মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্দোলনের মুখে বিতর্কিত ‘অপরাধী প্রত্যর্পণ’ বিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে হংকং সরকার। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহে ব্যাপক বিক্ষোভের পরও ল্যাম বিলটি বাতিলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ল্যাম বলেছেন,‘দুদিন বিষয়টি অধ্যয়নের পর আমি ঘোষণা করছি, আমরা সংশোধনী স্থগিত করব।’ তিনি বলেন, ‘বিলটি সমাজে ব্যাপক বিভক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ বিলটি ‘স্থগিত ও ভাবনার’ ব্যাপারে সরকারের প্রতি জনগণের আহ্বান শুনতে পেয়েছেন উল্লেখ করে ল্যাম বলেন, ‘আমাকে স্বীকার করতে হবে ব্যাখ্যা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অপার্যপ্ততা ছিল।’ হংকংয়ের নির্বাহী বলেন, ‘আমাদেরকে হংকংয়ের মহান স্বার্থ মনে রাখতে হবে। যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।’ হংকংয়ের পার্লামেন্টে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত ল্যাম ও তার দলীয় আইনপ্রণেতারা অপরাধী প্রত্যাবাসন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রস্তাবিত বিলটিতে পলাতক অপরাধীদের বিচারের জন্য চীনে প্রত্যাবাসনের বিধান রাখা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি চীনকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হংকং থেকে বেইজিংয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। এতে যেমন অপরাধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে তেমনি হংকংয়ের ওপর চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেবে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিলটির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছিল। সর্বশেষ গত বুধবার লক্ষাধিক বিক্ষোভকারী সরকারি ভবনগুলো ঘিরে থাকা সড়কে অবস্থান নেয়। এর ফলে শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে কয়েক দফা। প্রস্তাবিত ওই বহিঃসমর্পন বিল নিয়ে হংকংয়ের বাসিন্দাদের পাশাপাশি মূলভূখণ্ড চীন কিংবা বিদেশের নাগরিক- যারা হংকংয়ে বসবাস করছেন অথবা যাওয়া-আসা করেন, তারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিলে তাইওয়ান, ম্যাকাউ বা চীনের মূলভূখণ্ডে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হংকংয়ের বাসিন্দাদের আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সেসব স্থানে বহিঃসমর্পণের সুযোগ রাখা হয়েছিল। একে ব্যবহার করে চীন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিকদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে পারে বলে আশঙ্কা সমালোচকদের। বেইজিংপন্থিদের মতে, বহিঃসমর্পণের সুযোগ না থাকায় হংকং চীনের অন্যান্য অংশের অপরাধীদের স্বর্গে পরিণত হয়েছে। মানবাধিকার লংঘন যেন না হয়, সেজন্য প্রতিটি মামলা ধরে ধরে হংকংয়ের আদালতই বহিঃসমর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে- ‘রক্ষাকবচ’ হিসেবে বিলে এ বিধান যুক্ত আছে বলেও জানিয়েছে তারা। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।