পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ৭৮৯.৬৮ কোটি টাকা। এবার ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮২০.২৯ কোটি টাকা।
বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ও টেকসই পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ মন্ত্রণালয় পরিবেশ সুরক্ষা ও উন্নয়ন এর গুণগতমান এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যভূমিকা পালন করবে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয়ের স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমন, বনজ সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণে বিষয় অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘টেকসই উন্নয়নে জলবাযু অর্থায়ন’ নামে এবারের বাজেটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ছাড়া আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ সব মন্ত্রণালয় হচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসব মন্ত্রণালয় মিলে এবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় মোট বাজেটের ৩৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাজেটে জলবায়ু খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও পরিবেশবিদ ও উন্নয়ন গবেষকগণ মনে করেন, এদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারী, শিশু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্দী জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এসব বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার প্রতিবছরই বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে। তবে এর সুফল সরকার কতটা পাচ্ছে পরিবেশবিদদের কাছে সেটা বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল মতিন এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার গত কয়েকবছর যাবত নিজস্ব উৎস থেকে বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে। এটা অবশ্যই সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন। তবে এই বরাদ্দ কতটা যথাযথভাবে স্বচ্ছতার সাথে ব্যয় হচ্ছে তা সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে না। সরকারের অর্থ বরাদ্দ যথাযথ খাতে সঠিকভাবে ব্যয় হবে এটা সবার প্রত্যাশা। বিগত অর্থ বছরগুলোতে জলবায়ু খাতে যে বরাদ্দ ছিল তা কিভাবে ব্যয় হয়েছে এবং তাতে কতটা সুফল পাওয়া গেছে সেটা পর্যালোচনা করে এবারের বরাদ্দ ব্যয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।