মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সামরিক পদক্ষেপকে কোন বিতর্কের সমাধান হিসেবে দেখা পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উচিত নয় এবং তাদের বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করা উচিত। স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাথে প্রতিবেশী ভারতের মতভেদের বিষয়টি নিয়ে খান বলেন, ‘আসুন, আমাদের সকল মতভেদের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আসলে মতপার্থক্য দ‚র করার এটাই একমাত্র উপায়। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উচিত নয় সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা। এটা একটা পাগলামি’।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আসিফ গফুর মার্চ মাসে স্পুটনিককে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন যে, পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক শক্তিকে আসল যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটা প্রতিরোধ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ তখনই বাড়তে পারে যদি দুই দেশের সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়।
খান বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, যেমনটা আমি বলেছি, এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, ভারত আমাদের পদক্ষেপের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবে যাতে দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। দুই দেশের সরকার একত্রে কাজ করলেই কেবল জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে’।
প্রধানমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের জন্য কার্তারপুর করিডোরের বিষয়টিকে পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রস্তাবিত সীমান্ত করিডোরটি দিয়ে ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের ভেতরে গুরুদুয়ারাতে সফরে যেতে পারবে এবং এ জন্য কোন ভিসার প্রয়োজন হবে না। ইমরান খানও আরও বলেন, তিনি আশা করছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের ভেতরকার মতবিরোধ দূর করার ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখবে এবং দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করবে।
জনাব খান বলেন, ‘ ভারতের সাথে আমাদের প্রধান মতবিরোধের বিষয় হলো কাশ্মীর। দুই দেশের নেতারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, দুই দেশের সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এই ইস্যুর সমাধান হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, ভারতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে এখন পর্যন্ত খুব একটা সাফল্য পাইনি আমরা। কিন্তু আমরা এখন আশা করি যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের জনসমর্থন নিয়ে এসেছেন এবং উপমহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এটাকে তিনি কাজে লাগাবেন’।
খান বলেন, ‘এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের প্রত্যাশা যে ভারতের নেতৃবৃন্দ এই সুযোগটাকে গ্রহণ করবে, পাকিস্তান যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা কাজে লাগাবে - আসুন আমাদের মতপার্থক্যগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আসলে সমস্যা সমাধানের সেটাই একমাত্র পথ’। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।