নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভালো ফিল্ডিং দল হিসেবে পাকিস্তানের সুখ্যাতি ছিল না কখনোই। ফিল্ডিংয়ে নিজেদের দুর্বলতার চিত্রটা আজকের ম্যাচে আরও একবার দেখিয়েছে পাকিস্তান। এক আসিফ আলীই সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন দুটি, একটু চেষ্টা করলে ধরতে পারতেন আরেকটি ক্যাচ। চোখের সামনে নিজ দেশের ফিল্ডিংয়ের এমন দুরবস্থা দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি রমিজ রাজা। কোনো রাখঢাক না রেখেই পাকিস্তানের ফিল্ডিংকে ‘রাবিশ’ বলে দিয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টন্টনে ধারাভাষ্যকক্ষে বসে নিজ চোখেই পাকিস্তানের ফিল্ডিংয়ের করুণ অবস্থা দেখেছেন রমিজ রাজা। ধারাভাষ্যের সময় তো বলেছেনই, পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টুইটারে, ‘আমি কারোর মনে আঘাত করতে চাই না, কিন্তু পাকিস্তানের এই ফিল্ডিং এক কথায় রাবিশ!’
রমিজের ক্ষুব্ধ হওয়াটাই অবশ্য স্বাভাবিক। ম্যাচে খুব দৃষ্টিকটু দুটি ক্যাচ মিস করেছেন আসিফ আলী। প্রথমটি ১৩তম ওভারে। অ্যারন ফিঞ্চ সবে ভয়ংকর হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। ওয়াহাব রিয়াজের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। সহজ ক্যাচটি ধরতে তো পারেননিই, মিস করে বরং সেটিকে ৪ বানিয়েছেন আসিফ। ২৬ রানে থাকা ফিঞ্চ শেষ পর্যন্ত করেছেন ৮২ রান।
এখানেই শেষ নয়, আসিফের দুর্দশার বাকি ছিল আরও। ৩৭ তম ওভারে সেই ওয়াহাবের বলেই থার্ড ম্যানে আরও একটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন আসিফ। গ্যালারিতে পাকিস্তানি সমর্থকদের চোখেমুখে তখন অবিশ্বাসের ছাপ। এর আগে ওয়ার্নারকে সেঞ্চুরির পথে নিয়ে যেতেও কিছুটা ভূমিকা ছিল আসিফের। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের রান যখন ৯৭, শাহিন আফ্রিদির বলে স্লিপে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ক্যাচটা হাতে গলাতে পারেননি আসিফ।
কোন ফিল্ডার দলের হয়ে কত রান বাঁচালেন বা কত রান বাঁচাতে পারেননি, ম্যাচ চলাকালে টিভি পর্দায় সে রকম একটি পরিসংখ্যান দেখানো হয়। সেই পরিসংখ্যান বলছে, কেবল দুই ম্যাচেই আসিফের কারণে ২৬ রান অতিরিক্ত গুনতে হয়েছে পাকিস্তানকে! ৩০ গজের ভেতরে ৮ রান, আর বাউন্ডারিতে আসিফের হাত গলে বেরিয়েছে আরও ১৮ রান। পাকিস্তানিদের ফিল্ডিংয়ের দুর্দশার চিত্রই যেন তুলে ধরছে এই পরিসংখ্যান।
ক্যাচিং বাদ দিয়ে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংটাও খুব একটা ভালো হয়নি ৯২-এর বিশ্বকাপজয়ীদের। বেশ কয়েকবার ফিল্ডাররা সহজ বল ছেড়েছেন, যেগুলোর ফায়দা তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে বোলারদের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরলেও ফিল্ডারদের এমন ভুলগুলো নিশ্চয়ই চোখ এড়ায়নি পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচের!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।