পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাপাহার উপজেলা সদরে রাস্তার দু’পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্থাপিত কয়েকশ’ আমের আড়ত এখন বরেন্দ্র ভ‚মিতে উৎপাদিত সুমিষ্ট রসালো ফল হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের দখলে।
মধু মৌসুমের শুরু থেকেই দেশের এ সর্ববৃহৎ আমের মোকামগুলোতে গুটি, গোপালভোগ, খিরশাপাতি, (হিমসাগর) ও ল্যাংড়া আমের ব্যাপক সমাহার দেখা গেছে। স্থানীয় ভাবে সাপাহার উপজেলাসহ আশেপাশের সকল উপজেলায় আম বাগান থাকার কারণে এখানে আমের বৃহৎ মোকাম গড়ে উঠেছে। দেশের রাজধানী ঢাকাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শত শত আম ব্যবসায়ী এখানে এসে আমের আড়ৎ খুলে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ আম কেনাবেচা করছেন। চলতি বছরে গাছ থেকে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে আড়ৎ গুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আম আসছে।
বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার রোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা থাকায় স্বাস্থ্যসম্মত ফরমালিন মুক্ত আম উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সাপাহারে উৎপাদিত হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের কারনে এ উপজেলা ইতোমধ্যে সারাদেশে বিশেষ ভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে উত্তর বঙ্গের সর্ববৃহৎ এ আমের মোকামে প্রতিদিন যে পরিমাণ আম কেনাবেচা হচ্ছে তাতে রুপালী আম বাজারে আসলে মোকামের চিত্র অনেকটাই পাল্টে যাবে।
উপজেলার কৃষকগণ এবারে ধানের মূল্য বিভ্রাটে কিছুটা হিমশিম খেলেও আমের বাজার ভাল থাকায় ধানের সে ক্ষতি কিছুটা হলেও আমের উপর উঠে আসবে বলে মালিকগণ মনে করছেন। এ বিষয়ে উপজেলার সদরের বাগান মালিক শাহজাহান আলী,জামিল হোসেন, শিতল ডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলাম,কাশিতারার এনামুল হক, হাসান আলীসহ বেশ কয়েকজন বাগান মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান যে, ধান চাষ করে ন্যায্য দাম না পাওয়ার কারনে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আমবাগান থাকায় ধানের সে ক্ষতি আম থেকে উঠে আসছে।
বর্তমানে আবহাওয়া আমচাষীদের অনুক‚লে থাকায় আমের বাজার দর মোটামুটি ভালো আছে। এখন প্রতি মণ ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা, খিরশা, গোপালভোগ ও হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মণ। তবে আম্রপালী আম ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় এবার শেষ দিন পর্যন্ত দাম সহনীয় পর্যায় থাকবে বলেও আড়ৎদার ও বাগান মালিকগণ জানান।
সাপাহার উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৭ মে. টন আম উৎপাদন হয়। সাপাহার উপজেলায় এবারে ৮০ থেকে ৯০ হাজার মে. টন আম উৎপাদন হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। প্রতি বছর আমের মৌসুমে আম ব্যবসা ও বাজারজাতে এলাকার হাজার হাজার শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বৃহত্তর এই আমের মোকাম ও উৎপাদিত আমের কারণে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হচ্ছে।
অপরদিকে সর্ববৃহৎ এ আমের মোকামের আড়ৎদার, আম ব্যবসায়ী, চাষি ও বাগান মালিকদের সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ উপজেলার সর্বত্র আম কেন্দ্রীক উৎসব বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।