নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের মন্থরতম ফিফটি করার পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। নামটি ডেভিড ওয়ার্নার বলেই এর জবাব দিতে একদম দেরি করেননি। অস্ট্রেরিয়ান ওপেনার নিজেদের পরের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১১ বলে ১০৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। তবে কোনো সমালোচনার জবাব দিতে পেরে নয়, ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রিখেছিল তার ইনিংসটি, এটুকু জেনেই খুশি ওয়ার্নার।
ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তৃতীয় শতক তুলে নিয়ে চলতি বিশ্বকাপেও বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান মোট রান সংগ্রহের তালিকায় উঠে এসেছেন সেরা পাঁচে। ২৫৫ রান নিয়ে ওয়ার্নার আছেন সর্বোচ্চ রানকারী সাকিব আল হাসানের থেকে মাত্র পাঁচ রান পেছনে। পাকিস্তান ম্যাচের পর নিজের ইনিংস নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘অনেক আগেই সেঞ্চুরিটা পাওয়া উচিত ছিল। আফগানিস্তান ম্যাচের দিন মনে হচ্ছিল কিছুতেই ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমি একটু আলসেমি করেছিলাম, আর তার খেসারতও দিয়েছি। ভারতের বোলাররা দারুণ লাইনে বল করছিল, তাই ওই ম্যাচে বড় রান পাইনি বলে অতটা আফসোস হচ্ছে না। তবে চার নম্বর ম্যাচে অবশেষে যেরকম খেলতে চাইছিলাম, সেরকম খেলতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে।’
ওয়ার্নার জানান, ‘পিচের গতিপ্রকৃতি শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন বলে ব্যাটিংয়ের সময় সঠিক স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগাতে পেরেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল, পিচটা টেস্ট ম্যাচের পিচের মত। খেলার সময় দেখলাম, ঠিক তাই। বল হয় শর্টপিচ হচ্ছে, নয়ত একদম ব্যাটের ওপর চলে আসছে। ফলে আমাদের একটু ছড়িয়ে ব্যাট চালাতে সুবিধে হয়েছে সেদিন। পাকিস্তানের পঞ্চম বোলার নিয়ে সমস্যার কথাও আমাদের মাথায় ছিল। শোয়েব মালিক আর মহম্মদ হফিজকে দিয়ে ওদের ১০ ওভার বোলিং করাতে হবে জেনে কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিলাম আমরা।’
তবে মোহাম্মাদ আমিরের ক্যারিয়ার সেরা দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রসংশা করেন ওয়ার্নার, ‘বিশ্বমানের বোলার আমির। বল যখন সুইং করায়, তখনই ওকে খেলতে যথেষ্ট অসুবিধে হয়। তাহলে ভাবুন, যেখানে বল সুইং আর সীম, দুটোই করছে, সেখানে ওর সামনে ব্যাটসম্যানদের কী অবস্থা হবে!’ কিভাবে তাকে সামলালেন এমন প্রশ্নে ওয়ার্নার বলেন, ‘ওই যে বললাম, আগে ভেবে নিতে হবে আপনি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। তার পর ডিফেন্সটা যখন বেশ টেস্টম্যাচসুলভ শক্তপোক্ত হবে, তখন দেখবেন রান করাটাও আর অত কঠিন মনে হচ্ছে না। আমি সেদিন প্রচুর চেষ্টা করেছিলাম ওর ওভারগুলো কোনোমতে খেলে দেওয়ার, কিন্তু ঝামেলা হচ্ছে, আমির যখন বল করে, তখন তো স্ট্রাইক রোটেট করতেও প্রাণ বেরিয়ে যায়। তবে এটা মানতে হবে, ব্যাটে-বলে এরকম একটা সংঘর্ষ একদিনের ক্রিকেটের পক্ষে ভাগ্যের ব্যাপার।’
বত্রিশ বছর বয়সী জানান, ‘আমি তো বেশ কিছুদিন পর দলে ফিরলাম, তাই ভালভাবে ট্রেনিংয়ে ফিরতে পারাটা আমার জন্য আরও বেশি জরুরি ছিল। আর একশো ভাগ ফিট না হলে অস্ট্রেলিয় দলে জায়গা পাওয়ার আশা করাটা বোকামি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।