নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমে অন্ধকারের আবহ তৈরি করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপরীতে তাদের চেহারায় জ্বলজ্বল করেছিলো হাজার ওয়াটের আলো। সেই আলোক রশ্মি আরও বেগবান হয়েছে পরের দুটি ম্যাচে। প্রতিপক্ষকে গতির ঝড়ে নাস্তানাবুদ করা সেই দুই দল আজ মুখোমুখি। সাউদাম্পটনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায়।
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের অবস্থান শীর্ষে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান আট। তবে র্যাঙ্কিংয়ের হিসেব কষে ম্যাচটিকে একপেশে ভাবার সুযোগ নেই। বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে দু’দলের মধ্যকার সবশেষ পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছিলো ২-২ ব্যবধানের ড্রতে। একটি ম্যাচ পÐ হয়েছিলো বৃষ্টিতে। সেবার ক্রিস গেইলের বিধ্বংসী রূপ দেখেছে বিশ্ব। ৪ ম্যাচে ১০৬ গড়ে রান করেছিলেন ৪২৪। অন্যদিকে ধারাবাহিক ইংল্যান্ডের এউইন মরগান, জস বাটলার ও জো রুটও ভালো করেছিলেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে লাইমলাইটে ছিলেন গেইল। বলহাতে ওশানে থমাস , শেলড্রন কটরেল ও জেসন হোল্ডার ছড়িয়েছিলেন আতঙ্ক। অন্যদিকে মার্ক উড, বেন স্টোকসরাও কম যাননি। তখন অবশ্য স্কোয়াডে ছিলেন না এবারের আসরের অন্যরকম ত্রাস জোফরা আর্চার। তিনি থাকলে স্বদেশীদের বিরুদ্ধে কেমন বল করেন, তাও পরখ করার সুযোগ হতো। এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ১০১ বার। যারমধ্যে ৫১ বার শেষ হাসি হেসেছে ইংল্যান্ড। বিপরীতে ৪৪ বারের জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পরিত্যক্ত হয়েছে ৬টি ম্যাচ। দু’দলের বিশ্বকাপের লড়াই অনেকটা একপেশেই ছিলো। যেখানে ইংলিশদের জয়জয়কার। মোট ৬ বারের দেখায় ইংল্যান্ড জিতেছে পাঁচ বার। ওযেস্ট ইন্ডিজের প্রথম ও একমাত্র জয়টি চলে গেছে প্রায় বিস্তিৃতির খাতায়, সেই ১৯৭৯ সালে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৪০ বছর ধরে অপরাজিত ইংলিশরা!
এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই শক্তির প্রদর্শণ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে বিশাল ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেও স্বাগতিকদের জয়টি ১০৬ রানের। এখানেই শেষ নয়, গতির ঝড় তুলে এদুটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের সবকয়টি উইকেট তুলে নেয় ইংলিশ বোলাররা। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানে হেরে গেলেও উইকেট তুলে নিয়েছিলো ৮টি। বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ শিবির ভুগছে ইংলিশ গতির কাছে। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় ক্যারিবিয়রা। দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে জিততে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৫ রানে হারের তিক্ত স্বাদ পায় হোল্ডারের দল। অথচ কাজের কাজটা কিন্তু ঠিকই করেছে উইন্ডিজ বোলাররা। দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ২০টি উইকেটই পকেটে পুরেছেন কটরেল-হোল্ডাররা। এমনকি নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ৭.৩ ওভারের ম্যাচেও ২টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কটরেল।
বিপক্ষ দলকে গুটিয়ে দেয়া দল দুটির মাঝে লড়াইয়ে বোলাররাই যে ম্যাচের ফল নির্ণায়ক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিশ্বকাপ আসরে এখন পর্যন্ত ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশ বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বার্বাডোজের আর্চার। বেন স্টোকসের ঝুলিতে ৫টি। এছাড়া মার্ক উড ৪টি ও লিয়াম প্লাঙ্কেট নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে ৫টি উইকেট নিয়ে শীর্ষে কটরেল। রাসেল, হোল্ডার নিয়েছেন ৪টি করে আর কার্লোস ব্রাথওয়েটও নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মাঝে আগ্রহের কোন কমতি নেই। গতির লড়াইয়ে কে এগিয়ে যাবে? এ প্রশ্নটা থেকেই যায়। আবার ব্যাট হাতে ক্রিস গেইল-আন্দ্রে রাসেল কিংবা জেসন রয়-জস বাটলারের ঝড় কিভাবে মোকাবেলা করবেন গতি দানবেরা। আগ্রহের জায়গা জুড়ে এই দুটি বিষয়ই অবস্থান করছে শীর্ষে।
ক্যারিবীয়রা কি পারবে ৪০ বছরের জয়খরা কাটিয়ে উঠতে? নাকি জয়রথ ধরে রাখবে ইংলিশরা। তবে ফলাফল যাই হোক একটি রোমাঞ্চকর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের যে সুবাতাস পাওয়া যাচ্ছে, সেটা ঠিকমতো বইলেই ক্রিকেটপ্রেমীরা আনন্দিত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।