯৯) আর দু’বারই উৎসবে মেতেছে পাকিস্তানি বোলাররা (ওয়াহাব রিয়াজ ৫/৪৬, ২০১১ ও সোহেল খান ৫/৫৫, ২০১৫)
অন্যান্য
৪ বিশ্বকাপে করা সর্বোচ্চ ডিসমিসাল সংখ্যা ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির
৩ এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের ঘটনা, কিরন মোরে ১৯৯২, কামরান আকমল ২০১১ ও ধোনি ২০১৫
৫ বিশ্বকাপে দু’দলের দেখায় সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ডটি ভারতের অনীল কুম্বলের দখলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।