মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওমান সাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে তড়িঘড়ি করে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। ব্রিটেন বাদে ইউরোপের বেশিরভাগ মার্কিন মিত্র দেশ ভিডিওর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ভিডিও প্রকাশ করে ইরানকে হামলার জন্য দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, হামলার শিকার দুটি জাহাজের একটির কাছ থেকে ইরানি নাবিকরা একটি অবিস্ফোরিত মাইন সারিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলো এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং এ অজুহাতে ইরান-বিরোধী কোনো যুদ্ধে সমর্থন দেবে না বলেও জানিয়েছে। মার্কিন সরকার দাবি করছে ইরানি মাইন বিস্ফোরণে জাহাজে আগুন ধরেছে, কিন্তু জাহাজের জাপানি মালিক বলেছেন জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এসে আঘাত হেনেছে। ওমান সাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্তে না পৌঁছনোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া। ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করছে। কিন্তু রাশিয়া আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা মনে করি তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো থেকে বিরত থাকা জরুরি।” জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, হামলার পেছনে যে ইরান রয়েছে তা প্রমাণের জন্য এই ভিডিও যথেষ্ট নয়। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনির শীর্ষ উপদেষ্টা নাথালি টোসি বলেছেন, “কাউকে দোষ দেয়ার আগে আমাদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দরকার।” তিনি বলেন, “ইরানিরা খুবই যুক্তি মেনে চলা জাতি। যখন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইরান সফর করছেন তখন সেই ইরানিরা জাপানি জাহাজে হামলা করবে এটা গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না।” অপর এক খবরে বলা হয়, ইরান চাইলে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ট্রাম্প ইরানকে দায়ী করলেও দেশটির সঙ্গে আলোচনার এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। শুক্রবার ‘ফক্স নিউজ’কে ফোনে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “তারা এটা জানে।
তাদেরকে অনেক ভালভাবেই জোর দিয়ে একথা বলা হয়েছে যে, আমরা তাদেরকে আলোচনার টেবিলে ফিরে পেতে চাই।” “তারা ফিরে আসতে চাইলে আমরাও প্রস্তুত। তারা যখনই প্রস্তুত হবে আমরাও প্রস্তুত থাকব। তারা যখনই প্রস্তুত হবে তখনই ঠিক আছে। কোনো তাড়াহুড়ো নেই।” বৃহস্পতিবার ট্যাংকারে হামলার পর হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বে তেল রপ্তানি পরিবহনের অন্যতম বাণিজ্যিক পথ হচ্ছে এ হরমুজ প্রণালী। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল কেনার জন্য বিভিন্ন দেশকে নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ইরান এ বছরের শুরুর দিকে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইরানের ওই হুমকি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “ইরান ওই প্রণালী বন্ধ করতে চাইলেও বেশিদিন বন্ধ রাখতে পারবে না।” তিনি বলেন, “তারা এটা বেশি দিন বন্ধ রাখতে পারবে না।” বৃহস্পতিবার কোকুয়া কারেজেস ও ফ্রন্ট আলটেয়ার নামের নৌযানদুটিতে ‘বিস্ফোরণের পর’ আগুন ধরে গেলে ইরানি উদ্ধারকারী দল ট্যাঙ্কার দুটির ৪৪ ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। ওই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পার্সটুডে, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।